হিজরি জ্বিলহজ মাসের ১০ তারিখ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করেন। সৌদি আরবের পবিত্র হজ্জ্ব মোবারক পালনের পর পশু কুরবানির মাধ্যমে ঈদুল আজহা /কোরবানির ঈদ পালন করেন আরব বাসী। সময়ের তারতম্যের কারণে সৌদি আরবে যেদিন ঈদ হয় এর পরের দিন সাধারণত বাংলাদেশে ঈদ পালিত হয় । ১০ জিলহজ আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের প্রত্যাশায় পশু কোরবানি করেন মুসলমানরা। ঈদুল আজহা মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। দেশে কোরবানির ঈদ হিসেবে পরিচিত এই উৎসবের মূল আহ্বান ত্যাগের। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগরবাসী সহ সকলকে পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, মহানগর দক্ষিণের কলাবাগান থানার ১৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোঃ মনিরুল হাসান। মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রকৃত শিক্ষাই হলো একে অপরের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি নেওয়া। ঈদের এই মহত্ব উপলব্ধি করে শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি, এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে হয় সকল শ্রেণী পেশাজীবি মানুষের মাঝে। আমরা করোনা ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারির সংকট ছাড়াও পার করছি নানাবিধ প্রাকৃতিক দূর্যোগ। বছর ঘুরে আবারও আমাদের মধ্যে ফিরে এলো শান্তি, সাম্য ও সম্প্রীতির সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। গভীর সংকটে নিপতিত মূহুর্তে ঈদুল আজহা এবার কার আয়োজনে নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষিত রাখবো এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে নাগরিক দায়িত্ব পালন করবো। চলমান রাজনৈতিক অঙ্গন নিয়ে আলোচনা কালে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রতিটি থানা ওয়ার্ড ও ইউনিট সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। আমি আশা রাখি এতে স্বচ্ছ, যোগ্য আওয়ামী পরিবারের নেতা কর্মীরা স্থান পাবে এতে দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আরও শক্তিশালী হবে। নানা জল্পনা-কল্পনা মধ্যে দিয়ে প্রস্তুতি চলছে থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী-লীগের সম্মেলন। ইতি মধ্যে কলাবাগান থানার ১৭ নং ওয়ার্ড অন্তর্ভূক্ত ইউনিটের সম্মেলন সম্পূর্ন হয়েছে এবং ১৭ নং ওয়ার্ড এর সম্মলনের প্রস্তুতি চলছে। আমি ইতি পূর্বে ধানমন্ডি পশ্চিম পান্থপথ ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং আগামী সম্মেলনে ১৭ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। তিনি আরও বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এর অনুপ্রেরণায় আমার কলাবাগান থানার ধানমন্ডি এলাকায় রাজনীতিতে পূনঃবৃত্তি ঘটে,ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস শুধু মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তা না তিনি ঢাকা-১০ আসনের তিন বারের সাংসদ সদস্য। নিজ গুণে ঢাকা- ১০ আসনকে অলংকৃত করেছেন। এ ছাড়াও তিনি নগর পিতা হিসেবে দক্ষিণের ৭৫টি ওয়ার্ডকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখেন। ঢাকা-১০ আসন তাঁর নিজ এলাকা হিসেবে এই আসনের এলাকাবাসির জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে, আস্থা ভালোবাসায় যত্নে গড়ে তুলেছেন নিজ গুনে। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে রাজপথে থেকেছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। পরিশেষে বলতে চাই, আগামী দিনে আমাদের মধ্যে ফিরে আসুক ঈদ আনন্দের পূর্ণতা। ঈদ হোক নিরাপদ, ঈদ হোক আনন্দের সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক।