শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

গ্রামের অস্তিত্ব না থাকলেও ভোটার তালিকায় দুই নাম

আলামিন হোসেন   |   বুধবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪   |   প্রিন্ট

গ্রামের অস্তিত্ব না থাকলেও ভোটার তালিকায় দুই নাম

মানিকগঞ্জ জেলার সাত উপজেলার মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে বড় হরিরামপুর উপজেলা। ২৪৫.৪২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়ন পদ্মা নদীর করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে গেছে। এতে স্থানীয়রা ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি হারাচ্ছে এবং নানা স্থানে নতুন বসতি গড়েছে। তবে, আজিমনগরের পূর্ব আজিমনগর মধ্যপাড়া ও গোপীনাথপুরের কদমতলী গ্রামের ভোটার তালিকায় ২০২১ সালের হালনাগাদের সময় দুটি গ্রামে ২ জন ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্তি হয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।

সরেজমিনে জানা যায়, আজিমনগর ইউনিয়নের পূর্ব আজিমনগর মধ্যপাড়া গ্রাম ১৯৮৬ সালে নদীভাঙনের ফলে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। একইভাবে, গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামও নদীভাঙনের কারণে ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে গিয়ে ২০০৪ সালে সম্পূর্ণভাবে নদীগর্ভে চলে যায়। বর্তমানে এ গ্রামের অস্তিত্ব সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানে না।

আজিমনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোন্নাফ মিয়া জানান, বহুবছর আগে গ্রামটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এবং এখানে আর বসবাসের জন্য কোনো জায়গা নেই। এ গ্রামের সব মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে গেছেন। তবে ভোটার তালিকায় মুরাদ নামে একজনের নাম থাকার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এ নামের কাউকে পূর্ব আজিমনগর মধ্যপাড়ায় কখনো দেখা যায়নি।

দীর্ঘদিন আগে উপজেলার মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে গেলেও গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে মৌসুমী আক্তার নামে একজন ভোটারের নাম রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, একসময় এ গ্রামে অনেক বসতি ছিল, কিন্তু ২০০৪ সালের বন্যায় গ্রামটি সম্পূর্ণরূপে নদীগর্ভে চলে যায়। তবে ভোটার তালিকায় মৌসুমী আক্তার নামে একটি নাম পাওয়া যায়, কিন্তু এ নামের নারীর সম্পর্কে কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারছে না। এ বিষয়ে স্থানীয়দের মাঝে বিভ্রান্তি ও গুঞ্জন শোনা যায়। এসব ভূতুড়ে নামের সংশোধন করার দাবি ওঠেছে।

গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. মতিন মোল্লা জানান, এক সময় কদমতলী গ্রাম ছিল, কিন্তু নদীভাঙনের কারণে এটি বিলীন হয়ে গেছে। ২০০৪ সালের বন্যায় কদমতলী গ্রাম নদীগর্ভে চলে যায়। কাগজপত্রে একজন ভোটারের নাম থাকলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাফিজা খাতুন জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, কেউ অভিযোগ করলে তা খতিয়ে দেখা হবে।

Facebook Comments Box

Posted ৪:২৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১০ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins