• শিরোনাম

    হবিগঞ্জে আলোচনায় ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী

    মুহাম্মদ শাহ জালাল আহাম্মদ সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

    হবিগঞ্জে আলোচনায় ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী

    apps

    হবিগঞ্জের তিনটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে সর্ব মহলে আলোচনা চলছে। তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সমর্থিত হলেও নিজের কৌশল ব্যক্তি ইমেজের কারনে দলীয় প্রতীক পাওয়া প্রার্থীদের থেকেও এগিয়ে আছেন বলে স্থানীয় ভোটারদের দাবি। দলীয় নিষেধাজ্ঞা না থাকার কারণে একই আসনে দলের একাধিক প্রার্থী থাকায় স্থানীয় ভোটারদের কদর বেড়েছে।

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি বিরোধীদল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ নিবন্ধিত কয়েকটি রাজনৈতিকদল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।

    নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৭জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই হিসেবে হবিগঞ্জের ৪টি আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের মোট ৪০জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যদিও এখন পর্যন্ত মনোনয়ন যাচাই বাছাই চলছে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ঘুম হারাম করে দিয়েছেন দলীয় প্রতীক পাওয়া প্রার্থীদের।

    জেলার চারটি আসনের মধ্যে ৩টি আসনে চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠ সরগরম করে রেখেছেন। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ। ইতিপূর্বে দলের মধ্যে যারা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন তাদের কদর এখন বেড়ে গেছে। নিজ দলের নেতাকর্মীরা প্রায় দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে আছেন। অন্যদিকে নিরাপদ অবস্থানে রয়েছেন হবিগঞ্জ ৩আসনের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এড. মোঃ আবু জাহির।

    সর্বত্র আলোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত ৪জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা হলেন, হবিগঞ্জ ১ আসনের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য এড. আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর ছেলে ও যুবলীগ নেতা গাজী মোঃ সাহেদ। হবিগঞ্জ ২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য এড. আব্দুল মজিদ খান ও হবিগঞ্জ ৪ আসনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

    ভোটাররা বলছেন, এবার নিজেদের মধ্যে যোগ্যতার খেলা হবে। নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সময় এসেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোটের মাঠ সরগরম করে রেখেছেন। ইতিমধ্যে তারা নিজেদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন। দলীয় নেতাকর্মীদেরকে বিভিন্ন কৌশলে নিজেদের বলয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

    বাহুবল-নবীগঞ্জ, আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী। এখানে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য এড. আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, যুবলীগ নেতা গাজী মোঃ সাহেদ।

    বানিয়াচং-আজমিরিগঞ্জ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ও হাওর বেষ্টিত কৃষি নির্ভর এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল। এখানে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন তিনবারের সংসদ সদস্য এড. আব্দুল মজিদ খান।

    হবিগঞ্জ সদর- শায়েস্তাগঞ্জও লাখাই, এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তিনবারের সংসদ সদস্য এড. মোঃ আবু জাহির। এই আসেন নিজ দলের কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন তিনি।

    মাধবপুর-চুনারুঘাট, এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড. মোঃ মাহবুব আলী এমপি। এই আসেন নিজ দলের কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি ভোটের হিসাব নিকাশ যেকোনো সময় পাল্টে দিতে পারেন বলে ভোটাররা মনে করছেন।

    অন্যদিকে শেষ সময়ে চমক দেখাতে পারেন হবিগঞ্জ ১ আসনের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য এড. আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। কারণ তিনি তার নির্বাচনী এলাকার মানুষদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ইতিপূর্বে এলাকার উন্নয়নের জন্য একাধিক কাজ করেছেন।

    বাংলাদেশ সময়: ৪:৪৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ