• শিরোনাম

    ফেনীর ফালাহিয়া সড়কের বেহাল দশা ‘সড়ক না থাকায় ড্রেনই ভরসা

    মোহাম্মদ ইসমাইল, ফেনী প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪

    ফেনীর ফালাহিয়া সড়কের বেহাল দশা ‘সড়ক না থাকায় ড্রেনই ভরসা

    apps

    ফেনী শহরস্থ ১০নং ওয়ার্ডের ফালাহিয়া মাদরাসা সড়ক হাটু পানির নিচে। যান চলাচল বন্ধ ১২ মাস। ড্রেনের ময়লা ও কাদাযুক্ত পানি হওয়ায় হাটতেও পারছেন না এলাকার মানুষ। চরম দুর্ভোগের বিষয়ে বারবার মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেও কোন প্রতিকার পায়নি তারা।

    সরজমিনে দেখা যায়, গত ৩ জুলাই ড্রেন নির্মানের জন্য ফালাহিয়া সড়কের একপাশ খনন করা হয়। এতে রাস্তাটির প্রায় চারশত মিটার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুরো বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তা তিনফুট পানির নিচে ছিল, এখনো প্রায় দেড়ফুট পানির নিচে। ড্রেনের আংশিক কাজ হওয়ার পর মালিকগন জায়গা না দেয়ায় পুর্ব প্রান্তে ড্রেন নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ঘনবসতিপুর্ণ এই এলাকার মানুষদের একমাত্র চলাচলের রাস্তা। এছাড়া এটি ফেনীর ঐতিহ্যবাহি ফালাহিয়া কামিল মাদরাসার একমাত্র রাস্তা। চরম দুর্ভোগের মধ্যেই মাদরাসার শিক্ষার্থী ও এলাকার লোকজন যাতায়াত করছেন।

    মোহাম্মদ হারুন নামে এক রিকশা চালক বলেন, এখানে বাড়া পেলেও চালকরা আসতে চাননা। কারন এই রোডে গাড়ী চলাচলের কোন সুযোগ নেই। গাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১০টাকা বাড়ার জন্য ১০০ টাকার লোকসান হয়। কোন যাত্রী নিয়ে আসলে তার মালপত্র কাঁদে বহন করতে হয়।

    মাদরাসা শিক্ষক আবদুল হান্নান বলেন, মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে এই কাঁদা-পানি মাড়িয়ে শ্রেনীকক্ষে যেতে হবে। কবে যে এই দুর্ভোগ শেষ হবে কেউ বলতে পারেনা। মেইনরোডে গেলে মনে হয় সিঙ্গাপুরে আছি আর ১০নং ওয়ার্ডের এসব রোডে আসলে মনে হয় উগান্ডায় আছি।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসীর স্ত্রী বলেন, গাড়ী ভাড়া নিয়ে বাজার থেকে এসেছি, কিন্তু রাস্তা না থাকায় চালক মেইনরোডেই নামিয়ে দিয়েছেন। এখন বাচ্চা ও বাজারসহ ঝুঁকি নিয়ে ড্রেনের উপর দিয়ে হাটতে হচ্ছে।

    দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খালেদ খান বলেন, ফালাহিয়া সড়ক প্রশস্ত ও উচু করার জন্য বর্তমান অর্থবছরে একটি প্রকল্প নেয়া হয়। এজন্য প্রায় ৩২লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীর এন্টারপ্রাইজ কাজ করছেন। প্রাথমিকভাবে ড্রেনের কাজ শুরু করি। কিন্তু পুর্ব প্রান্তের দুটি জায়গার মালিক জাযগা দিতে রাজি না হওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। আশাকরি এ মৌসুমে কাজ শেষ হবে।

    বাংলাদেশ সময়: ৮:৪২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ