• শিরোনাম

    সিরাজগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: বিএনপির ১৭৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

    জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ: শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

    সিরাজগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: বিএনপির ১৭৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

    apps

    সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা ও উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নামসহ ১৭৬ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা বাদী হয়ে ২৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে কামারখন্দ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

    আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ সুইট, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌস ও সাধারণ সম্পাদক রেজাতে রাব্বি উত্থানসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ২৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

    এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক জামতৈল গ্রামের বাসিন্দা হাবিল উদ্দিন মণ্ডল (৫৫) ও উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম ওরফে লাভলী (৫১)।

    কামারখন্দ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুন্নবী প্রধান জানান, দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে ও অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরও দেড়শ জনকে। মামলার দুই আসামিকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা বলেন, বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তাদের সভা শেষে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আমি নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছি।

    প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় বিএনপির সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাথে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও কামারখন্দ সার্কেলের এএসপিসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন।

    এ সময় রুমানা মাহমুদের গাড়িসহ চারটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগ একে অপরকে দায়ী করেছে।
    এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ সিরাজগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

    বাংলাদেশ সময়: ৬:১৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ