হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩
হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিখোজের চার দিন পর বাবুল মিয়ার(৪৬) হাত পা ও মুখ বাধা অবস্থায় গহীন পাহাড় এলাকায় বরুড়া নামক স্থানে অর্ধ গলিত লাশ পাওয়ার রহস্য উন্মোচন করেছে মাধবপুর থানা পুলিশ। নিহতের স্ত্রী মাহমুদা বেগমের অভিযোগ ছিল তার স্বামীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বুধবার (২৩-আগষ্ট) রাতে সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী (মাধবপুর সার্কেল) এর দিকনির্দেশনায় মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রকিবুল ইসলাম খান ও পুলিশ পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই দিন মুহাম্মদ একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে চুনারুঘাট উপজেলার সানখলা ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের চেরাগ আলীর পুত্র লাল মিয়া কে সন্দেহজনক ভাবে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়ে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর লাল মিয়া ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করলে তাকে আদালতে প্রেরন করা হয় এবং আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম আদালতে সে হত্যার সাথে জড়িত স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য গত ১৫ জুলাই সকালে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ইটাখোলা গ্রামের মৃত ছায়েব আলী সর্দারের ছেলে বাবুল মিয়া(৪৬) পাশবর্তী নোয়াপাড়া পাহাড়ী এলাকায় প্রতিদিনের মত গরু চড়াতে যায়।কিন্তু বেলা শেষে গরুগুলো ফিরে আসলেও বাবুল মিয়া ফিরে আসেনি।পরে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় খুঁজাখঁজি করে না পেয়ে মাধবপুর থানায় তার স্ত্রী একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
ঘটনার ৪দিন পর (১৮ জুলাই) স্থানীয় লোকজন গহীন পাহাড় এলাকায় বরুড়া নামক স্থানে হাত পা ও মুখ বাধা অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশ কে খবর দেয়। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ রকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, প্রেসব্রিফিং করে কি কারণে বাবুল খুন হয়েছে বিস্তারিত জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৭:১৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel