গত ১৭ অক্টোবর ২০২২ বুধবার যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এবারের সম্মেলনে তৃণমূল তাদের পছন্দের নেতা হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৫০ নং ওয়ার্ডে মাহবুব আলম কে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করতে তৃণমূলের ব্যাপক তোড়জোড় লক্ষ্য করা গেছে।
গত ১৭ অক্টোবর ২০২২ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃত্ব নির্ধারনে অনুষ্ঠিত হয় যাত্রাবাড়ী থানা ৫০ নং ওয়ার্ড সহ ছয়টি ওয়ার্ডের সম্মেলন। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে সর্ব শীর্ষ মাহবুব আলম কে ঘিরে আলোচনা এখন তুঙ্গে কারণ তিনি বিগত ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২৭ বছর পূর্বে ছাত্রলীগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রবেশের মাধ্যমে অদ্যবধি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন।
১৯৯৬ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে পথচলা শুরু হয় সেই সময়ে প্রতিটি আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করে হরতাল অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন,১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাআরোহণে তৎকালীন ৮৬নং ওয়ার্ডে তিনি ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন,২০০৪ সালে রাজনৈতিক সফলতায় তাকে ৮৬ নং ওয়ার্ড জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।২০০৩ সালে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার কারণে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের রোষানলে পড়ে একাধিক রাজনৈতিক মামলায় কারাবন্দী হয়ে হাজত বাস করেন।গত ২০০৫ সালে তিনি বৃহত্তর ডেমরা থানা হকার্স লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।গত ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলায় আহত হন।এ সময় তিনি তার কানে প্রচন্ডভাবে আঘাত প্রাপ্ত হন। গত ২০০৫ সালের পর বিএনপি-জামায়াত ও চারদলীয় জোট সরকারের সময় তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম.এ আজিজ সারা দেশে ১ কোটি ভূঁয়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। সেই সময়ে তিনি যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মুন্নার সাথে যুক্ত হয়ে জোড়দার আন্দোলন গড়ে তোলেন। বিএনপির একক সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ কে ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করা হলে তা প্রতিহত করতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। লগি বৈঠার আন্দোলন কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কারাবন্দী থাকার সময় নেত্রীর মুক্তি আন্দোলন এই এলাকায় বেগবান করেন।
২০০৮ সালে ওয়ান ইলেভেনের পর দল ক্ষমতায় আসার পেছনে তিনি অবদান রাখেন। গত ২০১৩ সালে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সারা দেশে সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদ গঠন করেন যা দেশের গন্ডি পেরিয়ে বহিবিশ্ব পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। তিনি সেই কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয় কে হত্যা পরিকল্পনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে “জাতীয় প্রেস” ক্লাবে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন এবং ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। এছাড়াও ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ সহ নাশকতা বিরোধী আন্দোলনে একাধারে ৯৩ দিন রাজপথে অবস্থান করেন।তার সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে ২০১৩ সালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৫০ নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেয়া হয়। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে মাহবুব আলম ৫০ নং ওয়ার্ডে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।গত নির্বাচনে ৫০ নং ওয়ার্ডে যাত্রাবাড়ী চন্দন কোঠা ভোট কেন্দ্র এলাকায় তিনি সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই ধারাবাহিকতার আলোকে আওয়ামী লীগের বর্তমান ওয়ার্ড কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় তিনি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে তৃনমুলের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চান।
যাত্রাবাড়ী থানার ৫০ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাহবুব আলম কে পেতে চায় দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী। তিনি দলের এবং নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন প্রিয়মুখ হিসেবে পরিচিত।
মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বলেন,১৯৯৬ সাল থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সকল কর্মসূচীতে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছি, সাংগঠনিক ভাবে আমার উপর অর্পিত সব দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সহিত পালন করেছি রাজনীতি করতে গিয়ে বিএনপি
জোট সরকারের রোষানলের শিকার হয়ে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ২০০৬ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রামে সোচ্চার ছিলাম,২০০৭ সালের ১/ ১১তে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কঠিন দুঃসময়ে কারাবন্দী প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করি এবং নেত্রীর মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহে দিনরাত কাজ করেছি, ২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধিপর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার পরিচালনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগরের সকল প্রোগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছি।
গত ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সহ ২০১৫ এবং ২০১৯ এর দুটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও সদ্য সমাপ্ত ঢাকা ৫ আসনের উপনির্বাচনে বর্তমান ৫০ নং ওয়ার্ডে নির্বাচন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সরকার উন্নয়নের রোল মডেলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেই কাতারে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমাকে যে কোন দায়িত্ব অর্পণ করলে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করার অঙ্গীকার করছি।
তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছেন। সামাজিক, ধর্মীয় সাংগঠনিক সহ সবদিক বিবেচনায় মাহবুব আলম কে যাত্রাবাড়ী থানার ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনে ৫০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের বেশ তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। তাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সহ ফেসবুকেও সরব রয়েছে নেতা কর্মীরা। সম্মেলনে এ ওয়ার্ডের বেশির ভাগ নেতাকর্মী মাহবুব আলম কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায়।
তিনি আরো বলেন,গত করোনা মহামারীর সময়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৫০ নং ওয়ার্ডে মাস্ক,হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ এবং ত্রান বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।গত বছর সিলেটের ভয়াবহ বন্যায় সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদের ব্যানারে ব্যাপক ত্রান সহায়তা প্রদান করেছি।
জাতীয় শ্রমিক লীগ ৫০ নং ওয়ার্ডের সহ প্রচার সম্পাদক জামাল মুন্সি বলেন, মাহবুব আলম একজন কর্মী বান্ধব নেতা, দক্ষ সংগঠক, আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ একজন মাঠ পর্যায়ের কর্মী।
সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির
সহ- সভাপতি শিপলু ইসলাম বলেন,তার মতো লোক ৫০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে।
স্হানীয় বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ইউনিট আওয়ামী লীগের নেত্রী লাভলী আক্তার বলেন,দলের দুঃসময়ে যখন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, তখন আমরা নির্যাতিত নেতাকর্মীরা মাহবুব আলম এর কাছে আশ্রয় পেয়েছিলাম। তিনি আমাদের অভিভাবক হিসেবে আশ্রয় দিয়ে আঁকড়ে ধরে দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছিলেন।
তারা আরো জানান,স্থানীয় আওয়ামীলীগের কর্মীবান্ধব নেতা,সাবেক এই ছাত্রলীগনেতাকে এবারের সম্মেলনে যাত্রাবাড়ী থানার ৫০ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক করা হলে আওয়ামী লীগের দুর্গ আরও শক্তিশালী হবে।
