• শিরোনাম

    রংপুরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

    রংপুর ব্যুরো: মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

    রংপুরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

    apps

    পলাতক থাকার ১৩ বছর পর অবশেষে র‌্যাবের জালে ধরা পড়লো ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শহিদুল ইসলাম (৩৬)। গত ১৯ জুন সোমবার দিবাগত রাতে রংপুর নগরীর তাজহাট শেখপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। শহিদুল ইসলাম রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল এলাকার সৈয়দ জামানের ছেলে। ২০১০ সালে আদালতের রায়ের পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তিনি আত্নগোপনে ছিলেন। ২০ জুন মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-১৩ রংপুরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মোর্ত্তূজা এতথ্য নিশ্চিত করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসামি শহিদুল ইসলাম ঢাকার সদরঘাট এলাকার এক কাপড় ব্যবসায়ীর বাসায় নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরি করতেন। ২০০৩ সালের ১৪ অক্টোবর ওই বাসায় কাজের কথা বলে ভিকটিমকে নিয়ে যান। আসামি বাসার সকলের অগোচরে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। এতে ভিকটিম রাজি না হলে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বাসার মালিক বিষয়টি জানতে পারলে ভিকটিম ও আসামি শহিদুল ইসলামকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন।

    পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি জানতে পারলে গর্ভবতী মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে এসে স্থানীয়ভাবে সালিসের মাধ্যমে আসামির সঙ্গে বিয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তবে স্থানীয় কুচক্রী মহলের হস্তক্ষেপে সালিস ব্যর্থ হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে আসামি শহিদুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আদালতের রায়ের পর থেকে আসামি শহিদুল ইসলাম দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে আত্নগোপন করেছিল। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির অবস্থান স¤পর্কে র‌্যাব বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোমবার রাত আড়াইটার দিকে রংপুর নগরীর তাজহাট থানা এলাকায় শেখপাড়া গ্রাম অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। র‌্যাব-১৩ এর রংপুরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মোর্ত্তূজা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আসামিকে মিঠাপুকুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    বাংলাদেশ সময়: ১০:২৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ