• শিরোনাম

    ৭১’ এর রণাঙ্গনে প্রাণ ছিলেন শিশু মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস

    প্রদীপ কুমার দেবনাথ, বেলাবো (নরসিংদী) বুধবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৩

    ৭১’ এর রণাঙ্গনে প্রাণ ছিলেন শিশু মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস

    apps

    ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দেশের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দেশের নগর-গঞ্জ-গ্রামে প্রতিরোধের জন্য গড়ে ওঠে ক্যাম্প।তৎকালীন সময়ে নরসিংদীর বেলাব উপজেলায়ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গড়ে ওঠে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা প্রতিরোধে মুক্তিবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প।

    উপজেলার বিন্নাবাইদ পশ্চিম পাড়ায় ইয়াছিন মাস্টারের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে পরিচালিত হতো মুক্তিযুদ্ধের কার্যক্রম। এ ক্যাম্পের সবচেয়ে পরিচিত মুখ ছিলেন আব্দুল কুদ্দুস মাস্টার। তখন তার বয়স ছিল ৮ বছর। ক্যাম্পে খাবার পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যোগান দেয়া, পরিচিত রাজাকারদের খোঁজ খবর নেয়ার বিশ্বস্ত মাধ্যম ছিলেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধারা তাকে আদর করে ডাকতেন আব্দুল কুদ্দুস (মাখন)।

    একাত্তরের ডিসেম্বরে চুড়ান্ত যুদ্ধকালীন সময়ে আড়িয়াল খাঁ নদীপথে নৌকায় করে ভৈরব থেকে পাকিস্তানি বাহিনী বেলাবতে আসলে বিন্নাবাইদসহ কয়েকটি গ্রাম জনশূন্য হয়ে গেলে তিনি ও তার এক বন্ধু ইতালি প্রবাাসী এসএ মঞ্জুর মিলে সেগুলো পাহারা দেয়ার কাজটিও করতেন। তিনি ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে অস্ত্র চালানো বিদ্যাও রপ্ত করেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া নামটি ব্যবহার করেন। শিক্ষা গ্রহণের পর তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চাকরি করেন।

    অসুস্থজনিত কারণে ২০০৭ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন। বর্তমানে সেই শিশু মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস মাখনের বয়স ৬০ বছর। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস মাখন বলেন, তখন দেশ স্বাধীন হওয়ার মিশন ছিল আসল কথা। কোথায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, কার কাছে যেতে হবে এসব আমাদের মাথায় ছিল না। তখনকার দিনে এ বেলাব উপজেলার ভাবলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা যতীন্দ্র চন্দ্র দেবনাথের কথা মনে আছে। তিনি আর জীবিত নেই।

    তিনি তখন ২০-২২ বছরের যুবক ও খুব সাহসী ছিলেন।সহপাঠী ইতালি প্রবাসী এসএম মঞ্জুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আব্দুল কুদ্দুস মাখন অত্যন্ত সাহসী ছিলেন। তার সঙ্গে প্রায়ই লুকিয়ে ক্যাম্পে যেতাম। মুক্তিযোদ্ধা যতীন্দ্র অত্যন্ত স্নেহ করতেন। বলতেন ‘তুরাই দেশের পরবর্তী হাল ধরবি। যুদ্ধ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা কুদ্দুস ভাইকে দিয়ে ফায়ার করে বিজয় উদযাপন করেন।’

    বাংলাদেশ সময়: ৩:১১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আজ বিজয়া দশমী

    ২৬ অক্টোবর ২০২০

    আর্কাইভ