• শিরোনাম

    জিয়াউর বাংলাদেশকে ধ্বংশ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল

    মনিরুজ্জামান মনির,স্টাফ রিপোর্টারঃ শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

    জিয়াউর বাংলাদেশকে ধ্বংশ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল

    apps

    আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার চাকা উল্টা দিকে ঘুরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান খুনি রাজাকার নিয়ে সরকার গঠন করেছিল। জিয়াউর বাংলাদেশকে ধ্বংশ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। জিয়াকে হত্যা করার পর এরশাদও ঠিক তাই করার চেষ্টা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে যারা খুন করেছিল তাদেরকে জিয়াউর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকুরি দিয়ে রাষ্ট্রদুত বানিয়ে দিয়েছিল। আর এরশাদ যখন ক্ষমতায় আসে তখন এই খুনিদেরকে ফ্রিডম পার্টি করতে দিয়ে রাষ্ট্রপতির নির্বাচন যাতে বৈধ হয় সেজন্য তাদেরকে প্রার্থী হতে অনুমতি দিয়েছিল।

    তিনি শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
    বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া একজন খুনিকে বিরোধী দলের নেতা বানিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় আমরা মুক্তিযুদ্ধে লিপ্ত। কিছু কিছু দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা বলা শুরু করেছিল এই বাংলাদেশ তলা বিহীন ঝুড়ি। এই দেশ কোন স্বাধীন দেশ হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি প্রমাণ দিয়েছেন বাংলাদেশ তলা বিহীন ঝুড়ি নয়। এখন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।

    মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি জামাত আবারো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আপনারা ইতিহাস দেখলে দেখবেন তারা কোনদিন কিন্তু সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসে নাই। সবসময় পিছনের দরজা দিয়ে আসছে। ভোট চুরি করেছে। মানুষকে ভোট দিতে দেই নাই, আর ক্ষমতায় বসে তারপর তারা দল সৃষ্টি করছে।
    হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে টেকনিকেল অপরাধ সেই হ্যাকিং এর জন্য বা কম্পিউটারের ভেতরে ঢুকে যদি কেউ কোনো কিছু নষ্ট করে সেইজন্য সাজা ১৪ বছরের। কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যে সব ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহলের আপত্তি ছিল এ গুলোর আমুল পরিবর্তন করা হয়েছে।
    সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে আমলযোগ্য অপরাধের মাত্র ৪টি ধারা রয়েছে। আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করার সুযোগ কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেই। যে সব প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে এগুলো সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যাখ্যা।

    বাংলাদেশ সময়: ১১:০১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ