শাহজাদপুর : উপজেলায় ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাত যুবকের অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার ভিতরে মূল হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ।
শাহজাদপুর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান ও অফিসার ইনচার্জ মো. খাইরুল বাশারের তত্ত্বাবধানে শাহজাদপুর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. শাখাওয়াত হোসেন এবং এস আই শারাফুল ইসলাম নেতৃত্বে শাহজাদপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ টায় উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনা সহিত জড়িত মূল আসামি মোঃ জাহাঙ্গীর (৩১) গ্রেপ্তার করে ।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১২ টায় শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান প্রেস ব্রিফিং সাংবাদিকের বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামী মো. জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে পেশায় একজন সিএনজি চালক গত পাঁচ বছর আগে সে তার সিএনজি বিক্রি করে দেয় পরে সে রাজমিস্ত্রির কাজ করত কিন্তু অল্প আয় দিয়ে তার সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। অভাবের তাড়নায় সে ভ্যান-ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক সে গত ১ অক্টোবর বিকাল ৪ টায় ডেমরা বাজারে যায় এবং টার্গেট খুঁজতে থাকে। একই রাত আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে সে ভিকটিম মৃত রাসেলকে ভ্যানসহ দেখতে পেয়ে চরাচিথুলিয়া মন্ডল পাড়াতে (গোবরের ঘুষি) নিয়ে আসার জন্য ৭০ টাকা ভাড়া চুক্তি করে তার ভ্যানে ওঠে। এরপর রাত আনুমানিক আট ঘটিকায় অত্র থানা দিন মন্ডলপাড়া এলাকায় এসে ভ্যান থামায়ে পাশেই মাঠের মধ্যে বস্তা আছে বলে মাঠের মধ্যে তাকে নিয়ে যায় । এরপর সে বালুর মাঠে গিয়ে রাসেলকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়, সে সময় পাশে থাকা একটি বাঁশের লাঠি দিয়ে রাসেলের মাথার বাম পাশে আঘাত করলে রাসেল মাটিতে পড়ে যায় এরপর সে রাসেলের পরিধেয় লুঙ্গি তার গলায় পেচিয়ে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেল চারটায় উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের চড়াচিথুলিয়া গ্রামের মন্ডলপাড়ায় হাকিম মণ্ডলের ধান ক্ষেতে আনুমানিক ১৫ বছর বয়সী অজ্ঞাত যুবকের অর্ধ গলিত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা এবং পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন সহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে শাহজাদপুর থানায় নিয়ে আসে।
শাহজাদপুর থানা পুলিশ উক্ত ও যুবকের পরিচয় সনাক্ত করা সহ তার হত্যাকারী গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানে নেমে পড়ে এবং পার্শ্ববর্তী বেড়া, ফরিদপুর ও সাথিয়া থানাকে অবহিত করে।
চঞ্চল্যকর এই বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া গুরুত্ব সহকারে উক্ত বিষয়টি প্রচার ও প্রকাশ করার ফলে গতকাল (৪ অক্টোবর) বিকাল আনুমানিক চারটায় মৃত রাসেলের পরিবার ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে শাহজাদপুর থানাতে এসে ভিকটিমের মরদেহ দেখে চিহ্নিত করে। মৃত যুবক পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার ডেমরা গ্রামের মো. রবিউল ইসলামের ছেলে মো. রাসেল (১৫)। মৃত রাসেলের বাবা মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামাদের আসামী করে শাহজাদপুর থানাতে হত্যা মামলা দায়ের করেন ।
পরে শাহজাদপুর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান ও অফিসার ইনচার্জ মোঃ খাইরুল বাশারের তত্ত্বাবধানে শাহজাদপুর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. শাখাওয়াত হোসেন এবং এস আই শারাফুল ইসলাম নেতৃত্বে শাহজাদপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম (৫ অক্টোবর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টায় উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনা সহিত জড়িত মূল আসামি মো. জাহাঙ্গীর (৩১) গ্রেপ্তার করে ।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি জাহাঙ্গীর রাসেলকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন
