• শিরোনাম

    জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন , তোমার ফেরার দিনটি আজও সূর্য হয়ে জ্বলে ড.খান আসাদুজ্জামান পিভিএমএস

    অনলাইন ডেস্ক শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৪

    জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন , তোমার ফেরার দিনটি আজও সূর্য হয়ে জ্বলে  ড.খান আসাদুজ্জামান পিভিএমএস

    apps

    ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে নিজ জন্মভূমিতে পা রাখেন। পূর্ণতা পায় বাঙালি জাতির বিজয়।

    ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে পাকিস্তানি সেনারা আটক করে পাকিস্তানে নিয়ে যায়। সে রাতেই বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর শুরু হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর হামলা। পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সেই ঘোষণা ছড়িয়ে দেওয়া হয় সারা দেশব্যাপী। বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিসংগ্রামে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ৯ মাস যুদ্ধের ভয়াবহতা, মানুষ হত্যা ও বিভীষিকার মধ্যে শেখ মুজিবকেই মনে করেছে শক্তি ও প্রেরণার উৎস হিসেবে, মুক্তির আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে।

    পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পর ১৯৭১ সালের ১ এপ্রিল শেখ মুজিবুর রহমানকে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। তারপর তাকে সরিয়ে আনা হয় মিয়ানওয়ালির কারাগারে। থাকতে দেওয়া হয় ফাঁসির আসামিদের জন্য নির্ধারিত সেলে। মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁকে সেখানে ও পাঞ্জাবের উত্তরে লায়ালপুর ও শাহিওয়ালের দুটি কারাগারে কাটাতে হয়। এ সময় পাকিস্তান সামরিক সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি অভিযোগ এনে ‘বিচার’ শুরু করে। ১২টি অভিযোগের ছয়টির রায় ছিল মৃত্যুদণ্ড। অভিযোগগুলোর অন্যতম একটি ছিল ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা’। টাইমসে লেখা হয়, এই বিচার শেষ হয় চার ডিসেম্বর। ‘ইয়াহিয়া তার সেনা কর্তাদের রাওয়ালপিন্ডি ডেকে পাঠিয়ে গুলি করে দ্রুত শেখ মুজিবকে হত্যার প্রস্তুতির নির্দেশ দিলেন। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় তাকে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হলো।’ ৭ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুকে মিয়ানওয়ালিতে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৫ ডিসেম্বর, ঢাকায় পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের এক দিন আগে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য ইয়াহিয়ার যে পরিকল্পনা ছিল তা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৫ ডিসেম্বর জেলখানার দায়িত্বরতদের জানানো হয়, নিয়াজিকে পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালিরা হত্যা করেছে, তার প্রতিশোধ হিসেবে পরদিন সকালেই মুজিবকে হত্যা করা হবে। সে প্রস্তাবে সবাই এক কথায় রাজি হয়। পরদিন ভোররাত চারটায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা আগে জেল সুপার বঙ্গবন্ধুর সেলের দরজা খুলে ঢোকেন। বঙ্গবন্ধু জানতে চান, ‘আমাকে কি ফাঁসির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?’ তিনি আগেই দেখেছিলেন তাঁর সেলের বাইরে কবর খোঁড়া হয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছিল, তাঁর নিরাপত্তার জন্য পরিখা খনন করা হয়েছে। জেল সুপার জানালেন, তাঁকে ফাঁসির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। তবু সন্দেহ যায় না বঙ্গবন্ধুর। তাঁর ভাষ্যে, ‘আমি তাঁকে বললাম, যদি ফাঁসিই দেওয়া হয়, তাহলে আমাকে প্রার্থনার জন্য কয়েক মিনিট সময় দিন।’ সুপার বললেন, ‘না না, একদম সময় নেই। আপনাকে এখনই আমার সঙ্গে আসতে হবে, জলদি।’ বঙ্গবন্ধুকে কয়েক মাইল দূরে এক অজ্ঞাত স্থানে কয়েক দিনের জন্য সরিয়ে নেন জেল সুপার। সেখানে ৯ দিনের মতো কাটান তিনি। জেলের কর্মকর্তারা জেল সুপারকে বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। এরপর এক পুলিশ অফিসার সেই সুপারকে জানান, বঙ্গবন্ধুকে লুকিয়ে রাখার আর প্রয়োজন নেই, জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯ ডিসেম্বর পাকিস্তানের শাসনভার গ্রহণ করেছেন, তিনি মুজিবের সঙ্গে কথা বলতে চান। এরপর রাওয়ালপিন্ডিতে নিয়ে যাওয়া হয় বঙ্গবন্ধুকে। সেখানে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়। ২৪ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন ভুট্টো। বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকারী নিউইয়র্ক টাইমসের তৎকালীন প্রতিনিধি সিডনি শ্যানবার্গ বলেন, ভুট্টোর মনে হয়েছিল, মুজিবকে হত্যা করা হলে বাংলাদেশে আটকে পড়া প্রায় এক লাখ পাকিস্তানি সেনাদের হত্যা করা হতে পারে। এ কাজের জন্য সবাই তাঁকে অর্থাৎ ভুট্টোকেই দায়ী করবে। তাই তাকে হত্যা করা হয়নি। ৭ জানুয়ারি তৃতীয় ও শেষবারের মতো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন ভুট্টো। বঙ্গবন্ধু তাঁকে বলেন, ‘আজ রাতেই আমাকে মুক্তি দিতে হবে, এ নিয়ে অযথা বিলম্বের সময় নেই। হয় আমাকে মুক্তি দিন অথবা মেরে ফেলুন।’ ভুট্টো তাঁকে বলেন, এত দ্রুত সব আয়োজন করা কঠিন। শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে লন্ডনে পাঠাতে সম্মত হন ভুট্টো।

    ৮ জানুয়ারি সকাল ৭টায় বিবিসির ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে প্রচারিত খবরে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান বিমানযোগে লন্ডনে আসছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই উড়োজাহাজটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।’ বিমান অবতরণের পরপরই ব্রিটিশ বৈদেশিক দপ্তরের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রীয় অতিথির মর্যাদা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানান। বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতির কথা জেনে হাজার হাজার বাঙালি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে লন্ডনের আকাশ-বাতাস মুখর করে তোলে। দুপুরের দিকে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘এক মুহূর্তের জন্য আমি বাংলাদেশের কথা ভুলিনি। আমি ধরে নিয়েছিলাম ওরা আমাকে হত্যা করবে। আমি আপনাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাব না। কিন্তু আমার জনগণ মুক্তি অর্জন করবে।’

     

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৯ জানুয়ারি সকালে লন্ডনে বসেই টেলিফোনে ইন্দিরা গান্ধীর সাথে আধা ঘণ্টা আলোচনা হয়। বঙ্গবন্ধুকে অভিনন্দন জানান ইন্দিরা গান্ধী এবং অনুরোধ করেন ঢাকার পথে যেন তিনি দিল্লিতে যাত্রাবিরতি করেন। বঙ্গবন্ধু আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন এবং দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন। কালো-ধূসর ওভারকোট পরে বঙ্গবন্ধু উড়োজাহাজের সিঁড়ি বেয়ে নামলেন। প্রেসিডেন্ট ভি. ভি. গিরি বঙ্গবন্ধুকে আলিঙ্গন করলেন। পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বাগত জানাচ্ছিলেন। তখন ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে অভিনন্দন জানানো হয়। শুভেচ্ছাপর্ব শেষে বঙ্গবন্ধু তিন বাহিনীর ১৫০ সদস্যের গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন এবং পরে ভিআইপি প্যান্ডেলে যান। সেখানে তাঁকে ফুল ছিটিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। দিল্লিতে স্বল্পকালীন বিরতির সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে আলোচনার জন্য দীর্ঘ সময় ছিল না। কিন্তু এর মধ্যেই বঙ্গবন্ধু জানিয়ে দিলেন, তিনি আশা করছেন অদূর ভবিষ্যতেই ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশ ত্যাগ করবে। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তার সম্মতি জানিয়ে বললেন, ‘যখনই বলা হবে, ভারতীয় বাহিনী তখনই ফেরত যাবে।’ তা ঘটেও ছিল ইন্দিরা গান্ধীর ১৭ মার্চ ঢাকা সফরের আগেই।

    ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ঢাকা ফিরে আসেন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে। বিমানবন্দর ও রাস্তার দুপাশে তখন অপেক্ষমান লাখো লাখো জনতা। সেদিনের মানুষের সেই ঢল দেখে আমি আমার কবিতায় বলতে চাই..

    “ঢল নেমেছে সেদিন ঢাকায়

    মিছিল একাকার

    রাজপথ আর বিমান বন্দর

    করিয়া তোলপাড়।”

    সবার কণ্ঠে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ যে দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবনবাজি রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সেই মাটিতে পা দিয়েই আবেগে কেঁদে ফেলেন। বিমানবন্দরে অস্থায়ী সরকারের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা সবাই অশ্রুসজল নয়নে বরণ করেন ইতিহাসের মহানায়ককে। তেজগাঁও বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করার পর খোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে জনসমুদ্রের ভেতর দিয়ে রেসকোর্স ময়দানে এসে পৌঁছাতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। বিমানবন্দর ও রাস্তার দুপাশে তখন অপেক্ষমান লাখো জনতা। স্বাধীন দেশে ফিরে বাঙালির ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেদিনই বিজয়ের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু তাঁর সোনার বাংলায় পা রাখেন। ১৬ ডিসেম্বরের মতোই তখনও বাংলাদেশের মানুষ যেন আরেকবার বিজয়ের উল্লাসে ফেটে পড়ে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে নিজের পরিবারের কাছে না গিয়ে সরাসরি জনগণের কাছে ফিরে এসেছিলেন। লাখো মানুষের সামনে তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘আমার বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে। আমার জীবনের স্বাদ আজ পূর্ণ হয়েছে। আমার বাংলার মানুষ আজ মুক্ত হয়েছে।’ আবেগঘন ভাষায় বললেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে যাবার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা।’ বক্তৃতায় তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বললেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই যে, বাংলাদেশ একটি আদর্শ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হবে। আর তার ভিত্তি বিশেষ কোনো ধর্মীয়ভিত্তিক হবে না। রাষ্ট্রের ভিত্তি হবে- গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র।’ ত্রিশ লাখ মানুষের আত্মদান স্মরণ করে বেদনা-ভারাক্রান্ত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাংলায় আজ বিরাট ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা এসেছে।’ পরিশেষে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা থেকে উদ্ধৃত করে তাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধজননী, রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করোনি।’ কবিগুরুর কথা মিথ্যা প্রমাণ হয়ে গেছে। আমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে।’ সেদিনকার রেসকোর্স ময়দান ছিল লোকে লোকারণ্য। বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১৭ মিনিট বক্তব্য দেন, যা ছিল জাতির জন্য দিকনির্দেশনা। বাংলাদেশের আদর্শগত ভিত্তি কী হবে, রাষ্ট্রকাঠামো কী ধরনের হবে, পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে যারা দালালি ও সহযোগিতা করেছে তাদের কী হবে, বাংলাদেশকে বহির্বিশ্ব স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ, মুক্তিবাহিনী, ছাত্রসমাজ, কৃষক, শ্রমিকদের কাজ কী হবে, এসব বিষয়সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে নির্দেশনা। তিনি ডাক দিলেন দেশ গড়ার সংগ্রামে।

    পাকিস্তানের শাসন-শোষণ ও অত্যাচার-নির্যাতনের হাত থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে জীবনের একটা বড় সময় শেখ মুজিবকে বারবার

    জেল, জুলুম ও অত্যাচার-নির্যাতন ভোগ করতে হয়।

    জাতির জনকের স্বপ্ন ছিল- বাংলাদেশ স্বাধীন করা এবং দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করা। আমাদের তিনি স্বাধীনতা দিয়েছেন। তার প্রথম স্বপ্ন তিনি পূরণ করেছেন। আরেকটি স্বপ্ন যখন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলেছিলেন, তখনই বুলেটের আঘাতে সপরিবারে জাতির জনককে হত্যা করা হয়। ভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা শেখ রেহানা দেশের বাহিরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। অনেক কষ্ট বুকে নিয়ে

    দেশে ফিরে দলকে সুসংগঠিত করতে নেতৃত্ব দেন। অনেক চড়াই-উত্তরায় পেরিয়ে একপর্যায়ে হাল ধরেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। প্রতিপক্ষের শত ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচক অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে এগিয়ে চলেছে। যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির জনক পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন; দীর্ঘ পথপরিক্রমায় শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আজ স্বাধীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সর্বসূচকে এগিয়ে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। জাতি আরেকবার আজকের এই দিনটিকে স্মরণ করছেন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমার লেখা ‘পিতার বিরোচিত প্রত্যাবর্তন’ কবিতার ভাষায় বলতে চাই,

    দশ জানুয়ারি ফিরলে তুমি

    তোমার সোনার দেশে

    অমর তুমি, তোমার কীর্তি

    শেষে, অবশেষে।

    লেখক পরিচয়: কবি, লেখক, গবেষক, সম্পাদক, গীতিকার, সুরকার, কন্ঠশিল্পী ও আইনবিদ।
    নির্বাহী পরিচালক, সোসাইটি ফর এনলাইটেনিং নেশন(SOFEN)

    বাংলাদেশ সময়: ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৪

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    শুভ জন্মদিন অনন্ত

    ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

    দরপত্র বিজ্ঞপ্তি

    ০৫ নভেম্বর ২০২০

    আর্কাইভ