• শিরোনাম

    কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শিক্ষা বিস্তারে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত

    আব্দুস সোবহান চান, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

    কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শিক্ষা বিস্তারে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত

    apps

    কাজিপুরে উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শতভাগ সফলতা অর্জন করতে,ঝরে পড়া রোধে করণীয় নির্ধারনে নানা শিক্ষামুলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী । প্রাথমিক শিক্ষা মান উন্নয়ন, মান সম্মত শিক্ষা পরিবেশ, শিশু পরিবেশ বান্ধব শিক্ষা নিশ্চিত করতে, দৈনিক সমাবেশ নিশ্চিতকরন, খেলাধুলার পরিবেশ তৈরি , খেলাধুলার মাঠ দখল মুক্ত করতে, ,ঝরে পড়া রোধ, সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলো যথাযথ বাস্তবায়ন,লেখাপড়ায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধকরতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। তারই লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করতে মাঠে নেমেছেন কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী।তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে বই বিতরণ, খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ,স্কুল পোশাক বিতরণ, খেলাধুলার মাঠ দখল মুক্ত করতে, অভিভাবক সমাবেশ, টিফিন বক্স বিতরণ, মিডডে মিল চালু অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সময়ে নানা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকগণকে দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যানের মর্যাদা।

    উপজেলা প্রশাসনের অনুপ্রেরণায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণের টিআর প্রকল্প থেকে উপজেলা পরিষদের উদ্যেগে নাটুয়ারপাড়া ও কান্তনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২টি ল্যাপটপ এবং কাজিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক উপজেলার চল্লিশ টির অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাধিত উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে: এডিপি (এনুয়াল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্ৰাম)উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ থেকে
    ৫ এর অধিক বিদ্যালয়ে গাইড ওয়াল, বাউন্ডারি নির্মাণ। কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১০ টির অধিক বিদ্যালয়ে মাটি ভরাট ও টয়লেট, রাস্তা, ওয়াশব্লক স্থাপন, বিদ্যালয় মেরামত উল্লেখযোগ্য। উপজেলা পরিচালনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের (জাইকা) আওতায় ৩ টি বিদ্যালয়ে বেঞ্চ সরবরাহ। জেলা প্রশাসকের ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বরাদ্দ। এছাড়াও ইউপি উন্নয়ন সহায়তা প্রকল্পের আওতায় গাইড ওয়াল নির্মাণ এবং ব্যক্তিগত সহায়তা উল্লেখযোগ্য। তার পরিকল্পিত উন্নয়ন পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে
    ১। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং নিবিড় তত্ত্বাবধান এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের জন্য অবদান।
    ২। সংশ্লিষ্ট উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের উপস্থিতি নিশ্চিত করণ।
    ৩। শিশুদের ঝরে পড়া রোধ।
    ৪। ব্যক্তিগত দান, উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল বা জনগণের সহযোগিতায় বিদ্যালয় ভবন, টয়লেট মেরামত এবং রং করার ব্যবস্থা গ্রহণ।
    ৫। ব্যক্তিগত দান, উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল বা জনগণের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ে শিশুদের জন্য বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল, খেলনা এবং আইসিটি উপকরণ সরবরাহ।
    ৬। শিক্ষা এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্যবহুল প্রবন্ধ/নিবন্ধন/বই প্রকাশ।
    ৭। বিদ্যালয় কে আকর্ষণীয় করার জন্য সক্রিয় সহযোগিতা প্রদান।
    ৮। প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে রেডিও টেলিভিশনে বক্তব্য কথিকা আলোচনা অংশগ্রহণ।
    ৯। বিদ্যালয় পরিদর্শন করে উন্নয়নের ক্ষেত্র চিহ্নিত করে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান।
    ১০। শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের উন্নয়নে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান।
    ১১। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজন এবং পৃষ্টষকতা প্রদান।
    ১২। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ আরম্ভরপূর্ণ ভাবে উদযাপনে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা প্রদান এবং উপজেলা পর্যায়ে পদক বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ।
    ১৩। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির নিয়মিত সভা আয়োজন,
    ১৪। অন্যান্য অবদান, ১৫। উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন এবং ১৬। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান।
    এছাড়াও বিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন সমস্যা শিক্ষার্থীদের বসার জন্য বেঞ্চ,, করোনা কালীন সময়ে অনলাইন স্কুল চালুকরণ, অনলাইন স্কুল পরিচালনায় শিক্ষক- শিক্ষাকাদের সাথে মত বিনিময়, শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার সামগ্রী বিতরণ, প্রতিটি স্কুলে বঙ্গবন্ধু বুক কর্নার,মুক্তি যুদ্ধ কর্নার সহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহনের মধ্যদিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।মাঠ পর্যায়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এবং প্রধান শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও ঝরে পড়া রোধকল্পে বিদ্যালয় পরিদর্শন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এবং অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়,অভিভাবক সমাবেশ অংশ গ্রহন, বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় বেঞ্চ সরবরাহ, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, অবকাঠামো নির্মান, টয়লেট স্থাপন, ডিজিটাল হাজিরা সহ নানাবিধ প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং তা’ একের পর এক বাস্তবায়ন করে চলেছেন চেয়ারম্যান ।

    এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ছাড়া কোনো দেশ ও জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে গেলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার মান উন্নত করতে শিক্ষকের ভূমিকাই সর্বাধিক অগ্রগণ্য। অভিভাবকদের সচেতন করার দায়িত্বও শিক্ষকদের। শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের জন্য শিক্ষককে আন্তরিক হতে হবে। শিক্ষক দরদি মন নিয়ে শিক্ষা দিতে হবে। শিক্ষককেই সমাজের পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। যেকোনো দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানসম্মত শিক্ষার বিকল্প নেই।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম।আমরা সেই কার্যক্রম কে আরও তরান্বিত করতে চাই।একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।

    বাংলাদেশ সময়: ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ