• শিরোনাম

    ময়মনসিংহে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ১ আসামী গ্রেফতার

    রুবেল, ময়মনসিংহ: সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

    ময়মনসিংহে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ১ আসামী গ্রেফতার

    apps

    একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া পলাতক আসামী মো: সুলতান মাহমুদ ফকির কে ময়মনসিংহ শহরের ভাটিকাশর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-১৪, ময়মনসিংহ।

    সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) আকুয়া বাইপাস র‍্যাব-১৪ এর কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এ র‍্যাব-১৪ এর অধিনায়ক মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান এ তথ্য জানান।

    প্রেস ব্রিফিং এ জানায়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের ত্রিশালের কাকচর গ্রামের ইউনুছ আলী নামে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নদী পারাপারে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা জুন-জুলাইয়ের দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশালের আহমেদাবাদে একটি ক্যাম্প স্থাপন করে। মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপারে সহযোগিতার কারণে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলীকে রাজাকারদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে টর্চার সেলে নির্যাতনের পর ১৫ আগস্ট সকালে তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়।

    এ ঘটনায় শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের বিচারিক আদালতে মো: সুলতান মাহমুদ ফকির সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে আদালত বিচারিক কার্যক্রমের জন্য মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠান। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলা রুজু হয়।

    র‍্যাব-১৪ এর অধিনায়ক মহিবুল ইসলাম খান বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় উভয়ের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। পরে ২০১৭ সালে অভিযোগের তদন্ত শেষে তদন্ত সংস্থা মো: সুলতান মাহমুদ ফকির সহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই মামলায় আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। মামলার অভিযুক্ত দুই আসামি রায়ের আগেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। এছাড়া গত ২৩ জানুয়ারি মো: সুলতান মাহমুদ ফকির সহ নয়জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

    র‍্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত মো: সুলতান মাহমুদ ফকির ২০১৫ সালে মামলার তদন্ত কাজ শুরুর পর থেকেই পলাতক ছিল। পরে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। গ্রেফতার এড়াতে সে নিয়মিত অবস্থান পরিবর্তন করতো এবং কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো না। তার ছেলে মেয়েরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হওয়ায় প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে তাদের নিয়মিত অর্থ পাঠাতো। আত্মগোপনে থাকাকালে সে সাধারণত জনসমাগম স্থান, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ছাড়াও ব্যক্তিগত পরিচয় প্রকাশ পায় এমন স্থান এড়িয়ে চলতো। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

    বাংলাদেশ সময়: ১১:১৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ