• শিরোনাম

    কাজিপুর উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    আব্দুস সোবহান চান, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

    কাজিপুর উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    apps

    সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলাকে আশ্রয়ন – ২ প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন – গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম এবং কাজিপুর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেন।
    ২২মার্চ বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় জননেত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।
    কাজিপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠান উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ইউএনও সুখময় সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিরাজগঞ্জ -১ আসনের সাংসদ তানভীর শাকিল জয় বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা মমতাময়ী মা বলেই, ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবারকে নিয়ে ভাবেন, চিন্তা করেন, এবং তারই প্রতিদান আজ আপনারা প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মূল্যের সেমি পাকা ঘর ও জমি পেলেন।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রায়হান কবির, কাজিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী অনিক ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেফাজ উদ্দীন, পৌর মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ বাবলু,। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, সাংবাদিক আবদুল জলিল, চালিতাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মুকুল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একেএম শাহা আলম মোল্লা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ ও সুবিধাভোগী জনসাধারণ।

    উপহারের ঘর পেয়েছেন ১৭০ টি পরিবার। অনাদরে অবহেলায় জীবনের অনেকটা সময় পার করা এসব ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবারের সদস্যগণ স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তারা পাকা ঘরসহ জমি পাবেন। তাদের সেই স্বপ্ন আজ সত্যি হলো। আজ তারা অন্য সবার মতো জমিসহ পাকা ঘরের মালিক। এই নিয়ে কাজিপুরের মোট ৩৭২টি পরিবার পুনর্বাসনের মাধ্যমে কাজিপুর উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হলো।
    কাজিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে , চতুর্থ পর্যায়ে উপজেলার সোনামুখী, লক্ষিপুর ও চরগিরিশে ১৭০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে চরাঞ্চলের চরগিরিশে ১৪০ টি ব্যারাক নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এর আগে প্রথম পর্যায়ে ৩৫ টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৫ টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে ১১২ টি ঘর নির্মাণ করে সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

    বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ