• শিরোনাম

    দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে রাণীনগরের ২২কিলোমিটার সড়কের কাজ

    সাহেব আলী, নওগাঁঃ বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

    দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে রাণীনগরের ২২কিলোমিটার সড়কের কাজ

    apps

    দ্রুত এগিয়ে চলেছে নওগাঁর রাণীনগর হয়ে নাটোর জেলার কালীগঞ্জ যাওয়ার ২২কিলোমিটার সড়কের পাকাকরনের কাজ। সড়কের কাজ সম্পন্ন হলে নওগাঁ বগুড়া, নাটোরসহ কয়েকটি জেলার লাখ লাখ মানুষ নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুব সহজেই চলাচল করতে পারবেন। বিশেষ করে ধান অধ্যুষিত অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষকরা বেশি উপকৃত হবেন।

    নওগাঁ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর থেকে আবাদপুকুর হয়ে কালীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ২২কিলোমিটার সড়ক স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে প্রথম পাকাকরনের কাজ করা হয়। এরপর রাস্তায় যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং এলাকার জনমানুষের জীবন মান উন্নয়নে এলজিইডি থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগে স্থানান্তর করা হয় সড়কটি। গত ২০১৮ইং সালের শেষের দিকে সড়কটি আরো প্রশস্তকরণ, টিকসই ও মজবুতকরণের জন্য নতুন করে পাকাকরণের টেন্ডার দেয়া হয়। এতে ২২কিলোমিটার সড়ক, ২৯টি সেতু-কালভার্ট নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০৫কোটি টাকা। ওই বছরই সড়কের সমস্ত কার্পেটিং তুলে কোন রকমে রোলার দিয়ে ফেলে রাখে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এছাড়া সেতু-কালভার্ট নির্মাণের কাজ অব্যাহত থাকে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ না করে বার বার সময় চেয়ে আবেদন করতে থাকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। অতিরিক্ত সময়েও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ না করায় গত ২০২১সালের মে মাসে কাজের চুক্তিপত্র বাতিল করে ৪কোটি টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয় ওই ঠিকাদারের। এরপর নতুন করে আবারো টেন্ডার দেয়া হলে টেন্ডারের বিরুদ্ধে মামলা করেন আগের ঠিকাদার। ফলে আবারো কাজ আটকে যায়। এতে করে নতুন দীর্ঘ ভোগান্তিতে পরে এলাকার লাখ লাখ মানুষ। একপর্যায়ে সড়ক বিভাগ ও স্থানীয় সাংসদের জোরালো তৎপড়তার কারণে ২০২১সালের নভেম্বর মাসে মামলা নিষ্পত্তি হলে আবারো টেন্ডারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত বছরের ১০আগষ্ট মাসে ২২কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের জন্য ৩৮কোটি ৩৪লক্ষ ২০হাজার ৫শত ৮১টাকা ৮৩ পয়সা ব্যয় ধরে টেন্ডার অন্তে নতুন কার্যাদেশ জারি করার মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হয়।

    সড়কের পাকাকরণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে পথযাত্রী বকুল, আছমা, বাদলসহ আরো অনেক যাত্রীরা বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে যে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তা বর্ণনা করার মতো নয়। অবশেষে ভোগান্তি নামক সেই দু:খ্যের আগুনে শান্তির পানি দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষকে উন্নয়নের মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করতে চলেছেন। আর এই জন্য অত্র অঞ্চলের মানুষের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সড়ক মন্ত্রী, স্থানীয় সাংসদ ও নওগাঁ সড়ক বিভাগের সকলের প্রতি রইলো অশেষ কৃতজ্ঞতা। তবে এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকলের প্রতি বিশেষ ভাবে অনুরোধ করবো যেন সড়কের কাজ যেভাবে কাগজে বলা হয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে সম্পন্ন করা হয় যাতে আগামী ৫০বছরের মধ্যে এই সড়কের আর মেরামত কিংবা সংস্কার করার প্রয়োজন না হয়।

    নওগাঁ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুর রহমান বলেন প্রতিনিয়তই সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা সড়কের পাঁকাকরণের কাজ মনিটরিং করছে। ইতিমধ্যে সড়কের কিছু অংশের পাঁকাকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নতুন চুক্তি অনুসারে চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসের মধ্যে সড়কের সকল কাজ সম্পন্ন করে আমাদের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে। আমি আশাবাদি নির্ধারিত সময়ের আগেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কের সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন এবং এলাকাবাসীরা দ্রুতই দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেয়ে যোগাযোগের নতুন ধারার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন।

    নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো: আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন ২০১৯সালের উপ-নির্বাচনে আমি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এই সড়কের পাকাকরনের কাজ আবার নতুন করে শুরু করার জন্য সড়ক মন্ত্রণালয়সহ বিভাগীয় পর্যায়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দুয়ারে অনেকবার ধর্না দিয়েছি। অবশেষে সকল জটিলতা কাটিয়ে কাজ শুরু করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আমি এই সড়ক নিয়ে এলাকাবাসীদের যে কথা দিয়েছিলাম সেই কথা রাখতে পেরেছি একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুগ্রহের কারণে। এই সড়কের প্রতি সুদৃষ্টি প্রদান করায় আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমি শতভাগ আশাবাদি জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামীতেও আমার নির্বাচনী এলাকার সার্বিক উন্নয়নের প্রতি সুদৃষ্টি প্রদান অব্যাহত রাখবেন

    বাংলাদেশ সময়: ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ