• শিরোনাম

    লালবাগে আতঙ্কের নাম ফর্মা বিল্লাল

    শরীফ আহমেদ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনঃ বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

    লালবাগে আতঙ্কের নাম ফর্মা বিল্লাল

    apps

    নাম তার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন। কিন্তু সাধারণ জনগণের কাছে ফর্মা বিল্লাল নামেই সুপরিচিত। লালবাগের সাধারণ জনগণের কাছে এখন সে এক আতঙ্কের নাম। চাহিদামত দাবি পূরণ না হলে, যে কাউকেই ফাঁসাতে পারে সে। শুধু তাই নয়, হত্যা-খুন-চাঁদাবাজিতেও পারদর্শী হয়ে উঠেছে এই ফর্মা বিল্লাল। লালবাগের সাধারণ মানুষকে জোঁরপূর্বক হামলা-মামলা, হুমকি-ধামকি, ইয়াবা ব্যবসা, চাঁদাবাজী, দখলবাজীসহ এমন কোন কর্মকান্ড- নেই যা করেন না সে। তার অত্যাচার এবং বিভিন্ন সময়ে করা প্রতারনায় এখন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। এমন অবস্থায় তাকে দ্রুতই গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানিয়ে মানবন্ধন করেছেন লালবাগ এলাকাবাসী। গত মঙ্গলবার দুপুরে বেঁড়িবাধে অনুষ্ঠিত এক মানব বন্ধনে অংশ নেন ভূঁক্তভোগী শত শত পরিবার।

    ভূঁক্তভোগীরা ছাড়াও এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে ফর্মা বিল্লালের শাস্তি এবং তাকে দ্রুতই আইনের আওতায় আনার আহব্বান জানান। মানবন্ধনে উপস্থিত থেকে এই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অন্যতম সদস্য জিয়াউর রহমান কোয়েল। তিনি দৈনিক বাংলার নবকন্ঠে বলেন, ‘ফর্মা বিল্লাল এর প্রতারণায় শত শত পরিবার পথে বসে গেছে। সে লালবাগের পুষ্পশা পুঁকুরপাড়, বাঁশপট্টি, বালুরঘাট, কয়লাঘাট, শহিদনগর ২ নম্বর গলি, শ্মশানঘাট, আইডিয়াল স্কুল, আনোয়ার হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে, বালুরঘাট পাইপ কারখানা, চাঁন্দা ব্যাটারীর গলি, শহিদনগর ট্রাকস্ট্যান্ড, হক্কুল এবাদ ব্রিজসহ প্রায় ১০ স্পটে খুচরা ইয়াবা বিক্রি করে। তার একাধিক সহযোগীও রয়েছে। আমি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তাকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির জোড় দাবী জানাই।’

    লালবাগ থানার ২৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শেখ হাসমত বলেন, ‘ফর্মা বিল্লাল একসময় বেড়িবাঁধে ফেরী করে শঁশা, গাঁজর, আচার বিক্রি করতো। ধীরে ধীরে সে লালবাগ থানার পুলিশে সোর্স হয়ে উঠে। তখন থেকেই অদৃশ্য শক্তির সহায়তায় মাদক এবং ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে ঢ উপায়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করে তার জন্মস্থান শিবচরে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেছেন। সেইসঙ্গে দুটি প্রাইভেটকারের মালিকও বনে গেছেন তিনি। গড়ে তুলেছেন মাল্টিপারপাজ সমিতি। লালবাগ থানার জনি নামের এক ভুক্তভোগী জানান, আমার এক প্রাইভেটকার বিল্লাল কিনে নেয়। কিন্তু টাকা চাইলে না দিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা করে আমাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয় এই ফর্মা বিল্লাল।’

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লালবাগ থানার পুলিশ কর্মকর্তা মনোয়ার বাংলার নবকন্ঠে বলেন, ‘আমরা নিজেরাও ফর্মা বিল্লালের ধারা বিভিন্ন সময় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব প্রতারণা করে থাকে সে। তার বিরুদ্ধে দ্রুতই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব আমরা।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিল্লাল ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছে। তার বিরুদ্ধে যে কোন সময়ই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত রয়েছি আমরা।

    বাংলাদেশ সময়: ৯:২০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ