• শিরোনাম

    রায়পুরায় বিদেশ পাঠানোর নামে অর্থ আত্মসাৎ

    শাহরিয়ার আহমেদ পরাগ মঙ্গলবার, ০৯ মে ২০২৩

    রায়পুরায় বিদেশ পাঠানোর নামে অর্থ আত্মসাৎ

    apps

    নরসিংদীর রায়পুরায় বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ১৭৩ নং ফুলদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তার চাচার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    অভিযুক্তরা হলো বর্তমান ফুলদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত সাহাজ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মোঃ ইসমাইল (৫৫) এবং একই গ্রামের মৃত আপ্তাব উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে আবুল কাশেম (৫৮)। ভুক্তভোগী উপজেলার থানাহাটি এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি আর মামলা করেন। মামলা নম্বর- ৮৪/২৩।

    নরসিংদী জেলা দায়রা ও জজ আদালতের অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৭ মার্চ মাসের ১ তারিখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিজ বাড়ি পলাশতলী ইউনিয়নের জামতলী ভূঁইয়া বাড়িতে গিয়ে ৬ লাখ টাকা প্রদান করেন। আসামিরা তাকে আশ্বাস দেন তিন মাসের মধ্যে অর্থাৎ ওই বছরের জুনের ২৮ তারিখে তাকে ৪০ হাজার টাকা বেতনের চাকরিতে মালেশিয়া পাঠাবেন। কিন্তু ওই সময় অতিবাহিত হলেও আসামিরা তাকে বিদেশ পাঠাতে সক্ষম হয়নি। এরপর আসামিদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তারা টালবাহানাপূর্বক কালক্ষেপণ শুরু করেন।

    একপর্যায়ে গত বছরের ২৩ জুলাই বাদীকে টাকা ফেরত দিবে না বলে সাফ জানিয়ে হুমকি-ধমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে এ বছরের ২৩ জানুয়ারী ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক ও চাচার নামে মামলা করেন।

    অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ইসমাইলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেননি। নরসিংদী জেলা দায়রা ও জজ আদালতের এডভোকেট আরিফুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক ইসমাইল ও তার আপন চাচার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালত সন্তুষ্ট হয়ে গত ২ মে (২০২৩) চার্জ গঠন করেন।

    ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম প্রতিনিধিকে জানান, গত ২০১৭ সালের মার্চ মাসে আমি ও আমার স্থানীয় গ্রামের আমীর হোসেন সহ দুজনে মালশিয়া যাওয়ার জন্য ৩ লাখ করে মোট ৬ লাখ টাকা দেই। কথা ছিলো টাকা দেওয়ার ৩ মাসের মধ্যে আমাদেরকে প্রত্যেক মাসে ৪০ হাজার টাকা বেতন চাকুরী দিবে। চাকুরী তো দূরের কথা আজও পর্যন্ত মালেশিয়া যেতে পারেনি। আজ নয় কাল বলে আমাদেরকে ঘুরিয়েছে। এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার সামাজিক দেন-দরবার হলেও তিনি ও চাচা উপস্থিত হননি। পরে তার বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে তিনি আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখায়।

    তিনি আরও বলেন, একজন শিক্ষক হয়ে এধরনের কাজ করতে পারে আমার জানাছিলো না। আমরা তাকে বিশ্বাস করেছিলাম। উপায় না পেয়ে আমি টকা ফেরতের আশায় আইনের আশ্রয় নিয়েছি। বর্তমানে আমার পরিবার আর্থিক সংকটে মানবতার জীবন যাপন করছে বলে তিনি জানান।

    এবিষয়ে শিক্ষক নেতা বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষকতা মহান পেশা। শিক্ষক হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। এ পেশার পাশাপাশি কিছু কথিত শিক্ষকরা বর্তমান সমাজে নানা অপরাধমূলক পেশায় নিজেকে জড়িয়ে কলঙ্কিত করছেন। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে শিক্ষকদের উপর মানুষের আস্হা কমবে আসবে। এসব এনেহ কাজ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। যারা এসব অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

    বাংলাদেশ সময়: ৮:৩২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ মে ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ