• শিরোনাম

    গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসবের আমেজ

    আব্দুর রহমান,গাজীপুর: মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

    গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসবের আমেজ

    apps

    আগামী ১৯ নভেম্বর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সম্মেলনকে সফল ও সার্থক করতে মহানগরের থানা এবং ওয়ার্ডগুলোতে হচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্মিসভা। সম্মেলনকে সফল করতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে সাজ সাজ রব। নগরীর অধিকাংশ থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে।
    সম্মেলন উপলক্ষে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ঘন ঘন সাক্ষাৎ ও কুশলবিনিময় করে দোয়া নিচ্ছেন। প্রার্থীদের কাছে কর্মীদের কদর বেড়েছে। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের ছবিসংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও তোরণ শোভা পাচ্ছে। মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বে কে আসবেন তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে আলোচনা। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুটি পদ নিয়েই সবার আগ্রহ বেশি।
    সভাপতি পদে সম্ভাব্য যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান। সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলো বীর মুক্তিযুদ্ধা কাজি আলীম উদ্দিন বুদ্দিন,আতাউল্লাহ মণ্ডল, অ্যাডভোকেট আব্দুল হাদী শামীম, মো. মতিউর রহমান মতি, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, আফজাল হোসেন সরকার রিপনসহ আরো কয়েকজন।
    গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ভাওয়াল বীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের সুযোগ্য পুত্র চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের নাম শোনা যাচ্ছে। নগরীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মুখে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সমর্থনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে জানা গেছে।
    তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সচেতন মহলের কয়েকজন জানান, বাবা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মতো গাজীপুরবাসীর সঙ্গে এবং তৃণমূল আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার এক নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। মানুষের বিশ্বাস আর আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি। তার কর্ম ও মেধা-মনন দিয়ে কুড়িয়েছেন লাখো মানুষের ভালোবাসা। মানুষের কল্যাণে, বিপদে-আপদে সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও যারা অসুস্থ আছেন তাদের খোঁজখবর রাখেন তিনি। দলের দুর্দিনের এ ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নে কোনো কমতি রাখেন না।
    জননেত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনা ও দৃঢ় নেতৃত্বে জাহিদ আহসান রাসেল গাজীপুরে তথা সারা দেশে যুবদের আত্মকর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে একের পর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। লাখো যুবক আজ আত্মকর্মী হয়ে গড়ে উঠছেন। ধাপে ধাপে ক্রীড়াঙ্গনকে সমৃদ্ধ করে তুলছেন তিনি। তার উন্নয়নের ছোঁয়ায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় বহুতল শিক্ষা ভবন নির্মাণ হয়েছে। মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি।
    নেতাকর্মীরা বলেন, মার্জিত ও সদাহাস্যোজ্জ্বল এবং মেধা-মননের অধিকারী জাহিদ আহসান রাসেল অল্প বয়সে বাবার মতো জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। মানুষের পাশে থেকে এ দেশকে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন। সত্যিকার অর্থে মানুষ তাকে খুব ভালোবাসে। এই হেভিওয়েট প্রার্থী গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পেলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে নগরীর প্রতিটি ইউনিট সুসংগঠিত হবে, দল আরো বেশি শক্তিশালী হবে।
    সভাপতি প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিক অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানের নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি টঙ্গী পৌরসভার একাধিকবার নির্বাচিত মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এই দিকপাল প্রবীণ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদের বিশেষ অবদান রয়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ^স্ত ও পরীক্ষিত এই নেতা দুর্দিনে গাজীপুরে আওয়ামী লীগকে সুংসগঠিত রেখে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলের প্রতি তার অবদানের কথা সবাই জানেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গাজীপুরের মাটি ও মানুষের জন্য এই হেভিওয়েট প্রার্থী কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
    গাজীপুর মহানগরের আরেক বর্ষীয়ান রাজনীতিক আতাউল্লাহ মণ্ডল যিনি মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে গাজীপুরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি এবার মহানগর সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা গেছে। গাজীপুরে আওয়ামী লীগে প্রবীণ এই রাজনীতিকের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চান।
    গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল হাদী শামীম বলেন, আমি দল থেকে কিছু পাওয়ার লোভে রাজনীতি করি না। আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শকে ভালোবেসে জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে রাজনীতি করছি। আমি দলকে যেমন ভালোবাসি তেমনি তৃণমূল নেতাকর্মীরাও আমাকে ভালোবাসেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে অন্তরে ধারণ করে তার হাতকে আরো শক্তিশালী করার পাশাপাশি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী দুর্গ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছি। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের
    সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাব এবং দলকে আরো সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করব।
    আব্দুল হাদী শামীম ১৯৮৭ সালে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৯১ সালে গাজীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন।
    আরেক বর্ষীয়ান রাজনীতিক মতিউর রহমান মতি যিনি ভাওয়াল বীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির ছোট ভাই। তিনি বর্তমানে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এবার তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের পাশে থেকে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
    ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে দলীয় নেতাকর্মীদের মুখে শোনা যাচ্ছে তার নাম। মহানগরের দক্ষিণ সালনার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম তার। ত্যাগ-তিতিক্ষা ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে সাজ্জাদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি ছাত্রলীগের মূলনীতির পতাকাতলে দীপ্ত চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ১৯৮৬ সালে কাউলতিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। পড়ালেখার পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণে ১৯৮৭ সালে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে জয়দেবপুর থানা ছাত্রলীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৯০-এর গণআন্দোলন তাকে ছাত্র রাজনীতিতে লেগে থাকার তীব্র অনুপ্রেরণা জোগায়; যার ফলে ১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যলয়ের কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছাত্রলীগের সক্রিয় ছাত্রনেতা সাজ্জাদ হোসেন জননেত্রীর শেখ হাসিনার আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে ১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
    মেধাবী এই ছাত্রনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাকালে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ত্যাগী ছাত্রনেতা সাজ্জাদ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সোনালি অর্জন। নেতৃত্বকালে ঢাবি ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালীতে পরিণত করেছিলেন তিনি। দলের খারাপ সময়ে সব সময় পাশে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত এই নেতা সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ায় তৃণমূলসহ সচেতনমহলে সাড়া পড়েছে।
    তিনি ২০০০-১০ সালে ইউকে আওয়ামী লীগের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১০-১২ সালে আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু আইজীবী পরিষদ প্রস্তুতি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার আশীর্বাদ নিয়ে জনসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।
    গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতি আফজাল হোসনে সরকার রিপন এবার সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন, আমি মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে সর্বোচ্চ রাজনীতি বলে মনে করি। বিগত দিনে করোনা মহামারির কারণে গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে হাজারো মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ বেশি ভোগান্তিতে পড়েছিল। হাজারো মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। মানুষের ঘরে ঘরে কর্মীদের নিয়ে খাবার পৌঁছে দিয়েছি। আমি তৃণমূলকে আরো সুসংগঠিত করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করাই আমার লক্ষ্য। আমি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে তৃণমূলসহ দলকে আরো সুসংগঠিত করব। দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আরো বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাব।
    আফজাল হোসেন সরকার রিপন ছাত্রলীগের মনোনীত হয়ে ২০০২ সালে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহসম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক নির্বাচিত হন।
    এ সম্মেলনকে ঘিরে উজ্জীবিত তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক ও পদপ্রত্যাশীরা। পছন্দের প্রার্থীদের নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। ইতোমধ্যে মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ত্যাগী ও মেধাবীরা স্থান পেয়ে বলে জানা গেছে। এবার ত্যাগী ও মেধাবীদের দিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের একটি শক্তিশালী কমিটির প্রত্যাশা করছেন তারা।
    কয়েকজন নেতা জানান, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। আগামী ১৯ নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জানা যাবে কে হবেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তবে যারাই নির্বাচিত হন গাজীপুরের সার্বিক পরিস্থিতি ঠিক রাখতে তাদের ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে। গাজীপুরের সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসন গাজীপুরের সহিংসতা, জঙ্গিবাদ দমনে অনেকটাই ব্যর্থ। কিছুক্ষেত্রে অপরাধীরা স্থানীয় রাজনৈতিক মদদও পেয়েছে বলে অভিযোগ আছে। ধর্মের ব্যবহার ও অর্থের বিনিময়ে বহিরাগতদের মাধ্যমে গাজীপুরের অপরাধমূলক কার্যক্রম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে এদের অপব্যবহার ব্যপকহারে বেড়েছে। এতে গাজীপুরে স্থানীয় সরকার
    ব্যবস্থা ও রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই যারাই মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবেন তাদের অনেক চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।

    বাংলাদেশ সময়: ৮:৪০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ