• শিরোনাম

    বেলাবতে আগাম জাতের শিম চাষে কৃষকের মুখে হাসি

    প্রদীপ কুমার দেবনাথ শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩

    বেলাবতে আগাম জাতের শিম চাষে কৃষকের মুখে হাসি

    apps

    নরসিংদী, বেলাব, উপজেলা, বিভিন্ন, এলাকা,মাঠ, শিম, ফুল, শোভা, চাষি,
    নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে শিমের ফুলের শোভা, চাষির মুখে হাসির আভা ছড়িয়েছে। অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে শীতের সবজি শিম। উপজেলার যে দিকে তাকাই শিম ক্ষেতগুলোতে দেখা যায়, সবুজের সঙ্গে দুলছে বেগুনি রঙে রাঙানো ফুল। কিছু গাছে আগাম শিম ধরেছে। এগুলো বিক্রি করে কৃষকরা প্রচুর লাভ। আগাম যেকোনো সবজি মানেই চার/পাচগুণ দাম। ওইসব এলাকার বাড়ির আশেপাশে উঠানে কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন শীতের সবজি শিম আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিন্নাবাইদ, নারায়ণপুর ও পাটুলী ইউনিয়নের বিন্নাবাইদ, জালালাবাদ ও ভাবলা গ্রামে শিম বাগানের পরিচর্যা করছেন চাষি আব্দুর রহমান, নুরু মিয়া ও তাজউদ্দীন। বেগুনি রঙের ফুলের শোভায় ভরে উঠছে শিম ক্ষেত। প্রকৃতিও বেশ অনুকূলে। শীতের শুরু না হতেই ক্ষেত থেকে শিম তুলে বাজারে বিক্রি করছেন অনেক চাষি। ভালো দাম পেয়ে চাষিদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির আভা। আগাম শিম চাষ করে ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা। শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম হলো শিম। প্রতিবছরই উপজেলার উঁচু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়ে আসছে আগাম শিম। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন শীতের সবজি শিম আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। শীতের সবজি শিম ক্ষেতের দিকে তাকালেই দেখা যায়, সবুজের সঙ্গে দুলছে বেগুনি রঙে রাঙানো ফুল। সাদা ও বেগুনি রঙের মনোমুগ্ধকর ফুলে গ্রামের সবুজ ক্ষেতের প্রকৃতি সেজেছে যেন অন্য রকম এক মুগ্ধতায়। বাড়িতে শিমের পরিচর্যা করছেন কৃষাণী আনোয়ারা বেগম। তিনি বলেন ইতিমধ্যে কিছু শিম তুলে বিক্রি করেছি ১৮০-২০০ টাকা কেজিতে। শীত শুরুর আগে আগে শিম বিক্রি করতে পারলে লাভ বেশি হবে। সেভাবেই শিমের গাছ লাগিয়েছি বাড়িতে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সুফলও পাচ্ছি।

    বিভিন্ন এলাকায় মাঠ জুড়ে শিম ক্ষেত, যা অপরূপ সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। শিমের গাছ, পাতা-ফুল বাতাসে দোল খাচ্ছে। পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এদিকে এসব ইউনিয়নের কৃষকরা আগাম শিম চাষ করে ভালো ফলনের আশা করছেন। অনেকেই জানান, তারা প্রায় ৩০/৪০ শতাংশ জমিতে শিমের চাষ করেছেন এবং এবছর যথেষ্ট অর্থ উপার্জন হবে। ১৮০-২০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন এসব। গত বছর এ সময় অতিবৃষ্টিতে শিম ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। তাই খুব একটা লাভ হয়নি তাদের। এবার আগাম জাতের শিম বিক্রি করে বেশ দাম পাচ্ছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে ভালো দামে আরো বেশি শিম বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।

    শিম চাষীদের ভাষ্য, মৌসুমের শুরুর দিকে ১৫০-২০০ টাকা কেজি দরে জমি থেকেই শিম নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। তবে অল্প কিছুদিন পর বাজারে আমদানি বেড়ে গেলে দামও নেমে আসে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। তারপরও বর্তমানে ভালো লাভ পেয়ে বেজায় খুশি কৃষক পরিবারগুলো।

    এদিকে পোড়াদিয়া বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, আজ শিম বিক্রি হচ্ছে খুচরা ২৪০-২৫০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৮০-৩০০ টাকা কেজি। বেলাব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিম উর রউফ খান বলেন, এবার ৪০ হেক্টর জমিতে চলতি বছর শীতকালীন শিম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সবজি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। শীতকালীন সবজি শিম আগাম বাজারে নিয়ে আসতে হলে মার্চ-এপ্রিলে জমিতে লাগাতে হয়। মে-জুনেও লাগানো হয়ে থাকে। এ বছর প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় সবজির চাষাবাদ ভালো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভালো উৎপাদনের জন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি অফিস। ব্লক সুপারভাইজারগণ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

    বাংলাদেশ সময়: ৯:৫০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ