• শিরোনাম

    চিরিরবন্দরে থানার পতিত জমিতে বিষমুক্ত সবজি চাষ

    মোঃ আব্দুস সালাম - চিরিরবন্দর দিনাজপুর সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

    চিরিরবন্দরে থানার পতিত জমিতে বিষমুক্ত সবজি চাষ

    apps

    দিনাজপুর চিরিরবন্দরে থানার পতিত জমিতে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির আবাদ করেছেন চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বজলুর রশীদ । পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিষমুক্ত সবজির বাগান করে প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। তার এই উদ্যেগের ফলে থানায় কাজ করা পুলিশ সদস্যদের খাবারের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঐ পতিত জমি ব্যবহার না থাকায় ময়লা আবর্জনায় পরিণত হয়েছিল ।

    ওসি বজলুর রশীদ এই থানায় যোগদানের পর থেকে দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে শুরু করে। নিজের পকেটের টাকা ও সহকর্মীদের সহায়তায় প্রায় ১ বিঘা পতিত জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ করেন। এই জমির সবজি থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য ছাড়াও স্থানীয়দের খাবারের চাহিদা পূরণ করছে। একইসঙ্গে থানায় সেবা নিতে আসা মানুষজনও নিজেদের বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়মিত পরিচর্যায় এক সময়ে পতিত জমিটি সবুজে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ বাগানে কাঁচা মরিচ, পিয়াজ, রসুন, বেগুন, ফুলকপি, বাধাকপি, টমেটো, শিম, পেঁপে, সবজির চাষ হচ্ছে।
    শাকের মধ্যে রয়েছে লাল শাক, পুঁইশাক, ডাটাশাক ও লাউ চাষ হচ্ছে।

    থানায় অভিযোগ করতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, থানার ঐ জায়গা এক সময় আর্বজনার পরিণত ছিল। কিন্তু সেই জায়গায় সবজি বাগান করার কারণে থানার রূপ বদলে গেছে। আমাদের বাড়ির পাশে অনেক পতিত জমি রয়েছে। আমি সেই জায়গায় সবজি ও ফুলের বাগান করবো বলে চিন্তা করছি। সবজি বাগান পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল সুমন বলেন, থানায় ডিউটি শেষে অবসর সময়ে সবজি বাগান পরিচর্যার কাজ করি। এতে অনেক ভালো লাগে। বর্তমানে আমাদের শাক-সবজি কিনতে হয় না। বিষমুক্ত সবজি আমাদের খাদ্য ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করছে।

    অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) মোঃ বজলুর রশীদ বলেন, থানা চত্বরের পতিত জমি গর্ত ও পরিত্যক্তা অবস্থায় ছিল । বর্ষা মৌসুমে এই জায়গায় অনেক পানি জমে থাকতো। সেখানে বিভিন্ন পোকা-মাকড় আশ্রয়াস্থল গড়ে তুলতো। মাঝে মধ্যে সেই সব পোকা থানার ভেতরেও চলে আসতো। ফলে থানার কার্যক্রম পরিচালনায় বেগ পেতে হতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেয়ার পর তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে থানার জমিতে সবজির চাষ শুরু করি। প্রায় ১বিঘা পরিত্যক্ত জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি লাগিয়ে চাষ করছি। আর এ কাজে আমার সহকর্মীরা সহায়তা করছেন। তিনি আরও বলেন, ফরমালিন ও কীটনাশক মুক্ত এই সবজি থানার পুলিশ সদস্যদের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখছে। এতে পুলিশ সদস্যদের কিছুটা হলেও অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে।

    চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার জোহরা সুলতানা বলেন, থানা চত্বরে সবজি চাষ খুবই ভালো উদ্যোগ। কৃষি অফিস থেকে সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। তিনি আরও বলেন, পুলিশের এমন উদ্যোগ মানুষকে বাড়ির ঘরের সামনের পতিত জমিতে চাষাবাদে উৎসাহ জোগাবে। আর এ কাজে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।

    বাংলাদেশ সময়: ৯:২২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ