• শিরোনাম

    গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালাকে আইনে রূপান্তর ও বাস্তবায়ন চায় গৃহশ্রমিকেরা

    স্টাফ রিপোর্টারঃ রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০২৩

    apps

    বাসা-বাড়িতে কর্মরত গৃহশ্রমিকের জন্য তৈরিকৃত সুরক্ষা নীতিমালা-২০১৫ এর বাস্তবায়ন চায় গৃহশ্রমিকরা। ২৬শে আগস্ট ২০২৩, ঢাকার মগবাজারের মধুবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কমপ্লেক্সে একটি মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানায় গৃহশ্রমিকরা। অক্সফাম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় ডেমোক্রেসিওয়াচ স্টেকহোল্ডারদের সাথে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

    এসময় এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের সাথে উপস্থিত ছিল গৃহশ্রমিকরাও। তারা জানায়, তাদের কর্মে নিয়োগের সময় মৌখিক ভাবেই কর্ম ঠিক ও নিয়োগ দেয়া হয়। কখনো কোনো কারনে কাজে যেতে না পারলে বেতন কেটে রাখা হয়। এছাড়া পরবর্তী কর্মদিবসে বারতি কাজও করিয়ে নেয়া হয়। কোনো দুর্ঘটনা হলেও কোনও রকমের সাহায্য- সহযোগিতা তারা পায় না। এছাড়াও শিকার হতে হয় নানান মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের। ২০১৫ সালে গৃহশ্রমিকদের জন্য তৈরীকৃত সুরক্ষা নীতিমালায় তাদের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার স্বার্থে কর্ম নির্ধারণের চুক্তিপত্র সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ আছে। গৃহশ্রমিকরা চায় এই সুরক্ষা নীতিমালাটি যেন আইনে বাস্তবায়ন হয়।

    মতবিনিময় সভায় উপস্থিত স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান বাবু ডেমোক্রেসিওয়াচের এই উদ্যোগের প্রশংসার করে বলেন, যদি এই সুরক্ষা নীতিমালাটি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে তা খুবই ভালো হবে। নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো যদি গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হয় অনেক গৃহশ্রমিক নির্যাতন বন্ধ সম্ভব। গৃহশ্রমিকরা যে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয় তা রোধে পুলিশ প্রশাসনকে আরও সচেতন হতে অনুরোধ করেন। হাতিরঝিল সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক সায়েদুল ইসলাম বাদল প্রচারের প্রসার ঘটানোর জন্য ডেমোক্রেসিওয়াচকে পরামর্শ দেন। উপস্থিত স্থানীয় কাজী বলেন, আমাদের সবার মতো তাদের জন্যও এটি তাদের কর্ম যা থেকে উপার্জিত অর্থে তাদের সংসার চলে। তাদের প্রতি আমাদের যেমন দায়িত্ব- কর্তব্য আছে, আমাদের প্রতিও তাদের দায়িত্ব- কর্তব্য আছে। তবে জরুরি বিষয় হলো উভয়ের মধ্যে সম্মান ও বিশ্বাস। এছাড়া উপস্থিত একজন পুলিশ কর্মকর্তা সকল গৃহশ্রমিকদের কোনো নির্যাতনের শিকারের মামলায় সাহায্য- সহযোগিতায় তাদের পাশে পুলিশ প্রশাসন আছে ও থাকবেন বলে আশ্বাস দেন।

    উপস্থিত অন্যান্যদের মতামত থেকে উঠে আসে যে, নীতিমালা বাস্তবায়ন প্রয়োজন যা গৃহশ্রমিক নির্যাতন বন্ধে যেমন সহায়ক হবে তেমনি গৃহশ্রমিক ও নিয়োগকর্তা উভয়েরই প্রাপ্যতা পূর্ণ হবে।

    বাংলাদেশ সময়: ১০:৩১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ