• শিরোনাম

    খুলনার দিঘলিয়ার ‘কোলাহাটে’ ইজারাদারের অনিয়ম চলছেই, চাঁদা না দেওয়ায় মৎস্য ব্যবসায়ী ফিরে পাননি নির্ধারিত জায়গা মাছ বাজার মন্দা, বাড়ছে ক্ষোভ, প্রশাসনের নিরবতা

    খুলনা ব্যুরোঃ মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩

    খুলনার দিঘলিয়ার ‘কোলাহাটে’ ইজারাদারের অনিয়ম চলছেই, চাঁদা না দেওয়ায় মৎস্য ব্যবসায়ী ফিরে পাননি নির্ধারিত জায়গা মাছ বাজার মন্দা, বাড়ছে ক্ষোভ, প্রশাসনের নিরবতা

    apps

    খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নের কোলাহাটে ইজারাদারের অনিয়ম অব্যাহত রয়েছে। দোকান প্রতি দাবি করা হচ্ছে ২৫শ’ টাকা করে চাঁদা না পাওয়ায় বাজারের প্রতিষ্ঠিত মাছ ব্যবসায়ীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি তাদের জন্য নির্ধারিত ব্যবসার জায়গা।
    এদিকে, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ইজারাদারের অনিয়ম তুলে ধরে রিপোর্ট প্রকাশ হলেও উপজেলা প্রশাসন রহস্যজনক নিরবতা পালন করছে। অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি শাস্তিমূলক কোন পদক্ষেপ। এতে করে একদিকে ব্যবসায়ীদের ওপর ক্ষোভ বিরাজ করছে, অপরদিকে বাজারে এক ধরণের মন্দাভাব দেখা দিয়েছে।
    অভিযোগ উঠেছে, ইজারাদার গাজীরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি মেম্বরের ভাইপো এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সু-নজর থাকায় অবৈধ প্রভাব বিস্তার করায় স্থানীয় বাসিন্দারা এ বিষয়ে মুখ খোলার সাহস পায়না। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিরাও এ বিষয়ে পালন করছেন রহস্যজনক নিরবতা। অবৈধ অর্থের ভাগ জনপ্রতিনিিধ ও প্রভাবশালীদের পকেটেও যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
    বাজারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাছ ব্যবসায়ীরা ইজাদারকে টাকা না দেওয়ার জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে বাজারের মাছ চান্দির মধ্যে কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের বসানো হয়েছে। আর মাছ ব্যবসায়ীরা নদীরপাড়ে রাস্তায় উপর দোকান বসিয়ে নানা সমস্যার মধ্যে কোন রকমে মাছ বিক্রি করছেন। মাছ ব্যবসায়ীদের জায়গা পরিবর্তন করায় বাজার মন্দাভাব বিরাজ করছে। এতে ব্যবসায়িক ও আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এ বিষয়ে অভিযোগ করার পরও উপজেলা প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, গাজীরহাট ইউনিয়নের কোলাহাটের ১৪৩০ বাংলা বছরের জন্য ইজারা নেন মোঃ সাহিদ মোল্লা। ইজারা নেয়ার পর ১০/১২ জনকে শেয়ার নিয়ে কোলাহাট পরিচালনা করছেন তিনি। কিন্তু ইতিমধ্যেই অবৈধ অর্থ দাবির ঘটনায় বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন তিনি।
    কোলাহাটের ৩০/৩৫ বছরের মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা ৩০/৩৫ বছরের বেশি কোলাহাটে মাছ বিক্রি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন-যাপন করি। এ পর্যন্ত আমাদের কেউ গালিগালাজ করেনি। কিন্তু বর্তমান ইজারাদার ও তার লোকজন আমাদের গালিগালাজ করেছে এবং দোকান প্রতি ২হাজার ৫শ’ টাকা করে বাধ্যতামূলক দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। তা নাহলে কোলা হাটে ব্যবসা করা যাবে না বলে হুমকি দেয়।
    কোলা হাটের মাছ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা ৩০/৩৫ বছরের বেশি কোলাহাটে মাছ বিক্রি করি। নতুন ইজারাদার হাট নেওয়ার পর আমাদেও মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে খাজনা বাদে বাড়তি দোকান প্রতি ২ হাজার ৫শ টাকা দাবি করে। এমনকি বাড়তি টাকা না দিলে কোলা হাটে ব্যবসা করতে পারবি না বলে হুশিয়ারী দেয়। আমরা ৩৭ মাছ ব্যবসায়ীরা টাকা চাওয়ার প্রথম হাটে আমরা আসিনা। পরের হাটে আমরা হাটে আসলে আমাদের ৩০/৩৫ বছরে মাছের চান্দিতে না বসতে দিয়ে নদীর পাড়ে বসতে বলে ইজাদাররা। আর ইজাদার বলে আগামী হাটে তোদের জায়গায় বসতে দিব। কিন্তু আগামী হাট আর আসছে না। নদীর পাড়ে বসায় ক্রেতা কম হচ্ছে।
    কোলা হাটের ইজারাদার মোঃ সাহিদ মোল্লা এ প্রতিবেদকে বলেন, ডিরামের পানির জন্য মাছের চান্দির ভিতর কাদাঁ হয়ে যায় এ কারনে মাছ ব্যবসায়েিদর নদীর পাড়ে বসানো হয়। আর মাছ ব্যবসায়ীরা মাটির রাস্তা ও আংশিক ঢালাই পরে বসে ব্যবসা করে। মাছ ব্যবসায়ীরা পূর্বে যে জায়গায় ব্যবসা করত সেখানে শাক শবজি ও কাচাঁ মালের ব্যবসায়ীদের বসানো হয়েছে।

    এ বিষয়ে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খান মাসুম বিল্লাহ এ প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি খুলনা- ৪ আসনের সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে। তিনি তাৎক্ষণিক গাজীরাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা মফিজুর রহমান ঠান্ডুকে বলে দিয়েছেন বাজারে খাজনা বাদে অতিরিক্ত কোন টাকা নেওয়া হবে না। ওই বাজারে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে কোন সমস্যা না হয়। তারপরও বিষটি আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। কোন অন্যায়কে মেনে নেয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
    দিঘলিয়া উপজেলার চেয়রম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন এমপি সাহেব কে বলা হয়েছে।মাছ বাজারের ভিতরে তরকারির দোকান বসানো হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই খোঁজখবর নিয়ে দেখি।

    বাংলাদেশ সময়: ১১:১৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ