• শিরোনাম

    পবা উপজেলার ১৩ নারী কর্মকর্তা

    ইউসুফ চৌধুরী রাজশাহী প্রতিনিধি মঙ্গলবার, ০৭ মার্চ ২০২৩

    পবা উপজেলার ১৩ নারী কর্মকর্তা

    apps

    সততা ও দক্ষতার সাথে নিজ নিজ দপ্তর পরিচালনা করছেন রাজশাহীর পবা উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান এই ১৩ নারী কর্মকর্তা। পাখির চোখে না দেখলে বিষয়টি ঠিক বোঝা যাবে না। সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাঠ পর্যায়ে ইতিমধ্যেই তাঁরা নিজ নিজ দপ্তরে অবদান রেখে অর্জন করেছেন সুনাম ও খ্যাতি। পরিচয় দিয়েছেন কর্মদক্ষতার। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে তাঁরা সবাই সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। সরকারের বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তর। তাঁদের সম্মিলিত নেতৃত্বে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। সরকারি এই ১৩ জন নারী কর্মকর্তা ঘর-সংসার সামলানোর পাশাপাশি নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করে ইতিমধ্যে তাঁদের যোগ্যতা ও দক্ষতার স্তর জানান দিয়েছেন।

    লসমী চাকমা
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার
    খাগড়াছড়ি জেলা সদরের বাসিন্দা লসমী চাকমা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন এবং ৩৩ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। ২০১৪ সালে চাকুরিতে যোগদান করেন। ২০২১ সালের অক্টোবর হতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পবা, রাজশাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার আগে বাংলাদেশ সচিবালয়ের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এড়াড়াও তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রাজশাহীতে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবেও কাজ করেছেন।
    তিনি যোগদানের পর থেকে সরকারি সেবাসমূহ দ্রুত জনগণের দোরগোড়ায় পোঁছানো এবং দুর্নীতি ও হয়রানীর অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই পদক্ষেপ গ্রহণ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, স্থানীয় বিরোধ ও সাধারণ অভিযোগ তদন্ত ও নিষ্পত্তিতে গণশুনানির আয়োজন, শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, সঠিক উপকার ভোগির মাঝে বিভিন্ন ভাতা প্রদান, বিভিন্ন দপ্তরের সাথে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ সমন্বয় সাধনসহ আশ্রয়ণ প্রকপ্লের কাজ সার্বক্ষণিক তদারকি এবং বাস্তবায়নে কাজ করছেন।
    তাঁর দক্ষ নের্তৃত্বে শুদ্ধাচার কৌশল চর্চা, সততা ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ পবা উপজেলা মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কর্তৃক পাইলট উপজেলা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও পবা উপজেলা পেয়েছে বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। সেবাগ্রহিতারা যেন সরাসরি কথা বলতে পারে সেজন্য অফিসের দরজা সাধারণ মানুষের জন্য রয়েছে উন্মুক্ত। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধিতে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, সামাজিক সম্প্রীতি বজায় ও সমস্যা দূরীকরণে জনগণকে যৌতুক, বাল্যবিবাহ, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধকরণসহ সরকার কর্তৃক গৃহীত কাযক্রম বাস্তবায়ন করছেন।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার লসমী চাকমা বলেন, সুখি-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে জনগনের সেবক হিসেবে সরকারি সেবাসমুহু দ্রুত জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই কাজ করছি। এজন্য প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা।

    ডাঃ রাবেয়া বসরী
    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
    ঢাকা সদরের উত্তরার বাসিন্দা ডাঃ রাবেয়া বসরী। শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। ২০১০ সালে বিসিএস (স্বাস্থ্য) এ উত্তীর্ণ হন। ২০১০ সালে পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহকারী সার্জন হিসেবে যোগদান করেন। এরপর নেত্রকোনা হাসপাতাল ও পরে মুগদা ৫০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন, বর্তমানে পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
    দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সুদক্ষ পরিচালনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাক্তার ও নার্সরা জরুরী ও বহির্বিভাগে প্রত্যান্ত এলাকার রোগীদের নিয়মিত সেবা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগে বৃদ্ধি পেয়েছে সেবা নিতে সাধারণসহ ডেলিভারি রোগীর সংখ্যা। যুক্ত করেছেন জিএ মেশিন, এক্সরে মেশিন, ইসিজি মেশিন, সাকার মেশিনসহ ব্লাড পরীক্ষার বিভিন্ন উপকরণ। অপারেশন থিয়েটার ও ডেলিভারি সেন্টারে সিজার, অপারেশন, আল্ট্রাসনোগ্রামসহ ও চব্বিশ ঘণ্টা নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা। এছাড়াও এনসিডি কর্নারে হাই ব্লাড পেশার, ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যেসেবা ও ঔষধ প্রদান, ভিশন, ভায়া, যক্ষা ও কুষ্ঠসেন্টার, ইপিআই কার্যক্রম, পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সেবা। এছাড়াও করেছেন কমপ্লেক্সের পরিবেশ ও অবকাঠামোর উন্নয়ন, ডাক্তারদের বসার উপযোগী ঘর, সিসি ক্যামেরা ব্যবস্থা, মাঠ সংস্কার ও গেট এবং বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ। ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন জেলা পর্যায়ে বেস্ট কর্মী সম্মাননা।
    ডাঃ রাবেয়া বসরী বলেন, ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলেও ৪৫/৫০ জন রোগী সবসময় থাকে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ২:৩০ টা পর্যন্ত আউটডোরে সেবা নিতে আসে ৬/৭ শত জন রোগী। করোনা কালীন সময়ে জরুরী বিভাগে প্রতিদিন দুই থেকে তিন হাজার রোগী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে স্টাফদের সমন্বয়ে কাজ করেছি। সকল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জনগণের দোরগড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এবং সেবার মান আরোও উন্নত করতে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছি। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সিভিল সার্জন, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদী।

    শামসুন নাহার ভুঁইয়া
    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
    ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের বাসিন্দা শামসুন নাহার ভুঁইয়া। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। কৃষিতে ২৯ তম বিসিএস এ উত্তীর্ণ হন। ২০১১ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে এবং পদোন্নতি পেয়ে ২০১৬ সালে পুঠিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে পবা উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে সরিষা, আলু, কলা, ভুট্টা, গম, পেয়াজ, উচ্চফলনশীল নতুন জাতের ধান, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে মাঠপর্যায়ে পরিদর্শন, কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা এবং জৈব সার ব্যবহারেও উদ্বুদ্ধ করছেন। দুই ফসলি জমিতে তিন ফসল ও তিন ফসলি জমিতে চার ফসল উৎপাদনে কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময়। বাড়ির আঙ্গিনার চাষযোগ্য জমি, কৃষিতে নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, নিরাপদ ফসল উৎপাদন, অনাবাদি পতিত জমি আবাদের আওতায় আনা, প্রত্যন্ত চর অঞ্চলে নতুন ফসল আবাদ ও আবাদের নিবিড়তা বৃদ্ধি, পুষ্টিকর ফসলের আবাদ বৃদ্ধি, নতুন জাত সম্প্রসারণে একজন নারী কর্মকর্তা হিসেবে কৃষকদের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ, পরামর্শ ও সহযোগিতা এবং সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। শামসুন নাহার ভুঁইয়া বলেন, ‘আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও সুনামের সঙ্গে পালন করে যেতে চাই। এতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’

    শামসুন্নাহার
    উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা।
    রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাসিন্দা শামসুন্নাহার। রাজশাহী কলেজ ভুগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০১১ সালে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকতা হিসেবে বাঘা উপজেলায় যোগদান করেন। বর্তমানে পবা উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহনের পর হতে মানব সংগঠন সৃষ্টি, দক্ষতা ও উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, গ্রামীন নেতৃত্বের বিকাশ ও নারীর ক্ষমতায়ন, পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচন বিষয়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নসহ দাপ্তরিক দায়িত্ব সফলতার সাথে প্রতিপালন করে যাচ্ছেন। তিনি উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রান্তিক জনপদের দরিদ্র মহিলা ও পুরুষদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে করছেন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও কর্মসংস্থানের জন্য সহযোগিতা ও পরামর্শ। দাপ্তরিক সেবায় সহজ শর্তে আর্থিক উদ্যোক্তা ঋণ সহায়তার ফলে সম্পৃক্ত হয়েছে মুদি দোকান, হাঁস-মুরগির খামার, গরুমোটাতাজাকরণ, টেইলারিং, ফুল চাষ, সবজী ব্যবসা, মাছ চাষ, কৃষিসহ বিভিন্ন পেশায়। কর্মসংস্থানের ফলে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অনেক পরিবার। শামসুন্নাহার বলেন, ‘নারীদের আলাদা করে দেখলে চলবে না। নারীরাও পারে সব ক্ষেত্রে অবদান রাখতে, এ জন্য চাই সহযোগিতা।’

    শিমুল বিল্লাহ্ সুলতানা
    উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা।
    সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের মেয়ে এবং বর্তমানে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা শিমুল বিল্লাহ্ সুলতানা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড ও এম এড সম্পন্ন করেন। ২০০১ সালে নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এরপর চাঁপাইনবাবগঞ্জ- শিবগঞ্জ, পাবনা-সাঁথিয়া, নাটোর- সিংড়া উপজেলা, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, বাঘা, চারঘাট এবং বর্তমানে পবা উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি যোগদানের পর থেকে নারীদের পারিবারিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে উঠান বৈঠকের মাধমে সচেতন করতে এবং সরকারঘেষিত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসুচী বাস্তবায়নে কাজ করছেন। এছাড়াও নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ফ্যাশন ডিজাইন (ড্রেস মেকিং ও ব্লক বাটিক) এবং ক্রিস্টাল শো-পিস ও ডেকোরেটেড ক্যান্ডেল মেকিং প্রশিক্ষণ প্রদান, ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সুবিধা বঞ্চিত অসহায় দুঃস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান ও সঞ্চয়ী করা এবং শাকসবজি চাষ, হাঁস মুরগি পালন, গাভী পালনে প্রশিক্ষণ প্রদান, পৌরসভায় ল্যাকটিটিং মাদার কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র কর্মজীবী গর্ভবতী ও দুগ্ধদায়ী মা’দেরকে ভাতা প্রদান, শিশুর পরিচর্যা, শিশু স্বাস্থ্য খাদ্য ও পুষ্টিমান সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান, কিশোর কিশোরী ক্লাব প্রকল্পের আওতায় সংগীত, আবৃতি, মার্শাল আট ও জেন্ডার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিভাবক সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসুচী দক্ষতার সহিত পালন করছেন।
    শিমুল বিল্লাহ্ সুলতানা বলেন, ‘আমাদের সমাজে এখনো অনেক নারী অবহেলিত। প্রতিটি পরিবার থেকে সহযোগিতা পেলে মেয়েরা অনেক কিছু করতে পারবে। এ কারণে নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানো খুব জরুরি।’

    আয়েশা সিদ্দিকা
    সাবরেজিস্ট্রার।
    ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার বাসিন্দা আয়েশা সিদ্দিকা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ প্যাথলজি বিভাগ থেকে এম এস সম্পন্ন করেন। ২৯ তম বিসিএস নন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হন। ২০১২ সালে মোহনপুর উপজেলায় সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। এরপর সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং বর্তমানে পবা উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে সততার সহিত দক্ষ নের্তৃত্বে নির্ধারিত সময়ে অফিস পরিচালনা করছেন। তিনি দলিল নিবন্ধন, দলিল প্রদান, জাবেদা নকল প্রদান, রাজস্ব আদায়, পরিদর্শন, দলিলের নকল সরবরাহ, সম্পত্তি হস্তান্তর সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ, প্রস্তুতকরণ, রেজিস্ট্রিকরণ বিষয়ে সহায়তা প্রদান কার্যক্রম সুদক্ষভাবে পরিচালনা করছেন। আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, আমি কাজ করতে ভালোবাসি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং উন্নয়নের সামিল হতে বদ্ধ পরিকর ।

    শিরিন মাহবুবা
    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
    রাজশাহী সদর বোয়ালিয়ার বাসিন্দা শিরিন মাহবুবা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৯৯৪ সালে মোহনপুর উপজেলায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এরপর সিরাজগঞ্জ সদর, রাজশাহীর দুর্গাপুর, চারঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলায় এবং বর্তমানে পবা উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন। যোগদানের পর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও বিএম কলেজসহ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে শিক্ষার গুনগত মান সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, ষষ্ঠ থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান, একাডেমিক ও প্রশাসনিক তত্ত্বাবধান এবং পরিদর্শন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, তথ্য হালনাগাদ করণ, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ, জরিপ, তদন্ত, শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার, সহশিক্ষাক্রমিক কার্যক্রম, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তার প্রযুক্তি ও বিষয় ভিত্তিক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন পরীক্ষা সংক্রান্ত এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, শিক্ষা মেলা ও সপ্তাহ, ইফটিজিং, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মা ও অভিভাবক সমাবেশসহ সরকার কর্তৃক গৃহীত কাযক্রম বাস্তবায়নে কাজ করছেন।

    মোছাঃ রেহেনা আক্তার
    ইন্সট্রাক্টর-উপজেলা রিসোর্স সেন্টার।
    চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বাসিন্দা মোছাঃ রেহেনা আক্তার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি স্নাতক ও প্রানীবিদ্যা বিভাগ থেকে এম.এস.সি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০০৩ সালে উপজেলা রিসোর্স সেন্টার এ ইন্সট্রাক্টর হিসেবে দুর্গাপুর উপজেলায় যোগদান করেন। এরপর রাজশাহীর বোয়ালিয়া, গোদাগাড়ীসহ বিভিন্ন উপজেলায় এবং বর্তমানে পবা উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে কোমলমতি শিশুদের শ্রেণী কক্ষ পরিদর্শন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিষয় ভিত্তিক একাডেমিক সুপারভিশন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, একীভূত শিক্ষা, টিএসএন, শিক্ষাক্রম বিস্তরণ, সাব-ক্লাস্টার লিফলেট তৈরী ও প্রশিক্ষণ, নব নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগণের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ, পর্যবেক্ষণ, মাকিং স্কীম ইত্যাদি প্রশিক্ষণ আয়োজন ও পরিচালনা এবং বাস্তবায়ন করছেন। দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন ও ভাল কাজের পুরষ্কার স্বরুপ ২০১৮ সালে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইন্সট্রাক্টর নির্বাচিত হয়েছেন।

    মোসা: ইসমোতারা খাতুন
    উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার অফিসার।
    রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাসিন্দা মোসা: ইসমোতারা খাতুন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০১৬ সালে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ৬৩ নং লক্ষী নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে এবং পরে ২০১৮ সালে নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায় সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। চাকুরী পরিবর্তন করে ২০২০ সালে বাগমারা উপজেলায় উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার অফিসার হিসেবে যোগদান করেন এবং বর্তমানে পবা উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যানবেইস এর আওতায় মানসম্পন্ন শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান বিনির্মাণ, ডিজিটাল তথ্য ব্যাবস্থাপনা, আইসিটি প্রশিক্ষণ ও আইসিটি শিক্ষা প্রসারে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষকদের আইসিটি বিষয়ক ট্রেনিং, শিক্ষা জরিপ, ইউনিক আইডি, মাল্টিমিডিয়া ল্যাব ভিজিট ও পরামর্শ প্রদান, শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের আওতায় নেওয়া, অনলাইন লাইভ ক্লাস ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার সাথে কাজ করছেন। সেইসাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইসিটি প্রশিক্ষণ ও বেকার নারী-পুরুষদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে।

    নুরুন নাহার
    উপজেলা সিনিয়র অফিসার ও শাখা ব্যবস্থাপক-পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক।
    চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুরুন নাহার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০১১ সালে শিবগঞ্জ উপজেলায় একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পে উপজেলা সমন্বয়কারী হিসেবে যোগদান করেন। পদোন্নতি হয়ে ২০১৮ সালে অফিসার সাধারণ হিসেবে মোহনপুর উপজেলায় এবং ২০২২ সালে সিনিয়র অফিসার ও শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক পবা উপজেলা শাখায় কর্মরত রয়েছেন।
    যোগদানের পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ দারিদ্র বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প পর্যায়ক্রমে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পে উপজেলার প্রান্তিক জনপদের পরিবারগুলোর উপার্জন বৃদ্ধি ও ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি, উদ্যোক্তা তৈরি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছেন। সদস্যদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে এসএমই, গবাদিপশু পালন, হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষ, কৃষি ও শাক-সবজি চাষ, নার্সারিসহ বিভিন্ন খাতে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা প্রদান, মনিটরিং, যাচাই বাছাই, অফিস ব্যবস্থাপনা, সদস্য, কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা এবং পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রদত্ত ঋণের টাকা আয়বর্ধনমুলক কর্মকান্ডে কাজে লাগিয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে সদস্যরা সম্পৃক্ত হয়েছে একাধিক পেশায়। রোজগারে সম্পৃক্ত হয়েছেন নারীরাও, সৃষ্টি হয়েছে উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান।

    সরকার নাইমুন নাহার
    ব্যবস্থাপক, ঊর্ধ্বতন মুখ্য কর্মকর্তা,
    রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।
    রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাসিন্দা সরকার নাইমুন নাহার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকর্ম বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৯৯৯ সালে কম্পিউটার প্রশিক্ষক হিসেবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর রাজশাহীতে যোগদান করেন। এরপর চাকরি পরিবর্তন করে ২০০০ সালে বিআরসি রিক্রুটমেন্ট থেকে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে অফিসার পদে পবা শাখা (নওদাপাড়া) যোগদান করেন। এরপর পদোন্নতি পেয়ে ২০১১ সালে সিনিয়র অফিসার, ২০১৫ সালে প্রিন্সিপাল অফিসার হিসাবে সেকেন্ড অফিসার এর দায়িত্বে ছিলেন এবং ২০২১ সালে ব্যবস্থাপক (ঊর্ধ্বতন মুখ্য কর্মকর্তা) হিসেবে খড়খড়ি শাখায় কর্মরত রয়েছেন। নাইমুন নাহার এই শাখার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে গ্রাহকসেবা প্রদানে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর বয়স্ক ব্যক্তিসহ দ্রুত সময়ে সকলের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছেন। শাখায় আগের চেয়ে ঋণ বিতরণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যদিকে শ্রেণীকৃত ঋণ আদায় লক্ষমাত্রা ১১৩% অর্জন করেছে যা বেশ সন্তোষজনক। ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদান করে বিভিন্ন ভাবে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করেছেন। তিনি বিচক্ষনতার সাথে তার দায়িত্ব সফল ভাবে পালন করে আসছেন। সরকার নাইমুন নাহার বলেন. দায়িত্ব নেওয়া পরে শাখা আগের বছরের তুলনায় তিনগুণ মুনাফা অর্জন করেছিল। সকলের সহযোগিতায় এবারও তিনি ভালো করবেন বলে আশাবাদী।

    জিনিয়া শারমিন
    তথ্য সেবা কর্মকর্তা।
    রাজশাহীর উপশহরের বাসিন্দা জিনিয়া শারমিন। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (স্নাতক) সম্পন্ন করেন। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন শীর্ষক প্রকল্পে ২০১৮ সালে পবা উপজেলায় তথ্যআপা অর্থাৎ তথ্য সেবা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারঘোষিত প্রকপ্লগুলো এগিয়ে নিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহণ, গ্রামীন পিছিয়ে পড়া মহিলাদের সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সেবাসমূহ সহজে নিশ্চিতকরণ, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সচেতন করতে জেন্ডার, উঠান বৈঠক, যৌতুক, পারিবারিক সহিংসতা, নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধকরণ ও আইনগত সহযোগিতা প্রদানে কাজ করছেন তিনি। এছাড়াও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বিনামূল্যে ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা, ওজন ও উচ্চতা পরিমাপ, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাপ ও শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা, তথ্যকেন্দ্রে ইন্টারনেটের মাধ্যমে চাকুরি সংক্রান্ত তথ্য, পরীক্ষার ফরম পূরন ও ফলাফল, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবার প্রসারে অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স, ই-লার্নিং, ওয়েবপোর্টাল, ই-মেইল, ভিডিও কনফারেন্স, ব্যবসা বিষয়ক লাল সবুজ প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদনকৃত পণ্য অনলাইন পেজে আপলোড ও বিক্রয়ের ব্যবস্থা, জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে তথ্যসেবা ও দৈনন্দিন বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কাজ করছেন।

    জাকিয়া সুলতানা
    উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর (ইউডিএফ)।

    রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বাসিন্দা জাকিয়া সুলতানা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর (এমএসএস) সম্পন্ন করেন। ২০১৩ সালে ইউনাইটেড স্টেট এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এ ঢাকায় মনিটরিং অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ২০১৭ সালে উপজেলা গভার্নেন্স এন্ড ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট (ইউজিডিপি) এ উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর (ইউডিএফ) হিসেবে বাগাতিপাড়া ও নাটোর সদরে যোগদান করে বর্তমানে পবা ও চারঘাট উপজেলার দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে আসা উন্নয়ন তহবিলের সুষ্ঠ ব্যবহার এবং সুশাসনের জন্য সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদকে সহজতর করতে কাজ করছেন। উপজেলার পরিষদের মাধ্যমে সক্ষমতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং উন্নয়ন কাজ পরিচালনা জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা এবং পরিকল্পনা গ্রহণে কাজ করছেন।

    বাংলাদেশ সময়: ১:৫৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ মার্চ ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ