• শিরোনাম

    নালিতাবাড়ীতে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

    মেহেদী হাসান সাকিব, নালিতাবাড়ী (শেরপুর) সংবাদদাতা: মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

    নালিতাবাড়ীতে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

    apps

    শেরপুরের শস্য ভান্ডারখ্যাত নালিতাবাড়ীতে তৈল জাতীয় ফসল সরিষা উৎপাদনে ঝুঁকছেন কৃষকরা। তাই আমন ফসল ঘরে তোলার পর ওই জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন তারা। উপজেলার অধিকাংশ এলাকার বির্স্তীন ফসলের মাঠ জুড়ে এখন যেন হলুদের সমারোহ।
    উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় তৈল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে সরকারি নির্দেশনায় উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ৫ হাজার ৫০০ জন কৃষককে প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে। এলাকার কৃষকরা প্রণোদনা ছাড়াও নিজ উদ্যোগে এ বছর ১ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে বারি- ১৪ জাত ও দেশী জাতের সরিষা রয়েছে। ইতোমধ্যে সারামাঠ হলুদে ছেঁয়ে গেছে। মাঠে মাঠে মৌ মৌ গন্ধে মধু সংগ্রহ করছে মৌমাছিরা। এতে আশায় বুক বাঁধছেন কৃষকরা। নতুন সরিষা উত্তোলণের পর আবার তারা ওই জমিতে বোরো ধান আবাদ করবেন।
    মরিচপুরান ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি সরিষার আবাদ হয়েছে। ওই ইউনিয়নের টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পাশের মাঠে দিগন্তজুরে সরিষার মাঠ। ওই মাঠের একসাথে ১০০ একর জমিতে সরিষা বুনেছেন কৃষকরা। আবাদের পরিস্থিতিও অনুকুলে আছে। কৃষি বিভাগের লোকজন প্রতিদিন খোঁজখবর নিচ্ছেন ও কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছেন। আর কিছুদিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তুলবেন তারা। এখন সারা গ্রাম যেন হলুদে ছেঁয়ে গেছে। এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য ক্যামেরা বন্ধি করতে উৎসুক মানুষ ছুটে যাচ্ছেন সরিষা খেতে।
    এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, কৃষিমন্ত্রীর অন্যতম এজেন্ডা আগামী ৩ বছরের মধ্যে সরিষার আবাদ ৪০% বৃদ্ধি করতে হবে। এই এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ব্লক ও উপজেলা পর্যায়ে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ফলে গত বছরের ৭৫৮ হেক্টরের স্থলে বেড়ে এ বছর ১ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রণোদনার আওতায় উপজেলায় ১০০ একরের অধিক এই মাঠে নতুনভাবে সরিষার আবাদ হয়েছে। নালিতাবাড়ীতে এমন সরিষার আবাদ হওয়ায় আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে নালিতাবাড়ীর কৃষকরা।

    বাংলাদেশ সময়: ২:৪৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ