• শিরোনাম

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ মার্চ শিবপুর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন

    খন্দকার আমির হোসেন : শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ মার্চ শিবপুর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন

    apps

    আগামী ২২/০৩/২০২৩ তারিখের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর ৪র্থ পর্যায়ের ৭৫টি গৃহ উদ্বোধনের মাধ্যমে শিবপুর উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে জমির মালিকানাসহ ১৯৭টি এবং উপজেলা পরিষদের অর্থায়ণে ০৩টি ঘরসহ সর্বমোট ২০০টি গৃহ হস্তান্তর করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় শিবপুর উপজেলার ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন-গৃহহীন তালিকার সকলকে শতভাগ পুনর্বাস সম্পন্ন হওয়ায় শিবপুর উপজেলাকে শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হবে।

    সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর সর্বপ্রথম জাতির পিতাই দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন ছিন্নমূল অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন নোয়াখালী জেলা বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলা ধীনচর পাড়োগাছা গ্রাম পরিদর্শনে যান এবং ভূমিহীন-গৃহহীন অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের নির্দেশ প্রদান করেন।

    কাউকে পেছনে ফেলে নয়, সকলকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার দর্শনটি বাংলাদেশের অগ্রগতি অভিযাত্রায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে “শেখ হাসিনা মডেল” হিসাবে সমাদৃত, যা আর্থসামাজিক উন্নয়নের ধারাকে নব পল্লবে বিকশিত হয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথকে সুগম করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল মানুষকে দুইশতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা একক ঘর প্রদান করা হচ্ছে। নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১৫৪টি পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হয়েছে এবং ৪র্থ পর্যায়ে ৭৫টি গৃহ প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে।

    যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে অন্যের বাড়ি অথবা ফুটপাতকে বুঝায় তাদের কাছে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাটাই বিস্ময়! বৃষ্টি কিংবা ঝড় হলে, খরা কিংবা আগুনের মত দুপুর হলে তারা নিজেদের মধ্যে নিজেদের হারিয়ে ফেলে! তাদের প্রতিটি ভোর একটি সংগ্রামী আস্তদিনের সমান!

    সেই অনিশ্চিত জীবনপথে চলা মানুষের মুখে আজ হাসির শব্দ, খুশির ফোয়ারা! উৎসাহ সঞ্চার করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প। তারাও আজ দিন শেষে নিজের বাড়িতে ফেরেন, ঘরের বারান্দায় চেয়ার বা মাদুর বিছিয়ে বসেন, বারান্দা দিয়ে চালের মধ্যে ছড়িয়ে দেন স্বপ্নের ফসল!

    প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি, টয়লেটের সুবিধা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমন নিশ্চিত করণসহ সকল নাগরিক সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। উন্নয়নের মূলধারায় নারীদের সম্পৃক্তকরা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করণে আশ্রয়ণের বাড়ি ও জমির মালিকানা স্বামী-স্ত্রী যৌথ নামে দেওয়া হচ্ছে।

    পুনর্বাসিত পরিবারের সদস্যদের উৎপাদন মুখী নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ সঞ্চয়ী হতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। উপকারভাগেীদের বিভিন্ন উৎপাদনমুখী প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

    ভূমিহীন, গৃহহীন ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র জনগোষ্টির পুনর্বাসন, প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা, আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ-আশ্রয়ণ প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এইখানে এক জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া হয়ে গেছে তাদের। যাপিত দুঃখ বেদনা মিশে গেছে, আলো হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বেঁচে থাকার ইচ্ছে! এমন বিশ্বাস তাদেরকে নূতন জীবন দিয়েছে। নূতন পরিচয়! শুদ্ধতম আত্মনির্ভরশীলতার নবারুণ জেগে উঠেছে উষ্ণতম বিকেলকে স্বাক্ষী রেখে। তারা এখন দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে চায়; মানুষ হয়ে, আর দশজনের মতই চলতে চায়-বলতে চায়!

    বাংলাদেশ সময়: ৪:২০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ