• শিরোনাম

    বুদ্ধিজীবী হত্যা ইতিহাসে বর্বরতম অধ্যায়: সুজিত রায় নন্দী

    নিজস্ব প্রতিবেদক: বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

    বুদ্ধিজীবী হত্যা ইতিহাসে বর্বরতম অধ্যায়: সুজিত রায় নন্দী

    apps

    ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা শুরু করে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা। সেই থেকে শ্রদ্ধা আর স্মরণে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক জননেতা সুজিত রায় নন্দী শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তাদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

    সুজিত রায় নন্দী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম বর্বর হত্যাকাণ্ড। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। এ ঘটনা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর, রায়ের বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। বিজয়ের ঊষালগ্নে পরাজয় অত্যাসন্ন জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের হত্যায় মেতে ওঠে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেছে বেছে ধরে নিয়ে আসা হয় সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।

    সেই কালোরাতে প্রাণ গিয়েছিল
    কত প্রকৌশলী,শিক্ষাবিদ ও ডাক্তার?
    জাতিকে মেধাশূন্য করার চক্রান্ত
    দেশজুড়ে বেদনা আর হাহাকার।

    পাকবাহিনীকে সহায়তা করেছিল
    আলবদর আর রাজাকার।
    সাংবাদিক, দার্শনিকদের হত্যা করে
    গুলি ছুড়েঁছিল বারংবার।

    বিনম্র শ্রদ্ধা শহীদ বুদ্ধিজীবী জ্ঞানী,গুণী
    জাতি আজ তাঁদের কাছে চিরঋণী।
    একাত্তরের ১৪ই ডিসেম্বর ছিল ভয়াবহ দিন,
    বাঙালি জাতি শহীদদের ভুলবে না কোনোদিন।
    তিনি বলেন, শোকের আবহ আর শক্তি নিয়ে বছর ঘুরে আবার এসেছে ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। প্রত্যেকটি বিজয় দিবসের মানসপটে ভেসে ওঠে নির্মম অত্যাচারের কাহিনি, বেদনায় ভরে যায় সারা হৃদয়। নয় মাস ধরে দখলদার বাহিনী আর রাজাকার-আলবদর বাহিনীর জল্লাদদের চালানো অবর্ণনীয় নির্মমতা ভয়ঙ্কর ছিল। ১৪ ডিসেম্বর ছিল আরও ভয়াবহ এবং ইতিহাসের জঘন্যতম। বিজয়ের ঊষালগ্নে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দুঃসহ যন্ত্রণার দিন।
    পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল জাতিকে মেধাশ্যূন্য করা। স্বাধীনতা পেয়েও বাঙালি জাতি যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেই নীলনকশা বাস্তবায়ন করাই ছিল বুদ্ধিজীবী হত্যার হীন উদ্দেশ্য। এই দিবসে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের, যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।

    বাংলাদেশ সময়: ২:২৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আজ বিজয়া দশমী

    ২৬ অক্টোবর ২০২০

    আর্কাইভ