খন্দকার জসিম উদ্দিন, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার ৬ নং পাঠাকাটা ইউনিয়ন কৈয়াকুড়ি কান্দাপাড়া মৃত শহিদুল ইসলাম ২০২১ শালে ৩ সন্তান এক স্ত্রী রাশিদা বেগমকে রেখে না ফেরার দেশে চলে যান।
মৃত্যু কালে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্রি বাবদ দুই শতক জমি একটা ভাঙা ঘর ছাড়া কিছুই রেখে যেতে পারেন নাই মৃত শহিদুল ইসলাম।
শুরু হয় রাশিদা ও তার তিন সন্তানের নিদারুণ নিষ্ঠুর কষ্ট, ছোট ছোট সন্তান মা রাশিদার কাছে যখন খাবার চায়, সন্তানদের বুঝানোর জন্য চুলায় চাউল ছাড়া ভাতের হাড়ি বসিয়ে দিয়ে বলেন, একটু অপেক্ষা কর, রান্না করছি।
এদিকে দুই তিন বাড়ি ঘুরে কিছু চাউল সংগ্রহ করে হাড়িতে পানি লবন দিয়ে জা রান্না করে খাওয়াতে থাকে।
ক্ষুদার জ্বালায় সন্তানরা সব খেয়ে ফেলে, ক্ষুধার্থ বিধবা রাশিদা বেগম পানি খেয়ে দিন পার করেছে এরকম অনেক দিন যায়।
উপায় উন্তর না দেখে ভিক্ষা বৃত্তি শুরু করে যা পায় তাই দিয়ে খাবারে ব্যবস্থা হয়।এর মধ্যে ছোট ছেলেটাকে এতিম খানায় দিয়েছে, সেখানে হাফেজে অধ্যয়ন করছে। এই হলো খাবার সমস্যা
এখন আসি থাকার বসত ঘর, ১৪ পাতার টিনের ছাউনি সহ একটা ঘর,ঘরটি উপরের টিন নষ্ট হওয়ায় সাড়া ঘরেই বর্ষা মৌশুমে পানি পড়ে সব ভিজে যায়। বৃষ্টির সময় তিন সন্তানদের নিয়ে মা রাশিদা বেগম স্কুলের বারান্দায় বসে রাত্রি যাপন করে। এই রাশিদার ঘরের অবস্থা।
রাশিদার ঘরের ব্যাপারে স্থানীয় ওই ওয়ার্ডের মেম্বার সাজু মিয়া জানান, রাশিদা বেগমের একটা ঘর জরুরি দরকার, সরকারি ঘরের ব্যাপারে জানতে চাইলে এশিয়ান টেলিভিশনকে বলেন, রাশিদা বেগমের জমি আছে তাই তাকে সরকারি ঘর দেওয়া যায় নাই। অথচ ৬ নং পাঠাকাঠা প্রধানমন্ত্রীর উপহার যাদেরকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে এমন পরিবার আছে সুবিধাভোগীর ছেলের দুতলা বাড়ি আছে।
দ্বিতীয় প্রকল্পে যার জমি আছে ঘর নাই সেই তালিকায় মেম্বার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।
বিধবা রাশিদা বেগম।
রাশিদা বেগম সমাজের বিত্তবান দানশীল সকলের কাছে এই এতিম বাচ্চাদের জন্য একটি ছোট টিনের চালা করে থাকার মত একটা ঘরের জন্য আবেদন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৪০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel