• শিরোনাম

    বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ ও কর্মে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ – জাকির হোসেন

     নারগিস পারভীন শুক্রবার, ১২ আগস্ট ২০২২

    বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ ও কর্মে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ – জাকির হোসেন

    apps
     ঃ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে আগস্ট মাসকে শোকের মাস হিসেবে ঘোষণা হবার পর থেকে আ’লীগ ও তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ দেশের আনাচে কানাচে প্রতিবছরই ১৫ ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার সহ নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করেন। তবে বাঙালির ইতিহাসে শোকাবহ মাস আগস্ট, এ মাসে স্বাধীনতা বিরোধী, ক্ষমতা লোভী কিছু সেনা সদস্য শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি হত্যা করেছিল জাতির বিবেক, গণতন্ত্রের একটি দেশকে, হত্যা করেছিল বাংলাদেশ গৌরবান্বিত অর্জনকে।জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি স্মরনে আলোচনা কালে একান্ত সাক্ষাৎ কারে গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন, বাংলাদেশ মটর শ্রমিক লীগের (কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ) সহ-সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন রাজু। শ্রমিক বান্ধব নেতা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিশালতা নিয়ে আলোচনা কালে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন গোটা বিশ্বের কাছে ছিল একজন জনপ্রিয় নেতা। স্বাধীন দেশে কোনও বাঙালি বঙ্গবন্ধুর জন্য হুমকি হতে পারে না এমন দৃঢ়বিশ্বাসে তিনি গণভবনের পরিবর্তে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসভবনে থাকতেন, এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার মহাকার্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেনি একদল বিশ্বাসঘাতক পৈশাচিক হত্যা কান্ডের মাধ্যমে। বাঙালি জাতির ভাগ্যন্নয়নের সারথি বঙ্গবন্ধুকে আমরা হারিয়ে আমরা শোকাহত, মর্মাহত। ১৫ই আগস্টকে শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ ও কর্ম থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে,জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। জাকির হোসেন বলেন, ৭৫ এর সেই কালরাতে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডের শিকার হন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর তিন ছেলে- বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, শিশু পুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল, রোজী কামাল; ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি,বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিলউদ্দীন সহ অনেকেই। ওই সময় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা। আগস্টের এই হত্যা কান্ডে গোটা বিশ্বে নেমে আসে শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পরে প্রচন্ড ঘৃণার ঝড়। বঙ্গবন্ধুর হত্যার খবরে নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানি নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর আর বঙালিদের বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তাঁরা যে কোন জঘন্য কাজ করতে পারে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমদ বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন এবং পরে ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটিকে আইন হিসেবে অনুমোদন দিলেও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রাষ্ট্রীয়ভাবে চরম অবহেলিত থাকতো জাতির জনককে হারানোর দিনটি।পরবর্তী সময়ে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মাটিতে এসে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথম শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হলেও ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসে সে সিদ্ধান্ত বাতিল করে। তবে ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে আবার রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেন। জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১১ সালের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গের হত্যাকারী পাঁচ আত্মস্বীকৃত খুনির ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর হয়েছে এবং বাকী খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্য সম্পূর্ণ করার দাবি সকল মুজিব সেনাদের।

    বাংলাদেশ সময়: ৫:৩০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১২ আগস্ট ২০২২

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ