• শিরোনাম

    মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় বালু উত্তোলনে দিন দিন হুমকির মুখে ভোলা শহর!

    আলী হোসেন রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার ভোলা: বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

    মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় বালু উত্তোলনে দিন দিন হুমকির মুখে ভোলা শহর!

    apps

    বাংলাদেশের বিখ্যাত দ্বীপ জেলা ভোলা। যার চারদিকে বেষ্টিত নদী আর নদী। সমুদ্রে নিম্নচাপ আর বৈরী আবহাওয়া শুরু হলেই নদীর তীব্র স্রোতে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে কোথাও সিসি ব্লক ধসে যায়,আবার কোথাও বেরিবাদ পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে প্লাবিত হয় ভোলার নিম্নাঅঞ্চল। পানিবন্দী হয়ে পড়ে ভোলা লাখো লাখো মানুষ। বর্ষা মৌসুমে নদীতে তীব্র স্রোতের মূল কারণ হলো বালু উত্তোলন।

    প্রতিনিয়ত মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর বালু উত্তলনে দিন দিন হুমকির মুখে ভোলা শহর। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে মানুষের বসত ভিটা, ফষলি জমি, মসজিদ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চারদিকে নদী হওয়ায় এ জেলার মানুষের দিন কাটে আতঙ্কের মধ্যে। সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া কম হয়নি এ জেলায়। নদী বিশিষ্ট এ জেলায় উন্নয়নের সুফলগুলো বেশিরভাগই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।এভাবে চলতে থাকলে ভোলাকে রক্ষা করা একসময় বড় অসম্ভব আর দুরূহ হয়ে পড়বে। অস্তিত্ব সংকটে পড়বে ভোলাবাসী।

    ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৩,৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের পাশ দিয়েই বহমান তেঁতুলিয়া নদী। এই তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট হতে চর চটকিমারা খেয়ারঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ নদী ভাঙনের তান্ডব চলতে থাকে। দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে বড় হচ্ছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। দিন দিন ছোট হয়ে আসছে ভোলা শহর।

    ইতিমধ্যে এখানকার অসহায় মানুষগুলো হারিয়েছে তাদের বসত-ভিটাসহ আবাদি জমি। বর্তমানে নদীর তীরবর্তী যেসব পরিবার বসবাস করছে তাদের দিন কাটছে চরম আতঙ্কের মধ্যে। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনের ফলে, নদী সংলগ্ন রাস্তা, মসজিদ, বসতবিটা ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীনের পথে। অনেক পরিবার নদীগর্ভে সহায় সম্পত্তি হারিয়ে অসহায়ত্বের জীবন যাপন করছে।

    দীর্ঘদিন যাবৎ মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও তা ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এখন ভোলা শহর হুমকির মুখে। এ জেলার উন্নয়ন অব্যাহত থাকলেও নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারছেনা। এতো উন্নয়নের সুফল আস্তে আস্তে কেড়ে নিচ্ছে রাক্ষসী মেঘনা ও তেঁতুলিয়া। সরকার এতো হাজার কোটি টাকা ব্যায় করে সিসি ব্লক দিয়েও নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে ভোলাকে বাঁচাতে পারছেনা একটাই কারণ নদী থেকে বালু উত্তোলন।

    ভোলার পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ইলিশায় সিসি ব্লক নদীতে তলিয়ে যাওয়ার পর তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। এখন অনুমোদন পেলেই সিসি ব্লকের কাজ শুরু করা হবে

    বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ