রংপুর ব্যুরো: বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
রংপুর জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনকে স্যার ডাকতে বাধ্য করার অভিযোগ তুলেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক। এর প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কন্যাসহ অবস্থান কর্মসূচিতে বসেছেন ওই শিক্ষক। গত ২২ মার্চ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বসে পড়েন বেরোবির এ্যাকাউন্টিং এ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক। সঙ্গে তার কন্যাশিশু অক্ষর রয়েছে। অবস্থান কর্মসূচিতে তার কন্যা শিশুর হাতে নিয়ে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে রংপুরের জেলা প্রশাসক স্যার ডাকতে বাধ্য করার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি এবং বেরোবি’র শিক্ষক উমর ফারুক এর হাতে নিয়ে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে রংপুরের জেলা প্রশাসক স্যার ডাকতে বাধ্য করায় অবস্থান কর্মসূচি। এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরণের শ্লোগান দিতে থাকে।
বুধবার রাত পৌনে ৯টা দিকে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন ঘটনাস্থলে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে আপসরফা হয়ে ফটোসেশনের মাধ্যমে উদ্ভুত পরিস্থিতির অবসান হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিক্ষক উমর ফারুকের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ভবনের দোতলা থেকে জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে নিচে নেমে এসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীসহ কৌতূহলী জনতার উদ্দেশ্যে অভিযোগকারী শিক্ষক উমর ফারুক বলেন, আমি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে তার সঙ্গে দেখা করতে যাই একটি স্কুলের বিষয়ে। রংপুরের প্রথম শহীদ শংকু সমজদারের নামে প্লে গ্রুপ থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত গত তিন বছর থেকে একটি স্কুল পরিচালনা করি। সেই স্কুলের কাজে গিয়েছিলাম। জেলা প্রশাসককে স্যার সম্বোধন না করায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। এ সময় এ বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষক উমর ফারুক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে একাকি অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে সেই কর্মসূচিতে অংশ নেন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক নিচে নেমে এলে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন শিক্ষকও উপস্থিত হন। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তুহিন ওয়াদুদ উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
একজন জেলা প্রশাসককে কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক স্যার বলবেন। এদিকে রাত পৌনে ৯টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন এ ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি স্যার সম্বোধন করতে বলিনি। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel