• শিরোনাম

    কনকর্ডই বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদনে সেরা

    মোঃ ওমর ফারুক, বিশেষ প্রতিনিধিঃ বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

    কনকর্ডই বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদনে সেরা

    apps

    দেশ-বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা গুলো নির্মাণে কনকর্ড অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে।এছাড়াও পোরামাটির ইটের ব্যবহার বন্ধে ১৯৯৮ সালে কনকর্ডই বাংলাদেশে প্রথম গড়ে তোলে পরিবেশবান্ধব ইট, ব্লক, টাইলস নির্মানের কারখানা বলে পরিচিত লাভ করেছে।

    বর্তমানে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এর সবচেয়ে প্রভাবিত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে পৃথিবীর অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ আমাদের দেশ। পরিবেশ বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ পোড়ামাটির ইট।পোড়ামাটির ইট ব্যবহার এর ফলে বায়ু দূষণ হয় সর্বোচ মাত্রায়,যার ফলে বায়ু দূষণে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বের প্রথম।

    পরিবেশের দূষণ রোধে, বাংলাদেশে কনকর্ডই ২৫ বছর আগে প্রথম দিন গ্রীন ব্রিক ব্যবহারের শুরু করে।বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সরকার নির্মাণ কাঠামো গত শতভাগ গ্রিন ব্রিক ব্যবহারের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা পরিবেশ দূষণ রোধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।

    কনকর্ডের মাননীয় চেয়্যারম্যান এস এম কামাল উদ্দীনের দূরদর্শী সিদ্ধান্তে বারিধারা থেকে মাত্র ২০ মিনিটের দূরত্বে গড়ে ওঠে পরিবেশ নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি বাংলাদেশের প্রথম দূষণ মুক্ত স্যাটেলাইট নগরী লেকসিটি কনকর্ড।উল্লেখ্য যে, বিগত ২৫ বছরে কনকর্ডের কোনও প্রকল্পে পোড়ামাটির ইস ব্যবহৃত হয়নি।

    কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি দিয়ে বানানো ইট পোড়াতে করলা চার করার পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে। সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পোড়া ইটের বিকল্প পরিবেশবান্ধব কংক্রিট ব্লকের ব্যবহার বাড়ায় পরিবেশের ক্ষতি বন্ধ করে নতুন আশা সৃষ্টি করেছে। দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনা ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ বির্নিমাণের লক্ষ্যে কনকর্ড স্থাপন করেছে তাদের পঞ্চম গ্রীন ব্লক/ব্রিস্ক প্লান্ট।

    কনকর্ড এর প্রথম ও দ্বিতীয় প্ল্যান্টের তৈরি পোয়েটোস পি সেভেন্টি/ নাইনটি নামক দুটি মেশিন বসানো হয় যার মাধ্যমে প্রতিটি প্ল্যান্টে প্রতি ৮ ঘণ্টায় ৫৯,৫২০ করে মোট ১,১৯,০৪০ টি নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদন করে । তৃতীয় প্ল্যান্টে জার্মানি থেকে ডিজাইনকৃত টি-টেন নামক একটি মেশিন যোগ করা হয় যা প্রতি ৮ ঘন্টায় প্রায় ২৬,০৮০টি নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদন করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর বেসার নামক মেশিনটি কনকর্ড-এর চতুর্থ প্ল্যান্টে বসানো হয় যা প্রতি ৮ ঘণ্টা ১২,০০০ নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদন করতে পারে।

    আরও উল্লেখ্য, ৫ম এই প্ল্যান্টটি প্রতি ৮ ঘন্টায় সর্বমোট তৈরী হবে ৭৮,০০০ পিস নির্মাণ সামগ্রী। জার্মানিতে প্রস্তুতকৃত জেনিথ জেড এন- নাইন হানড্রেড সি নামক নতুন এই মেশিনটির মাধ্যমে কনকর্ড এ সক্ষমতা ৩০-৪০% বৃদ্ধি পাবে। উন্নতমানের এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরী এই প্রশ্নেটি নির্মাণ শিল্পে এক অন্যমাত্রা যোগ করবে সেই সাথে রিমেকা পালন করে দেশে কৃষিজমির মাটির ব্যবহার না কমাতে সরকারি নির্মাণকাজ ২০২০ সালের মধ্যে শতভাগ পরিবেশবান্ধার ব্লক হয় ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । ২০২০ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যে প্রতি বছর ২০% হারে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট সরকারী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনা করে কনকর্ড এই প্ল্যানটি স্থাপন করেছে।

    পরিবেশ সংরক্ষণে কনকর্ড-এর মতো উদ্যোতাদের জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। এই খাতে ট্যাক্স আর আমদানি শুল্ক মওকুফ করলে পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করা সম্ভব। সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করলে আরও উদ্যোক্তারা এ কাজে এগিয়ে আসবে।উল্লেখ্য পরিবেশন দূষণ ও সংরক্ষণে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কনকর্ডকে জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২০ প্রদান করে।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,শাহরিয়ার কামাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কনকর্ড গ্রুপ। নাজিয়া কারিশমা কামাল, পরিচালক, কনকর্ড গ্রুপ। মোঃ আশরাফুল আলম, মহাপরিচালক, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট। মোঃ আব্দুস সালাম মোল্লা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এম. মাহফুজুর রহমান, হেড অব মিডিয়া এন্ড পি আর। মো: জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া (শামীম) সহকারী ম্যানেজার মিডিয়া এন্ড পি আর। এছাড়াও কনকর্ড গ্রুপের অন্যান্য কর্মকর্তা গন উপস্থিত ছিলেন।

    বাংলাদেশ সময়: ৭:১৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    চলচ্চিত্রে তিশা-মনোজ জুটি

    ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

    আর্কাইভ