• শিরোনাম

    যখন বন্ধুরা উল্লাস করছে তখন মামুনকে দাফন

    এস,এম শাহাদৎ হোসাইন, রংপুর: শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

    যখন বন্ধুরা উল্লাস করছে তখন মামুনকে দাফন

    apps

    বাবাটা (ছেলে) রেজাল্ট দেখে যেতে পারল না। তার আগেই আমাদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেল। খুবই মেধাবী ছিল মামুন। হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলেন মোস্তফা জামান। শুক্রবার এসএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে আব্দুল্লাহ আল মামুন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু যখন পাসের উল্লাসে অন্যরা মেতে উঠে, ঠিক তখন মামুনকে দাফন করা হয়। আব্দুল্লাহ আল মামুন গত বৃহ¯পতিবার বিকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রক্ত শূন্যতা রোগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আব্দুল্লাহ আল মামুন রংপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মা আরজিনা বেগম। দুই ভাইয়ের মধ্যে মামুন বড় ছিল।

    তার ছোট ভাই আব্দুল্লাহ আল মুনতাসিরও রংপুর জিলা স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যায়রত। তার গ্রামের বাড়ি রংপুররে তারাগঞ্জ উপজেলার ডাংগিরহাট বামনদিঘি এলাকায়। আব্দুল্লাহ আল মামুনের পিতা স্কুল শিক্ষক মোস্তফা জামান বলেন, অসুস্থতার কারণে গত ২৫ জুন মামুনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে হিমোগ্লোবিন কম ছিল। এ কারণে রক্ত তৈরি হতো না। তাছাড়া আর কোনো রোগ ছিল না। আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। বাইরের দেশে নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তার আগেই ছেলেটা চলে গেল। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় তারাগঞ্জ উপজেলার ডাংগিরহাট বামনদিঘি গ্রামের খিয়ারদিঘি কবরস্থানে মামুনকে দাফন করা হয়। রংপুর জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক আল ইমরান বলেন, মামুন খুবই মিশুক ছিল। বন্ধুদের সঙ্গে ভালো স¤পর্ক ছিল তার। এবারে ভালো ফলাফল করেছে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। সে রেজাল্ট জানতে পেল না।তিনি আরও বলেন, আব্দুল্লাাহ আল মামুন রংপুর জিলা স্কুলে ৩য় শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। তার মৃত্যুতে রংপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, কর্মচারীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ