• শিরোনাম

    একটি পরিবার হবে একটি আইসিটি সেন্টার: ড. হুমায়ুন কবীর

    রাজশাহী প্রতিনিধিঃ ইউসুফ আলী চৌধুরী রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১

    একটি পরিবার হবে একটি আইসিটি সেন্টার: ড. হুমায়ুন কবীর

    একটি পরিবার হবে একটি আইসিটি সেন্টার: ড. হুমায়ুন কবীর

    apps

    নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
    প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার ড মো হুমায়ুন কবীর বলেন, হাতের নাগালে সকল তথ্য পাওয়া যায় এই ডিজিটাল এর মাধ্যমে। তথ্য ভিত্তিক ডিজিটাল যুগে দক্ষ হয়ে নিজের দায়িত্ব নিজেকে নিতে হবে। আজ দেশের মাটিতে থেকেই অনেক ফ্রীল্যানসার ডিজিটাল যুগে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এটা সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল প্লাটফর্মের কারনেই। একটি পরিবার একটি আইসিটি সেন্টার। আজ সকল সেক্টরে ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমের সকল ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে এবং করছেন। ঘরে বসেই অনেক কাজ করছে শিক্ষা কৃষি স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে। আজকের শিক্ষার্থীদের নিজের দেশ ও নিজেকে উন্নয়নের কাতারে দাড় করানোর দায়িত্ব নিতে হবে।
    বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বিশ্বের বাজারে ডিজিটাল পদ্ধতি আমাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। সকল ধরনের সুযোগ তৈরী করতে হরে। বছরব্যাপী এটি শুধু কম্পিউটার অফিস সফটওয়্যারের বাজারে নয় বরং ভিডিও গেম শিল্প এবং কনজিউমার ইলেকট্রনিক্সের মতো আরও অনেক কিছুতে প্রবেশ করেছে। নিত্য নতুন নতুন আইডিয়া বের করতে হবে। এতে আমাদের ছেলে-মেয়েরাসহ পুরো দেশের উন্নয়ন হবে। দেশ এগিয়ে যাবে দ্রুত গতিতে। শুধু ব্যবহারকারি হয়ে না, এই পদ্ধতি তৈরী করার জন্য আইডিয়া উন্নয়ন করতে হবে। আমরাই একদিন ডিজিটাল ক্ষেত্রে বিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়াবো। আর এটা সম্ভব হবে নতুন প্রজন্মের ডিজিটাল উদ্ভাবনীর মাধ্যমে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার ইউজার না হয়ে সোনার বাংলা গড়তে কাজ করতে হলে প্রডিউসার হতে হবে।
    তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। সভাপতির বক্তব্য তিনি বলেন, মানুষের উন্নয়ন তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে আজ যেকোনো দেশ ও যেকোন কাজ আমরা খুব কম সময়ে করতে পারছি। একটা মোবাইল ও ল্যাপটপ এর মাধ্যমে নিজের ঘরে বসেই। নিজের কাজ নিজেকে করতে হবে। সরকার তাদেরকে কানেক্টেড করে দিবে সেটা কাজে লাগাতে হবে। নতুন প্রযুক্তিতে নতুন কিছু করলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
    ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন, উপকৃত সকল জনগন প্রতিপাদ্য নিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারীয়া পেরেরা। বিশেষ অথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক ই.ই.ই বিভাগ মো. আরিফুল ইসলাম ও দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত। অনুভুতি বক্তব্য রাখেন শাবনাজ সুলতানা রুপু ফ্রীল্যানসার ও সিহাব আলী ইউডিসি উদ্যোক্তা বড়বিহানলী ইউনিয়ন পরিষদ। তিনজন বিজয়ীকে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেয়া হয়। বিজয়ীরা হলেন সিফাত সাহরিয়া মরী, রিজুয়ানা ও তানভীর সারোয়ার আনি।
    এ সময় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ জিয়াউল হক,অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. জিয়াউল হক, অভিজিত সরকার সহকারী কমিশনার (সাধারণ শাখা), এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (আইসিটি শাখা) কৌশিক আহমেদ।
    এর আগে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বিশাল র‌্যালি বের হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এতে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

    বাংলাদেশ সময়: ৮:১০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ