| মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০ | প্রিন্ট
শান্ত বণিক, বিশেষ প্রতিনিধি: আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্থান, আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র এবং সৌন্দর্যের টানে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ইত্যাদি ধারণের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে পদ্মাপলি বিধৌত, বরেন্দ্রভূমি ও ইতিহাস খ্যাত, পরিচ্ছন্ন নগরী রাজশাহীর সারদায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীতে। গত ১৪ অক্টোবর প্রাচীন নিদর্শন সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর অভ্যন্তরে গ্রীক-রোমান স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত ২৫০ বছরের প্রাচীন নিদর্শন ছোটকুঠির সামনে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি। সাধারণত ইত্যাদি যেসব স্থানে ধারণ করা হয় ইত্যাদি দেখার জন্য উপচে পড়া দর্শকদের কারণে আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও এর আশেপাশে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করতো এবং কোথাও কোথাও লক্ষাধিক দর্শকও উপস্থিত ছিলো। তবে এবার ছিলো ব্যতিক্রম। বর্তমানের বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনার কারণে দূরত্বকে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক দর্শক নিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি। শিল্পী, কলাকুশলী ও আমন্ত্রিত দর্শকসহ সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে পুরো অনুষ্ঠানস্থল জীবাণুমুক্ত করা হয়। অত্যাবশ্যকীয়ভাবে নিশ্চিত করা হয় সকল দর্শকের মাস্ক ব্যবহার। ছোট কুঠির সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে নির্মাণ করা আলোকিত মঞ্চের সামনে আমন্ত্রিত দর্শকরা একে অপরের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মন্ত্রমুগ্ধের মত উপভোগ করেছেন ইত্যাদির নান্দনিক সব পর্ব। ইত্যাদির এই ধারণ অনুষ্ঠান চলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।
শেকড়ের সন্ধানে ইত্যাদিতে সবসময়ই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচার বিমুখ, জনকল্যাণে নিয়োজিত মানুষদের খুঁজে এনে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি গত প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ইত্যাদি প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অচেনা-অজানা বিষয় ও তথ্যভিত্তিক শিক্ষামূলক প্রতিবেদন প্রচার করে আসছে। আর সেই ধারাবাহিকতায় এবারের ইত্যাদিতেও রয়েছে কিছু মানবিক, অনুসন্ধানী, সচেতনতা ও শিক্ষামূলক প্রতিবেদন।
গীতিকবি মনিরুজ্জামান পলাশ এর কথায়, হানিফ সংকেত এর সুরে, মেহেদীর সঙ্গীতায়োজনে রাজশাহী ও বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীকে নিয়ে রচিত একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীরই প্রশিক্ষণরত দেড় শতাধিক পুলিশ সদস্য।
নিয়মিত পর্ব হিসেবে এবারও যথারীতি রয়েছে দর্শক পর্ব, মামা-ভাগ্নে, নানী-নাতি ও চিঠিপত্র পর্ব। এছাড়াও এবারের ইত্যাদিতে বিভিন্ন সামাজিক অসঙ্গতি ও সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্রুপাত্মক নাট্যাংশ।
গণমানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির এই পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে। উল্লেখ্য অনুষ্ঠানটি ৩০ অক্টোবর, শুক্রবার প্রচারিত হবার কথা থাকলেও ঐদিন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবার কারণে অনুষ্ঠানটি ২৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার-রাত ৮ টার বাংলা সংবাদের পর প্রচারিত হবে। অনুষ্ঠানটি পুনঃপ্রচার করা হবে আগামী ০১ নভেম্বর, রবিবার রাত ১০ টার ইংরেজি সংবাদের পর। ইত্যাদির রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদি স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।
Posted ৯:৩৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।