• শিরোনাম

    মন্ত্রীপুত্র সাদীকে ফাঁসাতে গুলির নাটক ও নানা গুজব রটানোর অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

    প্রদীপ কুমার দেবনাথ, বেলাব (নরসিংদী)।। বুধবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪

    মন্ত্রীপুত্র সাদীকে ফাঁসাতে গুলির নাটক ও নানা গুজব রটানোর অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

    apps

    নরসিংদী-৪ (বেলাব-মনোহরদী) আসনের সংসদ সদস্য শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছেলে মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদি। তাঁকে ফাঁসাতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর গুলির নাটক ও নির্বাচনে দিনভর অপপ্রচার গুজব তৈরির অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

    এ ঘটনায় সম্প্রতি যুবলীগ নেতা মাজহারুল ইসলামের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। তার পর থেকে গুলির নাটকের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এলাকায়।

    এ ছাড়া ইতিপূর্বে মাজহারের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
    উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগের দিন ৬ জানুয়ারি রাতে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম খান বীরুর সমর্থক চন্দনবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রউফ হিরনের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে শিল্পমন্ত্রীর ছেলে সাদির বিরুদ্ধে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয়।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওসহ অডিওতে মাজহারুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, ‘হিরনকে (চন্দরবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান) বলবা জোরালোভাবে বলার জন্য যে সাদি এই গুলি করছে।

    তিন-চার মিনিটের মধ্যে ডিসি আসতেছে। ২৫টা গাড়ি নিয়ে আসতেছে। সব লোকজনকে রাস্তায় বের হতে বলো। হিরনকে বলবা যেন সে স্পষ্টভাবে বলে সাদিই তাকে গুলি করছে। এটা যেন শক্তভাবে বলে এবং এটা তোমরা লাইভ করে ফেলবা। পাঁচ-ছয়জনে লাইভ করলে ছোটার আর রাস্তা পাবে না। সব লোক জড়ো হইতে বলো। বিশাল বড় কিন্তু অবস্থান শো করতে হবে। বললে হিরন যেন সুন্দরভাবে স্পিসগুলা দিয়ে দেয়। একেবারে স্পষ্টভাবে তারে (সাদী) যেন দোষী করে দেয়।’

    এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা শিল্পমন্ত্রীর ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদি বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী একটি চক্রের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাকে ফাঁসাতে একটি নাটক সাজিয়েছিল। প্রতিমুহূর্তে তারা আমার বিরুদ্ধে গুজব রটিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল। যা এখন সবার কাছে স্পষ্ট। এ ব্যাপারে আমি আইনের সহায়তা নেব।’

    উল্লেখ্য, যুবলীগ নেতা কাজী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগও রয়েছে। ২০১৭ সালে মনোহরদী উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মিয়া শরীফ রায়হান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কাসেম ও সুব্রত মজুমদার তুহিনের নামে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্ররোচনা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে কাজী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

    এ বিষয়ে কাজী মাজহারুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

    এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুব্রত মজুমদার তুহিন বলেন, যুবলীগ নেতা কাজী মাজহার প্রায় সময়ই দলীয় প্রভাব ও তাঁর স্ত্রী এনএসআই কর্মকর্তা বিলকিসের প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন সময় দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা ও হয়রানি করে আসছে।

    তাছাড়া এই নির্বাচনে তার কতিপয় শীষ্যের মাধ্যমে নানা গুজব ও অপপ্রচার চালিয়ে নির্বাচন পূর্ববর্তী সময় ও নির্বাচনের দিন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেষ্টা করেছে।

    বাংলাদেশ সময়: ১১:২৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আজ বিজয়া দশমী

    ২৬ অক্টোবর ২০২০

    আর্কাইভ