সোমবার ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

শিল্পপতি, সরকারী কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের ব্ল্যাকমেইলিং -সংঘবদ্ধ চক্র গ্রেপ্তার হলেও জামিন পেয়ে ফের অপরাধে লিপ্ত  -একাধিক মামলায় সাজা হলেও,পলাতক থেকে ব্ল্যাকমেইলিং

স্টাফ রিপোর্টার:   |   সোমবার, ১২ আগস্ট ২০২৪   |   প্রিন্ট


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোসহ নানান কৌশলে শিল্পপতি,রাজনীতিবিদ,পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের নীরবে ব্ল্যাকমেইল করে যাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। চক্রের সদস্যরাএকাধিকবার গ্রেপ্তার হলেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে জামিনে বের হয়ে পুনরায় একই অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কিছু
হলুদ সাংবাদিক, প্রভাবশালী আইনজীবীর প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী একটি বেসরকারি
সংগঠনকে।

অভিযোগ রয়েছে, চক্রের বেশিরভাগ সদস্য একই পরিবারের, রয়েছে নারীসদস্যও। চক্রের অন্যতম সদস্য মোঃহারুন-অর-রশিদ ওরফে বডিবিল্ডার হারুন, মো: আনোয়ার হোসেন, মো: দেলোয়ার হোসেন,মো: বেলালউদ্দিন, মো: হেলালউদ্দিনসহ তাদের সহযোগীদের নামে দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে পুলিশের উপর আক্রমন, ইলেকট্রোনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া ব্যবহার করে মানহানিকর প্রচারণা চালিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং, ডাকাতি, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার, সরকারি সম্পত্তি চুরি, সরকারি কাজে বাধাদান,
চাঁদাবাজি, জাল দলিল তৈরি, এবং প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা দেশের বিভিন্ন থানায় ১ ডজনের বেশী মামলা, অসংখ্য সাধারণ ডায়েরী ও বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আরো অভিযোগ রয়েছে হারুন অর রসিদের নানার বাড়ী কক্সবাজারে, টেকনাফের নীলাবার্মা সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য কেনা-বেচা ও পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে।

সম্প্রতি চক্রটি দেশের শীর্ষস্থানীয় রপ্তানীমুখী শিল্পগ্রুপের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ৯৩ লাখ টাকা সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে খবর পাওয়া যায়। এরপর আরো টাকা দাবি করে ওই গ্রুপের বিরুদ্ধে সেই প্রভাবশালী আইনজীবির মানবাধিকার সংগঠনের ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করার হুমকি দিয়েছে।অনুসন্ধানে জানা যায়,প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান
হারুনের বাবার পূর্বপরিচিত হওয়ায় সেই সূত্র ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে পরিকল্পিতভাবে যাতায়াত শুরু করে হারুন এবং গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্রামের বাড়িতে গেলে হারুন অর রশিদ প্রকাশ বডিবিল্ডার্স তার বিভিন্ন সমস্যা তথা অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কথা বলে ২৫/০৫/২০১৮ ইং তারিখে মজলুমের খোলা চিঠি লিখে গ্রুপের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করলে তাকে গ্রুপে ওয়েষ্টেজ
ব্যবসা করার সুযোগ প্রদান করেন এবং ব্যবসার চলতি মূলধনের টাকা না থাকায় সরল বিশ্বাসে নগদে ও চেকের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত ব্যাংক হিসাব হইতে সময়ে সময়ে ৯৩ লক্ষ টাকা ধার হিসাবে দেন। ব্যবসার এক পর্যায়ে হারুন অর রশিদ প্রকাশ বডিবিল্ডার্স এর বিভিন্নঅনিয়ম/অপকর্ম তথা একাদিক মামলার ফেরারী আসামী বিষয়টি জানতে পেরে হারুনের
সাথে গ্রুপের ওয়েষ্টেজ ব্যবসাসহ সমস্ত ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করে দেয়।

২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে মোঃ হারুন অর রশিদ(৩৫) স্ব-শরীরে কোম্পানীর চেয়ারম্যান এর ভাগিনা মোঃ আবু হানিফ এর অফিসে একটা ফাইল নিয়া আসে। ফাইল খুলিয়া আবু হানিফ কেবলে যে, এটা আপনার মামার কাছে পাঠিয়ে দেন এবং ঐ ফাইল থেকে কিছু দরখাস্ত, পেপার কাটিং, লিগ্যাল নোটিশ ও রিটপিটিশনের অফিসকপি বাহির করিয়া বলে যে, আপনার মামা যদি আমার কাছে ৯৩,০০,০০০/- (তিরানব্বইলক্ষ) টাকা ফেরত চায় তাহলে সে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ এর পক্ষ
থেকে দুদক, এনবিআর, কাস্টমস হাউজ চট্টগ্রাম, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এই দরখাস্ত গুলি পাঠিয়ে দিবে। হারুন অর রশিদ প্রতারনার উদ্দেশ্যে ”হিউম্যানরাইটসপিস ফর বাংলাদেশ” ও প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দপ্তরের নাম ব্যবহার করিয়া এবং বিভিন্ন প্রকার জাল দলিল তৈরির মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপের মালিকদের ব্ল্যাকমেইল এর ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল।এর এক সপ্তাহপর হারুন ঐ গ্রুপের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান চৌধুরীও অনল রায়হানকে ফোন করে একই কথা জানায় ঐ দুই কর্মকতা বলেন, হারুন ফোন করে তাদের প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একটি মানবাধিকার সংগঠনের ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করার হুমকি দিয়েছে।

 

প্রতিষ্ঠানটির সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা অনল রায়হান অভিযোগ করেন, ঐ মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন, দুদক, এনবিআর, কাস্টমস, শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রনালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে অভিযোগ করা থামাতে এবং হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের আইনজীবিকে ম্যানেজ করার জন্য তাঁর কাছ থেকে ২ কোটি টাকা দাবি করে হারুন। এরপর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের এর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে হারুনকে গ্রেফতার করলে,তার সহযোগীরা
পালিয়ে যায় এবং আসামী হারুনকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে । হারুন একজন অভ্যাসগত দুর্ধর্ষ আপরাধী ও ক্রিমিনাল আইন সম্পর্কে যথেষ্ট ধারনা থাকায় আইনের ফাঁক দিয়ে স্বল্পসময়ে জামিন পেয়ে যায়। কারাগার থেকে বেরিয়ে পুনরায় তার আগের পেশায় জড়িয়ে একইধরনের ব্ল্যাক মেইলিংয়ের চেষ্টায় লিপ্ত হারুন।

মতিঝিল থানার ৩৩(০১)২১ নং মামলায় হারুন গ্রেফতার হলে তাদের সংঘবদ্ধ চক্রের অন্য সদস্যরা জামিনে ছাড়িয়ে নেয়।কারাগার থেকে বের হয়ে ফের প্রতারণা, হুমকি, ব্ল্যাকমেইলিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। চক্রটির নামে দেশের বিভিন্ন থানায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলা সংক্রান্তে আদালতে দাখিল করা পুলিশের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া চক্রটির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বেশকিছু ইটভাটার মালিকের নিকট থেকে ঐ প্রভাবশালী আইনজীবির রীট পিটিশনের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের ও প্রশাসনের শীর্ষ মহলের হস্তক্ষেপ চেয়ে বিগত ২৮/০১/২০২১ ইং তারিখ ইটভাটার মালিকেরা চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করেন।পরবর্তীতে ৩৩(০১)২১ মামলায় দীর্ঘ শুনানী শেষে ঢাকার সিএমএম আদালত হারুনকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৩মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন।

মামলার নথিপত্র সূত্রে জানা গেছে, হারুন অর রসিদ প্রকাশ বডিবিল্ডার্স চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানার সর্দারনী পাড়া গ্রামের মৃত সিদ্দিক আহমেদের ছেলে। তার বৈধ স্থায়ী কোনো উপার্জন নেই। নিজ ও আশপাশের এলাকায় মাস্তানি, চোরাকারবারি, ডাকাতি এবং চাঁদাবজি তার মূল পেশা। তার এসব অপকর্মের সঙ্গী হচ্ছেন তার ভাই, মো: আনোয়ার হোসেন, মো: দেলোয়ার
হোসেন, দেলোয়ারের স্ত্রী, মো: হেলালউদ্দীন, মো: বেলালউদ্দিন,হারুনের বোন হামিদাসহ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, চকরিয়া ও বাঁশখালীর তাদের সহযোগীরা। চক্রটির উত্থান বেশ কয়েকবছর আগে। তবে ২০০৫ সালে অবৈধভাবে সরকারী বনের কাঠচুরির অপরাধে বন আইনে মামলার মাধ্যমে পুলিশের খাতায় নাম ওঠে তাদের। চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, পটিয়া, সাতকানিয়া, কোতোয়ালি ও রাজধানীর মতিঝিল এবং কোতোয়ালি থানায় একাদিক মামলা, সাধারন ডায়েরীও অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়।

২০১৭ সালের মে মাসে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা পুলিশ হারুনকে গ্রেফতার করতে গেলে সে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলার এজাহারে হারুনের দুর্ধর্ষতার বর্ণনা করতে গিয়ে পুলিশের এসআই মোঃ হেলাল খান উল্লেখ করেন, ‘গোপন সংবাদ পেয়ে আসামি দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে যাইয়া উপস্থিত হইলে আসামি দেলোয়ার হোসেন
পুলিশের উপস্থিতি টের পাইয়া পলায়নকালে আমাদের ওপর বলপ্রয়োগসহ এলোপাথাড়িভাবে কিল ঘুষি মারতে থাকে।

একপর্যায়ে বর্ণিত উপরোল্লিখিত আসামিগন একযোগে আমি ও আমার সঙ্গীয় ফোর্স এর উপর দেশীয় বিভিন্ন মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রসহ আক্রমণ করে। ওই সময় আসামি হারুন ওরফে বডিবিল্ডার হারুন এর হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়া আমার সঙ্গীয় এসআই মোঃ ফখরুল ইসলামের বাম পায়ে সজোরে আঘাত করিলে বাম পায়ের সামনের আঙ্গুলসহ পায়ের পাতারহাড় ভাঙ্গা জখমহয়।’

একই থানায় ২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে হারুনের সহযোগীদের গ্রেপ্তারের পর তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে দায়েরকৃত একটি ডাকাতি মামলার এজাহারে বাদী এসআই মফিজুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, ‘ধৃত আসামীগণ স¦ীকার করিয়াছে যে তাহারা আধুনগর সর্দারনী পাড়ার হারুন ওরফে বডিবিল্ডার হারুন, তার ভাই মৌলভী দেলোয়ার ও হেলালসহ রাত্রিকালীন খাওয়া-দাওয়া করিয়া কোথায়ডাকাতি করা যায় তাহার পরিকল্পনা শেষে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে লোহাগাড়া থানাধীন বড়হাতিয়া মগদিঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠের পূর্বপাশে জমায়েত হয়। একই এজাহারের অন্য জায়গায় এসআই মফিজুল উল্লেখ করেন, ‘সাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা পলাতক আসামী হারুন ওরেফে বডিবিল্ডার হারুন ও মিজানুর রহমানদ্বয় সহ চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী,সাতকানিয়া ও লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করিয়া আসিতেছিল।’

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতায়ালি থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ২০১৭ সালে তথ্য প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা এক মামলায় হারুনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর বর্ণনা দিতে গিয়ে মামলার এজাহারের বাদী ফজলে এলাহী আরজু-উল্লেখ করেন, ‘বিবাদীগন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মিয়া মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বীরবিক্রম, চট্টগ্রাম ১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নির্বাচিত সাবেক সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আনোয়ার কামাল এর নামে মিথ্যা অশ্লীল,মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে ওয়েবসাইট ফেসবুক ও ইলেকট্রনিক বিন্যাস প্রকাশ ও সম্প্রচার করার মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করিয়াছে। উক্ত মামলায় হারুন অর রসিদ এর ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদেয় আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয় বিজ্ঞ আদালত। এছাড়া ব্ল্যাকমেইলিং ও অর্থ হাতানোর উদ্দেশ্যে হারুন ও তার সহযোগীরা ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানার তৎকালীন ওসির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার শুরু করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অপপ্রচার থামানোর নামে ওসির কাছ থেকে অথর্ হাতিয়ে নেয়া। এ ঘটনায় সে সময়ে ওই থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার এজাহারে এসআই মোঃ জাকির শিকদার উল্লেখ করেন, ‘ ”বর্ণিত আসামীগণ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা অশালীন মানহানিকর ও কুরুটিপূর্ণ পোস্ট করিয়া অফিসার ইনচার্জ লোহাগাড়া থানা তথা বাংলাদেশ
পুলিশের সম্মানহানি করিয়াছে যাহা দেখিয়া আমি মর্মাহত হই। আসামীগণ ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি থেকে প্রতিনিয়ত অশালীন মিথ্যা মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করিয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর ৫৭ (২) ধারার অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজ ুহয়। ২০২৩ সালে উক্ত মামলায় হারুনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা
অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।বিভিন্ন সময়ে পুলিশ হারুনকে গ্রেফাতর করে আদালতে সোপর্দ করলেও সেই মানবাধিকার ও কথিত পরিবেশবাদী তথা হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের প্রভাবশালী আইনজীবির সহায়তায় আইনের ফাঁক দিয়ে হারুন ও তার সহযোগীরা জামিনে মুক্তি নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে যায়। ফের শুরু হয় তাদের অপকর্ম, এমন অভিযোগ ভুক্তভোগেীদের।

বিগত ২৩/০৩/২০২৩ ইং তারিখে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে দায়েরকৃত মামলা ২৭ (মতিঝিল থানা) বিশ্লেষনে জানা যায় প্রতারনা ও ব্ল্যাকমেইলিং এর অংশ হিসাবে”সাবরিনা সুলতানা কেয়া” নামক ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলিয়া নোমান গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম ও নোমান গ্রুপের নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রনোদিত,
বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করায় উক্ত মামলায় মো: হারুন অর রসিদ, মো: আনোয়ার হোসেনসহ আরো ৭জন সংঘব্ধ চক্রের সদস্যদেরকে আসামী করা হয়। মূলত: হারুন অর রসিদ ওরফে বডিবিল্ডার্স ও মো: আনোয়ার হোসেন গং চিহ্নিত প্রতারক, দাঙ্গাবাজ, আইন অমান্যকারী, ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য, অবৈধ অস্ত্রধারী, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ওপর আক্রমণকারী, বিভিন্ন জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎকারী অপরের রুপধারন করে প্রতারনাকারী, মাদক-দ্রব্য কেনা-বেচা ও পরিবহনকারী। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা, অবৈধ অস্ত্র, সরকারি কর্মচারীদের মারধর, ডাকাতির প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন জাল- জালিয়াতির মামলাসহ একাধিক মামলা তদন্তাধীন ও বিচারাধীন আছে। তাদের নিজস্ব কোন বৈধ
পেশা নাই, বিভিন্ন প্রতারনা ও অপরাধকে পেশা হিসেবে নিয়েছে মর্মে জানা যায়।

Facebook Comments Box

Posted ১২:৫৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১২ আগস্ট ২০২৪

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১০ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins