
খুলনা ব্যুরোঃ | বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
খুলনায় নাশকতার পৃথক দুটি মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খানসহ ১৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা খুলনার সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান। আদালতের বিচারক মীর শফিকুল আলম শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ডুমুরিয়া থানার মামলায় কারাগারে প্রেরণকৃত নেতাকর্মীরা হলেন, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, শেখ ফরহাদ হোসেন, আবরার হোসাইন সৈকত, আব্দুর রব আকুঞ্জি, মো. জামিনুর রহমান, মোল্লা মশিউর রহমান, মো. শাহ নেওয়াজ শেখ। অপরদিকে, দিঘলিয়া থানায় দায়েরকৃত মামলায় আদালতে প্রেরণকৃত নেতাকর্মীরা হলেন, হিমেল গাজী, নবাব মোল্লা, সোহেল রানা, মিঠু খান ও সৈয়দ সাগর ।আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোমরেজুল ইসলাম বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, ডুমুরিয়া ও দিঘলিয়া থানার পৃথক দুটি নাশকতা মামলায় বিএনপির ১৭ জন নেতাকর্মী আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খানসহ ১৩জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোল্লা মফিজুর রহমানসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানার এস আই তারেক রাইয়ান বাদী হয়ে একটি নাশকতা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগ করেন তিনি। মামলায় মোট ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অপরদিকে দিঘলিয়া থানায় অনুরুপ অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় হিমেল গাজী, নবাব মোল্লা, সোহেল রানা, মিঠু খান ও সৈয়দ সাগরকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আদালত সরকারের লেজুড়বৃত্তি করছে। জামিন পাওয়া একজন রাজনীতিকের অন্যতম মৌলিক মানবাধিকার। আদালত এখন মানবাধিকার লঙ্ঘণ করে সরকারের পাহারাদারের পরিণত হয়েছে।
বিবৃতিদাতারা হলেন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব মো. শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহীর প্রমুখ।
Posted ১০:৪৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।