• শিরোনাম

    সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাংচুর, নারীসহ আহত ৬

    টি এম এ হাসান সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১

    apps

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ৭নং পূর্ণিমা গাতী ইউনিয়নে আসন্ন তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আল আমিন সরকারের নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্পে হামলা, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় মারধর করা হয়েছে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী স্থানীয় ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল, স্থানীয় শহীদুল ইসলাম সাবান এর স্ত্রী মোছাঃ লতা খাতুন সহ ৬-৭জনকে। আহতদের মধ্যে গুরুতর দুজনকে সিরাজগঞ্জ ২৫০শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে এই হামলা ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আল আমিন সরকার। রবিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পুকুর পাড়ে অবস্থিত অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পে এই হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, নৌকার সমর্থনে একটি মিছিল থেকে আক্রমণ চালিয়ে ভাংচুর করা হয় নির্বাচনী অফিসের অন্তত ৩০-৩৫টি চেয়ার। ছিড়ে ফেলা হয় ক্যাম্পের ঘেরাওয়ের কাপড়। এঘটনায় চরম ভীতি বিরাজ করছে এলাকার সাধারণ ভোটারদের মাঝে ও এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে চাপা উত্তেজনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পুকুরপাড় এলাকায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আল আমিন সরকারের নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্পে ভাঙ্গা হয়েছে চেয়ার টেবিল, ছিড়ে ফেলা হয়েছে ক্যাম্পের কাপড়। ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী পুকুরপাড় এলাকার মো. তাকমিদুর রহমান দুলাল বলেন, দুপুর ১২টার দিকে পূর্ণিমা গাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম রাশেদুল হাসান রাশেদ এর নেতৃত্বে অন্তত ৩৫-৪০ জন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এসে অতর্কিত ভাবে ক্যাম্পে হামলা চালায়। এসময় তারা ক্যাম্পে ভাংচুর করে ও দুজনকে মারধর করে গুরুতর আহত করে চলে যায়। এসময় তারা অন্তত ২০মিনিট সময় ধরে এই ভাংচুরের তান্ডব চালায়। এর কিছুক্ষণ পূর্বেও তারা একবার এসে ক্যাম্পটি পর্যবেক্ষণ করে যাও বলেও জানান এই প্রত্যক্ষদর্শী। এবিষয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আল আমিন সরকার বলেন, মোটরসাইকেলের পক্ষে গণজোয়ার দেখে নৌকার প্রার্থী মো. রেজাউল ইসলাম তপন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদুল হাসান রাশেদ এর নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে। তারা যখন দেখছে সাধারণ জনগণ আমাকে এতোটা ভালবাসে ও আমাকে আবারও চেয়ারম্যান হিসাবে চায় এবং মোটরসাইকেল এর বিজয় নিশ্চিত তাই তারা সাধারণ ভোটারদের মারধর ও হুমকি ধামকি সহ এসব করে সাধারণ ভোটারদের মাঝে একটা ভীতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসাবে এই হামলা। আমি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশকে জানিয়েছি। এবিষয়ে পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম রাশেদুল হাসান রাশেদ এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারাই বরং আমাদের এক কর্মীকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ওদিকে গেলে দেখি পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। তারা আমাদের ফিরিয়ে দিলে আমরা চলে আসি। এসকল অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) এনামুল হক বলেন, এমন একটি ঘটনার খবর পেয়েছি তবে এখনো কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।

     

    বাংলাদেশ সময়: ৭:২০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ