রবিবার ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩ কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

>>

সিরাজগঞ্জে ৪০টাকায় দুধ আর ৭০টাকায় মিলছে ১ডজন ডিম

টি.এম.এ হাসান, সিরাজগঞ্জ:   |   শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১   |   প্রিন্ট

সিরাজগঞ্জে ৪০টাকায় দুধ আর ৭০টাকায় মিলছে ১ডজন ডিম

তুলনামূলক কম দামে ভালো মানের দুধ। লাইনে দাঁড়িয়ে কিনছেন ক্রেতারা। শুধু তাই নয়, পৌর ও উপজেলা পর্যায়ে এ ধরনের গাড়িতে পাওয়া যাবে ৭০ টাকায় এক ডজন ডিম। এ কার্যক্রম সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খামারে উৎপাদিত দুধ সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে পরিচালিত এ কার্যক্রমে খামারি ও ভোক্তা লাভবান হচ্ছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, এলডিডিপি প্রকল্প ও শাহজাদপুর ডেইরি এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সর্বাত্মক লকডাউন এবং পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ যানবাহনের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে দুধ বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে সিরাজগঞ্জে সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটার একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে ওঠে। এরপরই অঞ্চলটিতে হাজার হাজার গরুর খামার গড়ে ওঠে। সেখান থেকে মিল্কভিটা এখন প্রতিদিন ২ লাখ ২৫ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করে। তরল দুধ, পাউডার দুধ, কনডেন্সড মিল্ক ও খাঁটি গাওয়া ঘি তৈরি করে দেশের সিংহভাগ চাহিদা পূরণ করছে। বর্তমানে শাহজাদপুর উপজেলায় সমবায় ভিত্তিক গো-খামার থেকে প্রতিদিন সাড়ে ৩ লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। এখান থেকে প্রতিদিন মিল্কভিটা ৯০ হাজার লিটার, প্রাণ ৪০ হাজার লিটার, আড়ং ১০ হাজার লিটার ও ইগলু ১ হাজার লিটারসহ বিভিন্ন মিষ্টির দোকন ও ঘোষেরা বাদবাকি দুধ ক্রয় করেন থাকেন। শনিবার দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারের এক সপ্তাহের লকডাউনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে উৎপাদিত এখন ভ্রাম্যমান ভ্যান গাড়ীতে বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথমদিকে দুটি গাড়ীতে দুধ রাখা হয়েছে ১৫০ লিটার। বর্তমানে প্রতিদিন দুটি ভ্রাম্যমান ভ্যান গাড়িতে ১ হাজার লিটার দুধ পৌর ও উপজেলার বিভিন্নস্থানে ন্যায্যমূল্যে ৪০ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। পাশাপশি ৪ হাজারের বেশি মুরগির ডিমও বিক্রি হচ্ছে। তুলনামূলক দুধ ও ডিমে দাম কম হওয়ায় দিনদিনই বাজারেও দুধের চাহিদা বাড়ছে। ভ্রাম্যমান গাড়ীর সঙ্গে রয়েছেন একজন খামারি ও প্রাণীসম্পদ অফিসের একজন স্টাফ। প্রাণিসম্পদের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে উৎপাদিত দুধ নিয়ে খামারি বিপাকে পড়লেও মিল্কভিটা, প্রাণ, আড়ংসহ অন্যান্য কোম্পানীগুলো দুধ কেনা অব্যাহত রাখায় এখন অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছেন। তবে মিষ্টির দোকান, ঘোষ ও চা স্টল বন্ধ এবং হাটবাজারে লোক সমাগম কমে যাওয়ায় খোলাবাজারেও খুচরা দুধের চাহিদা কমে গেছে। তবে রমজান মাস হওয়াতে দুধের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে গেছে। মিল্কভিটার পরিচালক ও শাহজাদপুর ডেইরি এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ সামাদ ফকির বলেন, লকডাউনে শুরু হওয়ায় খামারিরা অনেকটা দূর্ভোগে পড়েছে। বাজারে দুধের দাম ৬০ টাকা হলেও ৪০ টাকা ধরে বিক্রি করতে হচ্ছে ভ্রাম্যমান গাড়িতে। তবে দুধ বিক্রির টাকা দিয়েও মিলছে না গো খাদ্য। গাড়ী চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে খামারিরা। তিনি আরও বলেন, করোনার এই দুর্যোগেও মিল্কভিটা, প্রাণ, আকিজ, আড়ংসহ অন্যান্য কোম্পানীগুলো ন্যায্যমূল্যে উৎপাদিত দুধ কেনায় স্বস্তিতে রয়েছেন খামারিদের। যদি এই কোম্পানীগুলো দুধ না কিনতে তাহলে খামারিদের পথে বসতে হতো। এই অবস্থায় উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর, এলডিডিপি প্রকল্প ও শাহজাদপুর ডেইরি এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ যানবাহনের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে দুধ বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

Facebook Comments Box

Posted ৮:৫৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১১ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬, ০২ ৪১০৫০৫৯৮

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins