• শিরোনাম

    এ কেমন শত্রুতা, দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে দগ্ধ ১৬ গরু, কর্ম কর্তা রয়েছে আনন্দ ভ্রমনে

    এস এম মিজানুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাট বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ ২০২৩

    এ কেমন শত্রুতা, দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে দগ্ধ ১৬ গরু, কর্ম কর্তা রয়েছে আনন্দ ভ্রমনে

    apps

    গরুর সাথে এক কেমন শত্রুতা। দূবৃত্তের দেওয়া আগুনে একটি দুগ্ধ খামারের ১৬টি গরু দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে দুটি গরু মারা গেছে। এছাড়া বেশকিছু গাভী আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (০১ মার্চ) ভোর রাতে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামে। নাজমুল আলম রুবেলের পরিচালিত শেখ ডেইরি ফার্মে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি খামার মালিকের। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি খামার মালিক রুবেল। ক্ষতিগ্রস্থ খামার মালিক নাজমুল আলম রুবেল (৩৭) চাপাতলা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। রুবেল দীর্ঘদিন কোরিয়া ছিলেন। কোরিয়া থেকে দেশে ফিরে গরুর ফার্ম করেন। তার ফার্মে প্রতিদিন ৯০ লিটার দুধ উৎপাদন হত। মিল্ক ভিটা কোম্পানিকে তিনি দুধ সরবরাহ করতেন।

    এদিকে গরুর ফার্মে আগুনের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) বাগেরহাট সদর উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইমরান হোসেন পরিবার নিয়ে বরিশালের বিভিন্ন পর্যটনষ্পটসহ কোয়াকাটায় আনন্দ ভ্রমনে রয়েছে। বাগেরহাট জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম ওই কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করলেও তিনি কর্মস্থলে যোগদেন করেন নি। পরে খবর পেয়ে এদিন দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন খুলনা বিভাগীয় প্রানি সম্পদ বিভাগের পরিচালক ডা. লুৎফর রহমানসহ প্রানি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাগণ।

    এ ব্যাপারে ডা ইমরান হোসেন জানান, ছুটি নিয়ে পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে অনেক দূরে চলে এসেছি। তাই ইচ্ছা থাকলেও যোগদান করা কষ্টকর হচ্ছে। অপরদিকে জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্ত জানান, এই ঘটনায় উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইমরান হোসেনের ছুটি বাতির করে ওই খামারের গরু গুলোর পরিচর্চা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেক করেন।

    খামার পরিদর্শনে থাকা প্রানী সম্পদ বিভাগ বাগেরহাটের মাঠকর্মী তারিক হোসেন বলেন, বেশিরভাগ গরুগুলোর শ্বাসনালীসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান আক্রান্ত হয়েছে।

    ক্ষতিগ্রস্থ খামার মালিক নাজমুল আলম রুবেল বলেন, রাত ১১টায় হঠাৎ কুকুরের ডাকাডাকিতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। আগুন দেখে গোয়ালে এসে গরুর দড়ি খুলে দিয়ে বাইরে বের করার চেষ্টা করি। খামারির ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষনে সবগুলো গরুই আগুনে দগ্ধ হয়। পরে দুটি গরু মারা যায়। পরিকল্পিতভাবে পূর্ব শত্রুতার জেরে গোয়ালে আগুন দেওয়া হয়েছে। তদন্ত পূর্বক সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন প্রবাস ফেরত এই খামারী। গরু গুলো আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।

    নাজমুল আলম রুবেলের বাবা রুহুল আমিনও একই দাবী করেন। খুলনা বিভাগীয় প্রানী সম্পদ বিভাগের পরিচালক ডা. লুৎফর রহমান বলেন, বিভিন্ন বয়সের ১৬টি গরু আক্রান্ত হয়েছে। কয়েকটি গরুর শতভাগ চামড়া পুড়ে গেছে। আক্রান্ত গরুর চিকিৎসার সকল চেষ্টা করা হচ্ছে।

    বাংলাদেশ সময়: ৪:২৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ