সাহেব আলী নওগাঁ রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
নওগাঁর নদীতে নাব্যতা ফেরাতে জেলা ধামইরহাট, পত্নীতলা ও মহাদেবপুর উপজেলার পাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদীর ২৭কিলোমিটার জুরে খনন করা হয়েছে। যার ফলে নদীতে ফিরেছে নাব্যতা। ইতিমধ্যে প্রায় ৯৫ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে করে নদীর দুই পাড়ের ফসলী কৃষি জমিতে পাচ্ছে সেচ সুবিধা। এদিকে নদীর নাব্যতা ফিরে আসায় কৃষি জমিতে ফলছে বিভিন্ন ফসল এবং একইসঙ্গে আত্রাই নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যার প্রবণতা কমছে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ, মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির আশা করছেন নদী পারের মানুষরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ধামইরহাটের সীমান্ত থেকে পত্নীতলা উপজেলা হয়ে মহাদেবপুর পর্যন্ত ২৭কিলোমিটার নদী খননের ফলে নদীর নব্যতা ফিরে এসেছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২কোটি টাকা।
নওগাঁ পানি উন্নয় বোর্ডের অধীনে আত্রাই নদী খনন কাজ করার কারনে নদী প্রাণ ফিরে পেয়েছে। নদীর চারপাশের ফসলি জমি পাচ্ছে সেচ সুবিধা।নদী জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি ফসল ও দেশি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত রক্ষা পাবে। নদীবেষ্টিত এলাকার মানুষের মধ্যে বহুমাত্রিক ব্যবহার ও সুবিধার আওতায় এসেছে। তবে নদী পারের মানুষদের দাবি নতুন করে যেন নদীতে ইজারা না দেওয়া হয়। এতে নদীর স্বাবাভিক নাব্যতা বিনষ্ট হতে পারে।
ধামইরহাট উপজেলার শিমুলতলী নদী পারের বাসিন্দা নারায়ন চন্দ্র বলেন, নদী খনন করায় নদীর নাব্যতা ফিরে এসেছে পাশাপাশি নদীর দুই পাড়ের জমিতে সেচ ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন হচ্ছে এবং বন্যার প্রবণতা থাকবে না, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে, মাছ উৎপাদন বাড়ছে। ইজারা দিলে নদীর নাব্যতা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। তাই ইজারা যেন আর নতুন করে না দেওয়া হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।
পত্নীতলা উপজেলার নজীপুর পৌরপার্ক এলাকার নদী পারের বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডর মাধ্যমে নদী খনন করা হয়েছে। এর ফলে নদীর নব্যতা ফিরেছে। জমিতে ফসল উৎপাদন হচ্ছে, সেচ সুবিধা পাচ্ছি আমরা। ইজারা দিলে নদীর পাড় ভেঙ্গে মাটি ও বালি নদীর ভিতরে চলে এসে চর পড়ে যাবে। যার কারনে নদীতে পানি থাকবেনা। তাই ইজারা যেন না দেওয়া হয় প্রশাসনের কাছে সেই দাবি রাখছি।
মুকুল হোসেন নামের স্থানীয় এক স্কুলের শিক্ষার্থী বলেন, আমরা নদীতে গোসল করতে পারছি নদী খননের কারনে পানি আছে পর্যাপ্ত। অনেকে কাপড় খাচে নদীতে। সবমিলে নদীতে যেন প্রাণ ফিরেছে। তবে ইজারা দিলে নদীর গতিধারা বিনষ্ট হতে পারে।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগ-৩ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী খনন কাজ সঠিকভাবে করা হয়েছে। কাজ প্রায় শেষের দিকে। এতে করে নদীর নাব্যতা ফিরে এসেছে। নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যার প্রবণতা কমবে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে, মাছ উৎপাদন বাড়ছে এবং কৃষি জমিতে সেচ কাজে তা সহায়ক হচ্ছে ও নদী ভাঙন রোধ হবে বলে আশা করছি। নদীর স্বাভাবিক গতিধারা যেন বিনষ্ট না হয় সেদিকে আমাদের নজরদারি আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৪০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel