• শিরোনাম

    রাজশাহীতে ডিজিটাল সেন্টারের এক যুগ পূর্তি উদযাপিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক: শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

    রাজশাহীতে ডিজিটাল সেন্টারের এক যুগ পূর্তি উদযাপিত

    apps

    রাজশাহীতে ডিজিটাল সেন্টারের এক যুগ পূর্তি উদযাপিত হয়েছে। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে “স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১: সবার জন্য স্মার্ট সেবা”- শীর্ষক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কেটে ১৫ দিনব্যাপী স্মার্ট ই-সেবা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। এই ক্যাম্পেইনে প্রতিটি জেলা থেকে সেরা পারফর্মেন্স অর্জনকারী ২ জন করে ১২০ জন উদ্যোক্তাকে তিনটি ক্যাটাগরিতে কেন্দ্রিয়ভাবে নির্বাচিত করে, বিজয়ী উদ্যোক্তাদের এটুআই প্রকল্পের আওতায় পুরস্কৃত করা হবে।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হলো জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী জাতি গঠনেরই রূপকল্প। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে উদ্যোক্তাদের জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির সম্প্রসারণ এবং নতুন নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়নে আহবান জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গঠন করতে হবে।

    ‘দেশের জনগণের দোরগোড়ায় সেবা প্রদানের পরম বিশ্বস্ততার নাম ডিজিটাল সেন্টার’ উল্লেখ্য পূর্বক জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এবং জনগণের দোরগোড়ায় সহজে, দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে সরকারি-বেসরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের চার হাজার ৫০১টি ইউনিয়নে একযোগে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন করেন, যা বর্তমানে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) নামে পরিচিত।

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রগ্রাম শুরু থেকেই এই ডিজিটাল সেন্টারগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে দেশব্যাপী আট হাজার ৮০৫টি ডিজিটাল সেন্টারে ১৬ হাজার এর অধিক উদ্যোক্তা ৩৬০টির অধিক সরকারি-বেসরকারি সেবা প্রদান করছে।

    ডিজিটাল সেন্টারের হাত ধরে দীর্ঘ এক যুগে বদলে গেছে তৃণমূল বাংলার চিত্র, শহরের সেবা পৌঁছে গেছে গ্রামে। সহজ ও আধুনিক হয়েছে নাগরিক জীবন। এই দীর্ঘ পথচলায় ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য ও স্বনির্ভরতার গল্পে জুড়ে রয়েছে একঝাঁক তরুণ উদ্যোক্তাদের একনিষ্ঠ পরিশ্রম।

    ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, ডিজিটাল সেন্টারগুলো মূলত এক ধরনের স্পেশালাইজড মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজ, যা স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধি কর্তৃক নির্বাচিত একজন পুরুষ ও একজন নারী উদ্যোক্তা কর্তৃক পরিচালিত হয়। এর ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে ডিজিটাল সেন্টার পাল্টে দিয়েছে বহু উদ্যোক্তার জীবন।

    দেশের বিভিন্ন ইউনিয়নে এমন বহু উদ্যোক্তা আছেন, যাঁরা ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে নিজের জীবনে পরিবর্তন এনেছেন, সফল হয়েছেন এবং অর্জন করেছেন সামাজিক স্বীকৃতি। শুধু তা-ই নয়, ডিজিটাল সেন্টারে প্রশিক্ষণ শেষে বহু তরুণ বেকার নিজেরাই গড়ে তুলেছেন প্রতিষ্ঠান, হয়েছেন উদ্যোক্তা। দারিদ্র্য বিমোচনে এমন যুগান্তকারী সফল পদক্ষেপ শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী নন্দিত হচ্ছে।

    একই সঙ্গে যে গ্রামের মানুষ শুধু রাত-দিন পরিশ্রম করে বঞ্চিত থাকত আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে, আজ রাষ্ট্রের যেকোনো সেবাই তাদের ঘরের কাছে। ডিজিটাল সেন্টার এখন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে এক পরম বিশ্বস্ততার নাম।

    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারীয়া পেরেরা এঁর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) শাহানা আখতার জাহান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোছা. হাসিনা মমতাজ। এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর জেলা কার্যালয়ের প্রোগ্রামার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. নূরুজ্জামান দেওয়ান, হুজুরীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা জিয়াউল হক, মৌমাছি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা সাবানা খাতুন।

    বাংলাদেশ সময়: ২:০৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ