• শিরোনাম

    বেলাবতে মোড়ে মোড়ে, ফুটপাতে পিঠার হাট,ক্রেতাদের ভীড়

    প্রদীপ কুমার দেবনাথ, বেলাব (নরসিংদী)।। সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

    বেলাবতে মোড়ে মোড়ে, ফুটপাতে পিঠার হাট,ক্রেতাদের ভীড়

    apps

    হালকা শীতের আমেজ শুরু। শীতের শুরুতেই নরসিংদী জেলার বেলার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ফুটপাতে, মোড়ে মোড়ে বসেছে শীতের পিঠার দোকান। ভোজন রসিক বাঙালীর শত স্বাদের বাহারি খাবারের চাহিদা দেখা যায় এই শীতকালে। পিঠা
    এই ভোজন রসিকদের খাবারের সুস্বাদু আইটেম। শীতকালীন পিঠার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পিঠা ভাপা ও চিতই। তাই এসব দোকানে ভাপা ও চিতইসহ নানা প্রকার পিঠা বিক্রি হয়। প্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ বেচাকেনা। দোকানগুলোতে নানা রকম পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় জমান নানান বয়স ও শ্রেণির মানুষ।বেলাব উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন বাজার ও মোড়ে মোড়ে ঘুরে দেখা গেছে ছোট-বড় অসংখ্য পিঠার দোকান। ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য পিঠাগুলোতে স্বাদমতো বিভিন্ন রকম উপকরণ মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এসব পিঠা। কম দাম আর মজার স্বাদের এ পিঠার চাহিদা প্রচুর। সন্ধ্যার দিকে দোকানগুলোতে সিরিয়াল পড়ে যায়। দেশে শতাধিক ধরনের পিঠার প্রচলন রয়েছে। তবে ফুটপাতের পিঠার দোকানগুলোতে মাত্র কয়েক ধরনের পিঠা পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে- ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ডিম চিতই, পাটিসাপটা পিঠা। ধরন অনুযায়ী এসব পিঠার দাম আলাদা। চিতই , ভাপা পিঠা, ডিম চিতই ও পাটিসাপটা পিঠা বিক্রি হয় ১০ টাকা করে। অনেক পিঠা খাওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়ে। যেখানে রয়েছে- শুঁটকি, মরিচ ও সরিষার ভর্তা। উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের দুলুর মোড়ে দুটি
    পিঠার দোকানে প্রতিদিন শতশত মানুষ বিভিন্ন এলাকা থেকে পিঠা খেতে আসেন। পিঠা বিক্রেতা দুলুর দোকানে গিয়ে দেখা যায় নারকেল, কিচমিচ, খেজুর গুড়, বাদাম এসব দিয়ে তৈরি পিঠার স্বাদ নিতে রীতিমতো মানুষের ভীড় লেগে থাকে। দোকানী দুলু বলেন, আমার বিভিন্ন রকম পিঠা তৈরির জন্য আলাদা আলাদা লোক রয়েছে।

    প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিক্রি করি নানা ধরনের পিঠা। এতে দৈনিক আট থেকে দশ হাজার টাকা বিক্রি হয়। যেখান থেকে লাভ হয় তিন থেকে চার হাজার টাকা। আয়ের এ টাকায় স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে সংসার চালাই। টঙ্গীরটেক মোড়ের পিঠা বিক্রেতা জানান, শীতকালে পিঠার চাহিদা অনেক বেশি।

    তৈরি করার সাথে সাথে বিক্রি হয়ে যায়। প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারি এ সময়। আমি মানুষের চাহিদা অনুযায়ী চিতই, ভাপা, তেলের পিঠা এসব তৈরি করি। পিঠা ক্রেতা স্কুলশিক্ষক রাজীব আফ্রাদ জানান, অনেক সময় ব্যস্ততার জন্য শখ
    থাকলেও বাসায় পিঠা তৈরি করা যায় না। তাই তৈরি করা পিঠা খেতে এসেছি।

    রাস্তার পাশের পিঠা হলেও এর স্বাদ অতুলনীয়। প্রায় নিয়মিতই পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের জন্যও কিছু নিয়ে যাই। আরেক ক্রেতা শেখ রিটন বলেন, ফুটপাতে অনেক ধরনের পিঠা বিক্রি হচ্ছে। শীতের মধ্যে গরম গরম ভাপা ও চিতই পিঠা খেতে ভালো লাগে। এজন্য এখান থেকে পিঠা কিনে খাচ্ছি। বাসার জন্যও কয়েকটি নিয়েছি। ফুটপাতের পিঠা হলেও এগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে যত্ন নিয়ে তৈরি করা হয়।

    বাংলাদেশ সময়: ৫:৫২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ