• শিরোনাম

    বাগেরহাটের পুর্ব-সুন্দরবনের দুবলার চরের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব ২৫ নভেম্বর, জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমুলক সভা

    মনিরুল হক, স্টাফ রিপোর্টারঃ সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

    বাগেরহাটের পুর্ব-সুন্দরবনের দুবলার চরের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব ২৫ নভেম্বর, জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমুলক সভা

    apps

    বাগেরহাটের পুর্ব-সুন্দরবনের দুবলার চরের সনাতন ধর্মাবলম্বিদের ঐতিহ্যবাহি রাস উৎসব আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। ২৭ নভেম্বর সাগরের লবন পানিতে পুন্যস্নানের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপনি হবে। প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ রাস উৎসব উপলক্ষ্যে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুুতি মুলক সভা করা হয়েছে। তিন দিনের এই উৎসবে এবার শুধুমাত্র সনাতন ধর্মের মানুষদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। তবে আগত সকল শ্রেনীর দর্শনার্থিদের অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে হবে।

    তারা নির্ধারিত ৫টি রুট দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করবেন এবং ফিরতে একই রুট ব্যবহার করবেন। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য রাখনে, পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম, বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্াবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার, দুবলার চরে রাস উৎসব আয়োজক কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ, জেলা পূজা উযযাপন কমিটির সভাপতি নিলয় কুমার ভদ্র প্রমুখ। সভায় সুন্দরবন বিভাগ জানায়, ২৫ নভেম্বর সকালের জোয়ারে পূণ্যার্থীরা সুন্দরবন বিভাগের নির্ধারিত রাজস্ব জমা দিয়ে নির্ধারিত রুট দিয়ে লঞ্চ এবং ট্রলার নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করবেন। ২৬ তারিখ সন্ধ্যায় পূজা-অচর্না শেষে ২৭ তারিখ ভোরে সাগরে পূণ্যস্নানের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে তিন দিনের রাস উৎসব। ওই দিন সন্ধ্যার মধ্যে পূণ্যার্থীরা ফিরে আসবেন। কোনো অবস্থাতেই কোনো পূণ্যার্থী আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে পারবেন না। সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি পূণ্যর্থীদের তিনদিনের জন্য ৭৫ টাকা, নিবন্ধনযুক্ত প্রতিটি ট্রলারের (৩দিন) জন্য ৩০০ টাকা, নিবন্ধনবিহীন প্রতিটি ট্রলারের (৩দিন) জন্য এক হাজার টাকা এবং প্রতিটি ট্রলারের অবস্থান ফি (প্রতিদিন) সরকারকে ৩০০ টাকা রাজস্ব দিতে হবে। জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন জানান, সুষ্ট এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাস উৎসব যথাযতভাবে পালনের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কোন ধরণের নাশকতা যাতে না ঘটে এজন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি। প্রতিটি প্রবেশ পথে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ এবং সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তরা দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী এবং বন বিভাগের সদস্যরা টহলে থাকবে।

    প্রসঙ্গতঃ সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এই রাস উৎসবকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে সভায় বলা হয়, রাস উৎসবে মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কীর্তন গান বন্ধ থাকবে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র এবং পরিবেশের কথা বিবেচনায় নিয়ে কোনো অবস্থাতেই সেখানে ওয়ানটাইম প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে না। সুন্দরবনে অবস্থানের সময় কোনো প্রকার বন্যপ্রাণি শিকার, খাওয়া ও সংরক্ষণ করা যাবে না।

    বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ