দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি: রবিবার, ০৬ আগস্ট ২০২৩
ভরা বর্ষা মৌসুমে খরা ও তীব্র গরমের পর অবশেষে কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে। দীর্ঘদিন প্রচন্ড গরমে থাকার পর বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে মুহূর্তেই মেতে ওঠেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার কৃষকেরা। বৃষ্টি হওয়ায় পতিত জমিতে আমনের চারা রোপণে ও জমি থেকে চারা তোলার ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
জানা যায়, বর্ষাকালের প্রথম দিকে বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন এই অঞ্চলের কৃষকেরা। উপজেলায় টানা কয়েক সপ্তাহের তীব্র খরার পর স্বস্তির বৃষ্টিতে পুরোদমে রোপা আমন ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। জমিতে চাষ, আগাছা পরিষ্কার, পানি দেওয়া, সার দেওয়াসহ নানা কাজে এখন দারুণ ব্যস্ত তারা। পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষায় সেচবিহীন কম খরচে আমন ধান চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখেন কৃষকরা। সময় মতো বৃষ্টির দেখা মিলায় কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কোমরে গামছা বেঁধে জমিতে আমনের চারা রোপণে নেমে পড়েছেন সবাই।
কৃষক রাসেল হোসেন বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আষাঢ় মাসে বৃষ্টি অনেক দেরিতে হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় টাকা খরচ করে জমিতে সেচ দিয়ে চারা লাগানো হয়েছিল। এ সময় বৃষ্টি আমন ধানের জন্য খুবই দরকারি। বৃষ্টি না হলে সেচ দিয়ে আমন ধান আবাদ করা কঠিন। বৃষ্টি হওয়ায় সেচের বাড়তি টাকা খরচ থেকে রেহাই পেয়ে কৃষকেরা সবাই খুশি।
কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, বৃষ্টির পানির উপর নির্ভর করে আমরা আমন চাষ করে থাকি। অনেক দিন পর এই বৃষ্টির নাগাল পেয়েছি। আমাদের সাড়ে তিন একর জমিতে বৃষ্টির পানি জমেছে। আমন ধান চারা রোপণের উপযোগী করতে জমি চাষ শেষ। এখন ৬ জন কৃষিশ্রমিক লাগিয়েছি। তারা চারা রোপণের কাজ করছেন। বৃষ্টির আশির্বাদে সময় মতো ধান লাগাতে পেরে দারুণ খুশি তিনি।
দাগনভুঞা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় রোপা আমন লাগাতে পারেননি অনেক কৃষক। তবে বৃষ্টি একটু দেরিতে হলেও আষাঢ়ের শেষ থেকে শ্রাবণ মাসে আমন রোপণের উপযুক্ত। এখন শ্রাবণ মাস চলছে এই মাসের আমন রোপণ শেষ হবে। এখন আর কৃষকের সেই সমস্যা নেই। আশা করি আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা পূরণ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৮:২৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৬ আগস্ট ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel