• শিরোনাম

    ট্রাম্প-বাইডেন ইস্যুতে বিভক্ত বাংলাদেশিরাও

    অনলাইন ডেস্ক বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০

    ট্রাম্প-বাইডেন ইস্যুতে বিভক্ত বাংলাদেশিরাও

    apps

    শামীম আল আমিন, নিউ ইয়র্ক: করোনার ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। নিউ ইয়র্কসহ বিভিন্ন স্টেটে দ্বিতীয় ধাপে থাবা বসাতে শুরু করেছে কভিড-১৯। এমন পরিস্থিতিতেও নির্বাচনী উত্তাপ ছড়াচ্ছে দেশজুড়ে। ডেমোক্র্যাটরা সতর্ক প্রচারণা চালালেও প্রচারে অনেকটাই বেপরোয়া রিপাবলিকানরা। দলটিকে দেখা যাচ্ছে দীর্ঘ বাইক শোভাযাত্রা পর্যন্ত করতেও।

    এরই মধ্যে ডাকযোগে এবং অগ্রিম ভোট দেওয়া শুরু হয়েছে; এ পর্যন্ত ভোট পড়েছে এক কোটির বেশি। এর পরও আগামী ৩ নভেম্বরের চূড়ান্ত ভোটের দিন ঘিরে এখন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও অনেক আলাপ-আলোচনা, আগ্রহ। স্থানীয় বাংলা ভাষার টিভি, পত্রিকা এ নিয়ে নানা সংবাদ পরিবেশন করছে। সীমিত আকারে খুলে দেওয়া রেস্টুরেন্টেও নির্বাচনী আলোচনা চলছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে। প্রধান দুই দল ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকানের সমর্থনে এখন বিভক্ত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।

    বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রানা আহমেদ নিউ ইয়র্কের কিউ গার্ডেন্সে থাকেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনী আমেজ পছন্দ করে। দীর্ঘ বন্দিত্বের পর সীমিত আকারে বাইরে বের হলেও নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে মানুষে মানুষে অনেক বিভক্তি দেখা যাচ্ছে, এটা কাম্য নয়। আমার মতে, যিনিই প্রেসিডেন্ট হোন না কেন, তাঁর উচিত হবে দেশটাকে ঐক্যবদ্ধ করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো।’

    করোনা মোকাবেলা এবারের নির্বাচনে প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ, এমন অভিযোগ ডেমোক্রেটদের। তবে প্রবাসীদের মধ্যে এ নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বেকার ভাতা, প্রণোদনা প্যাকেজসহ অর্থনৈতিক নানা সুবিধা পাওয়ায় অনেকে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রশংসা করছেন। নিবন্ধিত রিপাবলিকান প্রিয়তোষ দে তাঁদের মধ্যে একজন। তিনি বলেন, ‘আসলে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের কোনো বিকল্প নেই।’

    তবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ট্রাম্পের করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থতার অভিযোগ সমর্থন করেন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। সেই সঙ্গে অভিবাসন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বর্ণবাদসহ নানা ইস্যু নিয়ে উদ্বেগও রয়েছে। রাজনীতি বিশ্লেষক মোহাম্মদ মালেক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমনকি শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথাটুকু দিচ্ছেন না। এটা তো ঠিক না। নির্বাচনে তাঁর পরাজিত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। অভিজ্ঞ, ভদ্র এবং মানবিক হিসেবে আমি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকেই সমর্থন করব।’

    দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বেশির ভাগ বাংলাদেশির পছন্দও অবশ্য জো বাইডেন। ডেমোক্রেটিক দলের এই প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত জো বাইডেন অত্যন্ত পরিচিত মুখ। অনেক দিন ধরে সিনেটর ছিলেন; ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ নানা পদে।

    সাধারণত বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের বেশির ভাগের সমর্থন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি প্রায় একচেটিয়া ছিল। যদিও ইদানীং প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে রিপাবলিকান পার্টি ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন কিছুটা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। ডেমোক্র্যাট দলকে সমর্থনকারী অনেক সংগঠন আগেই ছিল। ইদানীং রিপাবলিকানদের সমর্থনকারী কয়েকটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এমনকি তাঁরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থনে নানা কর্মসূচিও পালন করছেন।

    রিপাবলিকান সমর্থক নাসির আলী খান পল বলেন, ‘ট্রাম্প নতুন করে কোনো যুদ্ধে জড়াননি। বরং যুদ্ধ বন্ধ করেছেন। দেশে-বিদেশে সাফল্য দেখিয়েছেন তিনি। বিজয়ী তিনিই হবেন।’

    কিন্তু কুইন্সের বাসিন্দা রেহানা চৌধুরী মনে করেন, ‘ভোটের মাঠে জো বাইডেনই এগিয়ে আছেন। তাঁর কর্মপরিকল্পনা সুস্পষ্ট।’ আর ডেমোক্রেটিক দল অভিবাসীদের জন্য ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাঁকেই ভোট দেব, এটা নিশ্চিত।’

    বাংলাদেশ সময়: ১১:০০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ