• শিরোনাম

    বেনজীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে দুদকে ব্যারিস্টার সুমন

    অনলাইন ডেস্ক সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

    বেনজীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে দুদকে ব্যারিস্টার সুমন

    apps

    অনিয়ম-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদক অনুসন্ধান শুরু না করলে তিনি হাইকোর্টে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।

    রোববার (২১ এপ্রিল) দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর এ আবেদন করেন তিনি। এ সময় তিনি বেনজীরকে নিয়ে দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করেন। আবেদনে বেনজীর আহমেদের পাশাপাশি তার স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    জানতে চাইলে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গণমাধ্যমকে বলেন, বেনজীরের দুর্নীতি নিয়ে যে অভিযোগ আসছে পত্রিকায়, হেডলাইন হয়েছে, তা নিয়ে

    এ পর্যন্ত কোনো ইনকোয়ারির (অনুসন্ধান) ব্যবস্থা না দেখে দুদকে এসে নাগরিক হিসেবে আবেদন করে বলেছি, এর (অভিযোগের) ইনকোয়ারি করা দরকার। কারণ সাবেক আইজিপির যদি এত সম্পদ থাকে, তবে বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যে যারা সৎ অফিসার আছেন, তারা খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হবেন। দেশে যারা সৎ আছেন, তাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে; আর যারা অসৎ, তারা মোটামুটি প্রতিযোগিতায় নামবেন। যদি অভিযোগ সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তারা বলবেন আমরা সবাই বেনজীর হইতে চাই। আমার কাছে মনে হয়েছে, দেশের জন্য এটি ভয়ানক বিষয়।

    দুদক পদক্ষেপ না নিলে কী করবেন, জানতে চাইলে সুমন বলেন, ‘পরিষ্কার, হাইকোর্টে যাব। ’

    সুমনের আবেদনের পর সুপ্রিম কোর্টে দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, জানতে পেরেছি প্রাক্তন আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে যে খবর ছাপা হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন দুদকে একটি দরখাস্ত দাখিল করেছেন। তার এ দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তার আইন ও বিধি অনুসারে অভিযোগ যাচাই-বাছাই করবে। কমিশন যদি মনে করে এটি দুদকের আওতার মধ্যে পড়ে, তাহলে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

    এক প্রশ্নে এ আইনজীবী বলেন, এখানে ব্যক্তি মুখ্য নয়। কে কি, তা এখানে ইস্যু নয়। দুদক দেখে যে অভিযোগটি তফসিলভুক্ত অপরাধের মধ্যে পড়ে কি না। কমিশন দেখবে তথ্যে সত্যতা কতটুকু। এখানে অনেকগুলো ধাপ আছে। তিনি (সায়েদুল হক সুমন) আজ যে দরখাস্ত দিয়েছেন, তা যাচাই-বাছাই কমিটিতে যাবে। কমিটি তা দেখে সিদ্ধান্ত দেবে। এরপর কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে কমিশন যদি মনে করে অনুসন্ধান করা উচিত, তারা সেটি করবে।

    আবেদনে বলা হয়েছে, বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের ৩০তম আইজি ছিলেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান। চাকরিতে থাকাকালে তার স্ত্রী ও মেয়েদের নামে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে

    প্রতিবেদনের তথ্যের বরাত দিয়ে সুমনের আবেদনে বলা হয়েছে, বেনজীর আহমেদের বৈধ আয়ের চেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে তিনি চাকরিতে থাকাকালে পদ-পদবী, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। ফলে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের সম্পদের তদন্তে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি।

    বাংলাদেশ সময়: ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ