• শিরোনাম

    রংপুরে তৈরী হচ্ছে ভারতের বিখ্যাত পানিপুরি

    রংপুর ব্যুরো: শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

    রংপুরে তৈরী হচ্ছে ভারতের বিখ্যাত পানিপুরি

    apps

    ভ্যানে নানা রঙের হাড়িতে হরেক রকমের টক সাজিয়ে বিক্রয় করা হচ্ছে ভারতের বিখ্যাত পানিপুরি। খরচের ব্যয় মিটিয়ে মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করছে বিক্রেতারা। রংপুর নগরীর লালবাগ রেলগেট এলাকায় দুটি ভ্যানে বিক্রয় করা হয় পানিপুরি। প্রতিদিন দুপুর থেকে শুরু করে বিক্রয় চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। এ পানিপুরির স্বাদ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছে ভোজন রসিকগণ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রংপুর নগরীর খামার মোড় এলাকার আনিস ও রুবেল নামে দুই বন্ধু শুরু করেন পানিপুরির ব্যবসা। ফুসকা ও চটপটির ব্যবসা থেকেই অল্প পরিসরে শুরু করা পানিপুরিতে এখন সফল তারা। পানিপুরি বিক্রেতা আনিস মিয়া তিনি বলেন, ভাঙাচোরা একটি ভ্যান ছিল আগে কারমাইকেল কলেজে চটপটি ও ফুসকা বিক্রয় করতাম। আমার এক বন্ধু ভারতের কলকাতায় গিয়ে এ পানিপুরি খেয়েছিল।

    সে এসে প্রথম পরামর্শ দেয় এটা টেস্ট করার। তারপর আমরা দুই বন্ধু পরামর্শ করে বিভিন্ন জায়গায় এটা বানানোর রেসিপি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম দিকে শুরু করি পানিপুরির বিক্রয়। প্রথম মাসেই আমরা ভালো আয় করি। কিন্তু ৫০ টাকা একটু বেশি হয়ে যায় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। যেহেতু শিক্ষার্থীরা বেশি আসে তাই পরিমাণে কিছুটা কমিয়ে অল্প দামে বিক্রয় শুরু করা হয়। এখন প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৭ হাজার টাকা বিক্রয় হয়। খরচ বাদে প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা আয় থাকছে। রুবেল বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ হাজারের খরচ হয়েছে। এখন মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে পানিপুরি খেতে আসছে। অল্প দামে তাদের খাওয়াতে পেরে আমাদেরও ভালো লাগছে। জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের খরচও বেড়েছে। প্রায় ১৫ পদের টক বানাতে হয়। সব মিলে নতুন ব্যবসা হিসেবে ভালোই চলছে। ভালো জায়গা হলে পানিপুরির ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। মুখরোচক এ খাবারের সঙ্গে দেওয়া হয় তেঁতুল টক, পুদিনা পাতা টক, ধনিয়া টক, লেমন টক, খাট্টা টক, বারো মসলা টক, দই টক, ঝাল টক, নাগা টক, জলপাই টক ইত্যাদি। পানিপুরি খেতে আসা কারমাইকেল কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন, এর আগে তো পানিপুরি এখানে ছিল না।

    এখন এখানে পানিপুরি খেতে পারছি, ভালো লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন টক দিয়ে এ পানিপুরি পাওয়া যায় তাই প্রায়ই খেতে আসি। অল্প দামে নানা টক দিয়ে মুখরাচক খাবার হিসেবে ভালোই লাগে। আরেক শিক্ষার্থী বলেন, পানিপুরির বিষয়টি রংপুরে ব্যতিক্রম। কারণ আমরা এর আগে সাধারণত ফুসকা খেতাম। ফুচকাতে শুধু একটা টক থাকতো কিন্তু পানিপুরিতে প্রায় ৭-৮ ধরনের টক দিয়ে দিচ্ছে। পানিপুরি খেতে আসা বৃদ্ধ আব্দুল কাদের বলেন, মেসে ছেলেকে রেখে শখে পানিপুরি খেতে এসেছি। পানিপুরি রংপুরে পাওয়া যাবে ভাবতে পারিনি। খেতে অনেকটা ফুচকার মতো, তবে এটাতে কয়েক ধরনের টক দেওয়া। ফুচকার টক পাতলা আর এটার টকগুলো গাঢ়। ভালোই লাগলো।

    বাংলাদেশ সময়: ১১:২১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ