গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ২২তম মহামন্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পাবনা এ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টারযোগে অবতরণ করেন। সোমবার (১৫ মে-২০২৩ খ্রি.) বেলা সাড়ে ১১টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সশস্ত্রবাহিনী সহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী একটি বিশেষ গাড়িতে করে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে সার্কিট হাউজে নিয়ে যান। এ সময় তাঁকে সালাম প্রদর্শন ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে পাবনার বিশিষ্টজনেরা সার্কিট হাউজে সৌজন্য শুভেচ্ছা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা, ছেলে আরশাদ আদনান রনিসহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক ও মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএম জাফর উল্লাহ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স, সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমীন জলি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধ আ. স. ম. আব্দুর রহিম পাকন, জেলা আ.লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম, প্রফেসর শিবজিত নাগ, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানসহ পাবনার বিশিষ্টজন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রমুখ।
এরপর দুপুরে খাবার শেষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি পাবনা জেলা পরিষদ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর মুড়্যালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন ও বঙ্গবন্ধু চত্বরের ভিত্তিপ্রস্তর শুভ উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে তিনি আরিফপুর কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে কবর জিয়ারত করে দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া করেন। এরপর রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে সার্কিট হাউসে ফিরে আসেন।
১৬ মে সকাল ১০টায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি পাবনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর বেলা ৩ টায় পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে বিশাল নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে। ১৭ মে সকালে পাবনা ডায়াবেটিক সমিতি পরিদর্শন ও শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বিনোদন পার্ক পরিদর্শন করবেন। এরপর সার্কিট হাউজে রাত্রি যাপন করে ১৮ মে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে পাবনা জেলাকে কঠোর নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা হয়েছে। প্রায় ৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হবে। এসএসএফ, পিজিআর, ডিজিএফআই, এনএসআই, পাবনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানের স্থানগুলো পরিদর্শন ও তদারকি করছেন।
